যারা টেক্সটাইল বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করেছেন তাদের জন্য মিটার থেকে কেজিতে বের করার নিয়ম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় হিসেবে জানতে হয়। তবে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির যুগে আমরা যে কেউ এটা সহজেই ইন্টারনেটের মাধ্যমে সার্চ করে জানতে পারবো। তাছাড়া ইন্টারনেটের ভিত্তিতে তথ্য যখন আপনারা খুঁজে পেতে চান তখন আমরা আপনাদের উদ্দেশ্য সহজ ভাবে প্রত্যেকটি বিষয়ে উপস্থাপন করার চেষ্টা করি।
তাই আজকের এই পোস্টে মিটার থেকে কেজিতে বের করার নিয়ম হিসেবে কোন সূত্র অনুসরণ করতে হবে অথবা কোন কোন ক্ষেত্রে এটা অবলম্বন করা যায় সে বিষয়গুলো জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব। আপনারা এখান থেকে অবশ্যই এটা জেনে নিতে পারলে মিটার থেকে কেজিতে বের করার নিয়ম সম্পর্কে অবগত হতে পারবেন এবং এই সূত্র অনুসরণ করার মাধ্যমে যেকোনো বিষয়ের হিসাব সঠিকভাবে করতে পারবেন।
পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউশন এর অধীনে অনেকে আছেন যারা টেক্সটাইল বিষয়ে পড়াশোনা করে থাকেন। দেশের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরনের গার্মেন্টস শিল্প গড়ে উঠছে বলে আপনারা এ বিষয়ে পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ দেখাচ্ছেন। তাছাড়া টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে যখন আপনি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবেন অথবা এখানে যখন ক্যারিয়ার করার সুযোগ পাবেন তখন আপনার জন্য তা অনেক ভালো হবে।
তাই আপনার এই সকল বিষয়ে জানতে হবে এবং বেসিক বিষয় থেকে শুরু করে টেক্সটাইল বিষয়ে কাপড়ের গুণগতমান এবং অন্যান্য আরো বিশেষ সম্পর্কে আপনাদেরকে পড়াশোনা করতে হবে। তবে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার ছাড়াও আপনারা অনেকেই আছেন যারা খুব সহজ নিয়ম অনুসরণ করার ভিত্তিতে ইন্টারনেটে সার্চ করার মাধ্যমে মিটার থেকে কেজিতে রূপান্তর করার নিয়ম গুলো জেনে নিয়ে সেটা বের করে নিতে পারবেন।
তাই কাপড়ের যখন আপনারা একটা অংশ পাবেন এবং সেটা যখন মিটারে মেপে নিতে পারবেন তখন সেটা পরবর্তীতে কেজিতে রূপান্তর করতে হলে কি কি ধাপ অনুসরণ করতে হবে তা অনেকেই জানেন না। তাই আমরা চাই যে আপনাদের মাঝে তা সহজ ভাবে উপস্থাপন করার এবং আপনারা যখন এ বিষয়গুলো জেনে নিতে পারবেন তখন আপনাদের জন্য তা খুবই ভালো হবে। তাই আপনাদের জন্য এখন এই পোষ্টের মাধ্যমে ধাপে ধাপে কাপড়কে মিটার থেকে কেজিতে রূপান্তর করার জন্য নিচের নিয়ম গুলো অনুসরণ করার কথা বলবো এবং আশা করি যে এই পোস্টের মাধ্যমে আপনারা সঠিকভাবে এই তথ্যগুলো জেনে নিয়ে প্রয়োজনীয় কাজগুলো সম্পাদন করতে পারবেন।
আপনি যখন কোন কাপড়ের ফেব্রিক লেন্থ মিটারে মেপে নিবেন তখন সেটা অবশ্যই সূক্ষ্ম ভাবে মেপে নিতে হবে। তাছাড়া সেই ফেব্রিক কাপড়ের প্রস্থ মেপে নিতে হবে এবং প্রশ্ন মেপে নেওয়ার ক্ষেত্রে আপনাদেরকে প্রত্যেকটি বিষয় সুষ্ঠুভাবে জেনে নিতে হবে ও বুঝতে হবে ও মাপতে হবে।
কাপড়ের বিভিন্ন বিষয় নির্ণয় করার ক্ষেত্রে জিএসএম নামক একটা নির্ণয় পদ্ধতি রয়েছে। আপনারা যদি এই জিএসএম নির্ণয় করে নিতে পারেন তাহলে আপনাদের জন্য কাপড়ের মিটার থেকে কেজিতে প্রকাশ করার নিয়ম খুব একটা কঠিন বলে মনে হবে না। তাই আপনারা যখন এই তিনটি তথ্য সঠিকভাবে বের করে নিতে পারেন তখন পরবর্তী নিয়ম অনুসরণ করার মাধ্যমে মিটার থেকে কেজিতে বের করার নিয়ম জেনে নিয়ে সেটা বের করে নিবেন।
অর্থাৎ আপনি কোন ফেব্রিক কে যখন মিটার থেকে কেজিতে বের করবেন তখন সেটার ওজন বের করার জন্য ফেব্রিক লেন্থকে অর্থাৎ দৈর্ঘ্যকে প্রস্তু দিয়ে গুণ দিতে হবে। সেই গুণফল এর সাথে আবার ফেব্রিকের যে জিএসএম বের করেছিলেন সেটা আপনাদের কে গুন দিতে হবে। তাহলে এই তিনটা গুণফল এর সঙ্গে আপনারা যখন ১০০০ দিয়ে ভাগ দিবেন তখন এটা কত কেজি বা কত গ্রাম সেটা বের হয়ে যাবে। আশা করছি যে এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা ফেব্রিককে মিটার থেকে কেজিতে বের করার নিয়ম সম্পর্কে অবগত হতে পেরেছেন। অর্থাৎ দৈর্ঘ্য, প্রস্থ এবং জিএসএম এর সঙ্গে গুণ করে তা ১০০০ দিয়ে ভাগ করলেই ওজন বের হয়ে যাবে।
Leave a Reply