জমি রেজিস্ট্রি হওয়ার পর যারা জমির মূল দলিল বের করতে চাইছেন তারা অবশ্যই যার মাধ্যমে এটা রেজিস্ট্রেশন করেছেন তার সহায়তা গ্রহণ করতে পারেন। তবে সেই লোকের অনুপস্থিতিতে অথবা সেই লোক যদি মৃত্যুবরণ করে তাহলে জমির দলিল কিভাবে বের করবেন তা এই পোষ্টের মাধ্যমে জেনে নিন। যেহেতু জমির দলিল অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়
আপনার জমির প্রমাণপত্র অথবা কাগজপত্র হিসেবে কাজ করবে সেহেতু আপনাকে অবশ্যই এটা গুরুত্বের সঙ্গে সংরক্ষণ করতে হবে। তাছাড়া জমির দলিল থাকার পাশাপাশি সেটি আপনারা যে নামজারি করেছেন সেই নামজারীর কাগজপত্র নিজেদের নামে তৈরি করে নিলে পূর্বের যত মালিকানা আছে সবগুলো শেষ হয়ে যাবে। সর্বশেষ আপনি যদি জমি কেনার পর নামজারি করেন থাকেন তাহলে সেটার মালিকানা আপনার নাম রেজিস্ট্রেশন হয়ে থাকবে এবং চূড়ান্তভাবে বলবৎ হবে।
তবে আপনারা যেহেতু জমির মূল দলিল বের করার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চাইছেন সেহেতু আপনাদেরকে এটা জানিয়ে দেয়া হবে। সাধারণত যারা জমি সংক্রান্ত কাজ করে অথবা মহরি হিসেবে রেজিস্ট্রি অফিসে বসে এগুলো রেজিস্ট্রেশন করে থাকে তাদের সহায়তা গ্রহণ করতে পারেন।
আপনারা যে তারিখে জমি রেজিস্ট্রি করেছেন সেই তারিখে হয়তো আপনাদের মনে আছে এবং জমি রেজিস্ট্রি করার সময় আপনাদেরকে হয়তো কোন টোকেন অথবা নির্দিষ্ট নাম্বার প্রদান করা হয়েছে। সাধারণত যার মাধ্যমে জমি রেজিস্ট্রেশন করেছেন তার কাছে গিয়ে বললেই তারা আপনাদের এই কাগজপত্র রেজিস্ট্রেশন করেছে বলে এটার উত্তোলন করে দিলে সাহায্য করবে।
কিন্তু কোনভাবে সেই ব্যক্তি যদি মৃত্যুবরণ করে তাহলে হয়তো সেই ব্যক্তির সহায়তা গ্রহণ করতে পারবেন না এবং এক্ষেত্রে আপনাকে নিজেদের হাঁটতে হবে। তাই আপনারা যখন জমির মূল দলিল সংগ্রহ করবেন তখন অবশ্যই আপনাকে রেজিস্ট্রি অফিসে যেতে হবে এবং সেখানে গিয়ে আপনারা কত তারিখে জমি রেজিস্ট্রেশন হয়েছে তা জানিয়ে দিতে হবে।
সেই সাথে যদি আপনি পূর্বের মালিকানা সাবমিট করতে পারেন অথবা কত নাম্বার দাগের জমির দলিল সংগ্রহ করতে চাচ্ছেন তা যদি জানিয়ে দিয়ে থাকেন তাহলে তারা আপনাদেরকে এটা উত্তোলন করতে সর্বোচ্চ সাহায্য সহযোগিতা করবে। তাই আপনারা জমির দলিল সংগ্রহ করার ক্ষেত্রে উপরের নিয়ম অনুসরণ করতে পারেন এবং এটার বাইরে আর কোন নিয়ম না থাকার কারণে আপনারা তা করতে পারবেন না।
তবে ভূমি সংক্রান্ত আইন বিষয়ে আমরা সর্বশেষ আপডেট জানতে পেরেছি যে ২০২৩ সালের মাঝামাঝি পর্যায়ে থেকে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে জমির দলিল ডাউনলোড করা যাবে। কারণ এই জমির দলিল নিয়ে অথবা অন্যান্য বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে একশ্রেণীর লোক অসাধু পর্যায়ে অনেক টাকা দাবি সাধারণ মানুষের কাছে করে থাকে।
কিন্তু অনলাইনের মাধ্যমে আপনি যখন এই সেবা গ্রহণ করবেন তখন সেটা আপনার জন্য ভালো হবে এবং জমির দলিল ডাউনলোড করার ক্ষেত্রে খুব দ্রুত এগুলো ডাউনলোড করতে পারবেন। অর্থাৎ মূল দলিল সংগ্রহ করার ক্ষেত্রে তিন থেকে চার বছর সময় গ্রহণ করা হলেও অনলাইনের এই সিস্টেম চালু হওয়ার পর থেকে খুব দ্রুত আপনারা এটা ডাউনলোড করতে পারবেন বলে মনে করি।
তবে জমির দলিল হিসেবে আপনারা যদি নকল কতই উত্তোলন করতে চান তাহলে অফিশিয়াল ফি যত টাকাই হয়ে থাকুক না কেন আপনাদের থেকে মোটামুটি ভাবে ১৫০০ টাকা দাবি করতে পারে। ১৫০০ টাকা দিয়ে আপনি যদি জমি রেজিস্ট্রেশনের সেই মুহুরীকে দিতে পারেন তাহলে তারা সর্বোচ্চ এক সপ্তাহের মধ্যে এটা উত্তোলন করে আপনাদেরকে প্রদান করবে।
অরিজিনাল দলিলের মতো করে এখানেও আপনারা হুবহু তথ্যগুলো পেয়ে যাবেন এবং এখানেও অরিজিনাল স্ট্যাম্প ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনার জমি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য লিপিবদ্ধ করা থাকবে। তাই অরিজিনাল ডকুমেন্টস যারা পেতে চান তাদেরকে রেজিস্ট্রেশন করার তিন থেকে চার বছর অপেক্ষা করতে হবে অথবা কিছু কিছু ক্ষেত্রে এটা খুব দ্রুত পাওয়া যেতে পারে।
Leave a Reply