সাধারণত চতুর্থ শ্রেণী থেকে শিক্ষার্থীদের মৌলিক গুননীয়ক এর গণিতের সমস্যার সমাধান করতে হয়। তাই আপনারা যারা মৌলিক গুণনীয়ক বের করার নিয়ম জানতে এখানে ভিজিট করেছেন তাদের উদ্দেশ্যে আমাদের ওয়েবসাইটে মৌলিক গুণনীয় কিভাবে বের করতে হবে সে বিষয়ে বিস্তারিত ধারণা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব। তাছাড়া আপনি যখন মৌলিক গুণনীয়ক বের করতে পারবেন তখন সেটার মাধ্যমে আপনার যেকোন গুনিয়োগের অংকের সমস্যা সমাধান করতে পারবে অথবা গসাগু বের করতে পারবেন।
তাছাড়া শিক্ষার্থীদের ভেতরে গসাগু এবং লসাগু নিয়ে যে কনফিউশন রয়েছে এবং গুণনীয়ক ও গণিতক নিয়ে যে কনফিউশন রয়েছে সেটাও আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা সহজ ভাবে বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব। তাই যাদের মৌলিক গুণনীয়ক বের করার নিয়ম জানতে এখানে ভিজিট করার প্রয়োজন পড়েছিল তারা অবশ্যই সঠিকভাবে শেষ পর্যন্ত এই পোস্ট করে দেখবেন।
আমাদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থা অনুযায়ী যারা চতুর্থ শ্রেণিতে পড়াশোনা করে থাকেন তাদের তখন থেকেই এই মৌলিক গুণনীয়ক এর অধ্যায় চলে আসে। অনেকেই মৌলিক গুণনীয়ক না জানলেও লসাগু এবং গসাগু এ বিষয়টি খুব সহজেই মাথায় রাখতে পারেন। তাই আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে এটা বোঝাতে চাই যে গুণনীয়ক নির্ণয় করতে হবে তখনই যখন সেটার গসাগু বের করতে হবে। বিশেষ করে কোন একটা তথ্য দেওয়ার পরে সেটাকে যদি সর্বোচ্চ জনের মধ্যে ভাগ করে দেওয়ার কথা বলে অথবা কোন একটা নির্দিষ্ট অংশ যখন সবচেয়ে বেশি জনের মধ্যে ভাগ করে দেওয়ার কথা বলবে তখনই আমাদেরকে মৌলিক গুণনীয় করে নিয়ম অনুসরণ করতে হবে।
তাই কোন প্রশ্ন যদি কোন তথ্য দিয়ে দেওয়া থাকে এবং বেশ কয়েকটি সংখ্যা দেওয়ার পরে আপনাদেরকে যদি বলে এই সংখ্যাগুলোর সর্বোচ্চ গুননীয় কোনটি অথবা সর্বোচ্চ কত জনের মাঝে ভাগ করে দেওয়া যাবে তখন আপনারা মৌলিক গুণনীয়কের সহায়তা গ্রহণ করবেন। তাই আপনারা মৌলিক গুণনীয়ক বের করার ক্ষেত্রে সর্ব প্রথমে সংখ্যাগুলি লিখবেন এবং সেই সংখ্যাগুলিকে আপনাদেরকে ভাগ করতে হবে। প্রথমত যে কোন সংখ্যা সেটা মৌলিক সংখ্যা হওয়ার অথবা যৌগিক সংখ্যা হোক না কেন 1 এবং সেই সংখ্যা দিয়ে ভাগ যায়। তারপরে আপনারা অন্য সংখ্যা দিয়ে চেষ্টা করবেন এবং জোড় সংখ্যা হলে অবশ্যই দুই দিয়ে সেই সংখ্যাকে ভাগ যাবেন।
এরপরে আপনারা ধাপে ধাপে আরও বেশ কিছু সংখ্যা অনুসরণ করবেন এবং তিন দিয়ে এবং চার দিয়ে ট্রাই করবেন। এভাবে আপনারা সর্বোচ্চ বেশি সংখ্যা দিয়ে চেষ্টা করতে থাকবেন এবং দেখবেন যে আপনার সেই গুণনীয় অথবা ভাগ দেয়ার সংখ্যাগুলোর মাঝে দূরত্ব আস্তে আস্তে কমে আসছে। সাধারণত আপনি যদি ১২ এর মৌলিক গুণনীয়ক বের করতে চান তাহলে এখানে হবে এক, দুই, তিন, চার, ছয় 12। এভাবে আপনাদের যদি আরো কোন সংখ্যা দেওয়া হয় এবং সেই সংখ্যাগুলোকে আপনারা এভাবে মৌলিক গুণনীয়কের মাধ্যমে প্রকাশ করবেন। এক্ষেত্রে যতটি সংখ্যারই মৌলিক গুণনীয়ক বের করতে বলা হোক না কেন প্রত্যেকটি মৌলিক গুননীয়ক বের করে মিলিয়ে দেখবেন যে এর মধ্যে সর্বোচ্চ কোন সংখ্যাটি মিলে যাচ্ছে।
তাই সর্বোচ্চ মিলে আছে এমন সংখ্যাটি হবে মৌলিক গুননীয়ক এবং এটাই হবে আপনাদের সেই গসাগু এর উত্তর। তাই মৌলিক গুননীয়কের মাধ্যমে আপনারা যারা এটা নির্ণয় করতে চেয়েছিলেন তাদের সহযোগী বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হলো। তারপরও আপনাদের যদি এটা জানার বিষয় থাকে অথবা কোন বিষয়ে যদি এখনো দ্বিধা থেকে থাকে তাহলে কমেন্ট বক্সে লিখে জানাবেন। আর যারা গুণনীয়ক এবং গুণিতকের মধ্যে কনফিউশন করে ফেলেন তাদেরকে বলব যে গণিতক মানে হল গুণ। অর্থাৎ দুইয়ের গুণিতক হবে ৪, ৬, ৮, ১০ এবং আরো পরবর্তী সংখ্যা। আর গুণনীয়ক মানে হলো ভাগ এবং যে সংখ্যার গুণনীয় বের করবেন সেই সংখ্যাকে কত সংখ্যা দিয়ে অথবা কোন কোন সংখ্যা দিয়ে ভাগ করা যায় সেটারই একটা হিসাব।
Leave a Reply