জিপিএফ হিসাব বের করার নিয়ম

Rate this post

যে সকল সরকারি চাকরিজীবীর জিপিএফ হিসাব বের করার নিয়ম জানতে এখানে ভিজিট করেছেন তাদের উদ্দেশ্যে আমাদের ওয়েবসাইটে এটা বের করার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে জানিয়ে দেওয়া হবে। প্রত্যেক অর্থ বছরে তাদের মূল বেসিকের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে কত পারসেন্ট জিপিএফ হিসেবে রাখতে চান এবং সেটার ইন্টারেস্ট হিসেবে কত টাকা আসে এ সংক্রান্ত বিস্তারিত ধারণা পেতে আপনারা অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটের এই পোস্ট বিস্তারিত ভাবে পড়ে দেখবেন।

তাহলে আপনার পূর্ববর্তী ব্যালেন্সের সাথে সমন্বয় রেখে বর্তমান ব্যালেন্স যোগ হয়ে যাবে এবং সর্বমোট ব্যালেন্স হিসেবে কত টাকা যুক্ত হচ্ছে সেটা জেনে নিতে পারবেন। যেহেতু এই জিপিএফ এর মাধ্যমে আপনাদের প্রভিডেন্ট ফান্ডের বিষয়গুলো গড়ে ওঠে সেহেতু আপনারা যদি এখানকার প্রত্যেকটি তথ্য সুষ্ঠুভাবে হিসাব ও নিকাশ করতে পারেন তাহলে দেখা যাবে যে আপনারা এ বিষয়ে আপডেট থাকতে পারছেন এবং প্রত্যেক অর্থবছরের হিসাব নিজেদের সংগ্রহে রেখে যেতে পারছেন।

সরকারি চাকরির নিরাপত্তার জন্য জিপিএফ হিসাব অনুযায়ী আপনারা অনেকেই ১০ পার্সেন্ট এবং অনেকেই ১২ পার্সেন্ট করে জিপিএফে রাখতে চান। আপনাদের মূল বেসিকের সঙ্গে মিল রেখে এবং প্রত্যেক বেসিকের যে অংশ আপনারা জিপিএফ হিসেবে রাখছেন সেটার নির্দিষ্ট অংশ অনুযায়ী কত টাকা করে ইন্টারেস্ট আসছে সে বিষয়ে অনেকেই জানতে চান। তবে এ সকল কাজ সূত্রের মাধ্যমে নির্ণয় করা হয়ে থাকে এবং সূত্রের মাধ্যমে প্রত্যেকটি কাজ এক্সেল এর ওপরে নির্ভর করে করা হয় বলে আমরা নির্ভুলভাবে প্রত্যেকটি তথ্য পেয়ে যাই।

তাই এই হিসাবটি করার জন্য আপনাকে নির্দিষ্ট একটা অর্থ বছর উল্লেখ করতে হবে এবং অর্থবছর উল্লেখ না করলেও সেটা খুব একটা সমস্যার কারণ হবে না। তারপর আপনার পূর্ববর্তী ব্যালেন্স উল্লেখ করার পাশাপাশি বর্তমানের ব্যালেন্স উল্লেখ করতে হবে। এখন আপনাদেরকে নতুন বছর অনুযায়ী বাজেট পাসের পর জুলাই মাস থেকে পরবর্তী বছরের জুন মাস পর্যন্ত হিসাব করতে হবে।

আপনার মূল বেসিক অনুযায়ী কত টাকা ইন্টারেস্ট আসছে সেটা পরের হিসাব করতে হবে। তবে বেসিক অনুযায়ী আপনি কত টাকা করে এবং কত পারসেন্ট করে টাকা রাখছেন সেটা একটু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং সেটার উপর নির্ভর করে আপনার ইন্টারেস্ট বের হয়ে চলে আসবে। এই জিপিএফ হিসাব বের করার জন্য সর্বপ্রথম আপনাদেরকে একটা নির্দিষ্ট এক্সেল সিট ডাউনলোড করে নিতে হবে।

আপনারা যখন এই জিপিএফ হিসাব করতে চাইবেন তখন হয়তো সেই বছরের নির্দিষ্ট মাসের হিসাব হিসেবে কত পারসেন্ট কাটাতে যাচ্ছেন সেটা নির্দিষ্ট একটা বিষয় আপনাদের করলে করতে হবে। তারপরে পরবর্তী মাস থেকে এটার পরিমাণ হয়তো ইনক্রিমেন্ট বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে বৃদ্ধি পেতে পারবে। এখন আপনি যদি ইনক্রিমেন্ট এর পুরো অংশ সেখানে রাখতে চান তাহলে সেখানে আগস্ট মাস থেকে নতুন অ্যামাউন্ট লিখতে হবে এবং পরবর্তী বছরের জুন মাস পর্যন্ত একই অ্যামাউন্ট এভাবে চলতে থাকবে। আপনারা যে এক্সেলের সূত্র ব্যবহার করছেন সেই সূত্র ব্যবহার করার মাধ্যমে খুব সহজেই প্রত্যেক মাসের টাকা ডিপোজিট করার পর কত পারসেন্ট করে ইন্টারেস্ট পাচ্ছে না এবং সেটার পরিমাণ কত সেটা দেখে নেয়া যাবে।

এভাবে আপনারা এক্সেল সিটের মাধ্যমে খুব সহজেই জিপিএফ এসব বের করে নিতে পারেন অথবা আপনারা যদি মনে করেন ক্যালকুলেটর হিসাব করবো তাহলে তাও করা যাবে। এখানে আপনার পূর্ববর্তী ডিপোজিটের সঙ্গে বর্তমান বছরের টোটাল ডিপোজিট দেখিয়ে দেওয়া হবে। সেই সাথে আপনাদের বর্তমান সময়ের যে ইন্টারেস্ট প্রদান করা হচ্ছে তা পূর্ববর্তী ইন্টারেস্টের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যাবে।

এখানে আপনাদের পূর্ববর্তী ব্যালেন্স এবং বর্তমান ব্যালেন্সের সঙ্গে পূর্ববর্তী ইন্টারেস্ট এবং বর্তমান ইন্টারেস্ট সংযুক্ত হয়ে সর্বমোট গ্রস টোটাল দেখিয়ে দেবে। অর্থাৎ এখান থেকে বুঝতে পারলাম যে gpf হিসাব বের করার নিয়ম অনুসরণ করতে হলে নির্দিষ্টভাবে আমাদের একটা এক্সেলের মাধ্যমে সূত্র ব্যবহার করার পদ্ধতি অনুসরণ করে এটা করতে হবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button