প্রতিবন্ধী ভাতা পাওয়ার নিয়ম

প্রতিবন্ধী ভাতা পাওয়ার নিয়ম

যদি কেউ প্রতিবন্ধী ভাতা পাওয়ার নিয়ম জানতে চান অথবা প্রতিবন্ধী হওয়া সত্ত্বেও এখন পর্যন্ত ভাতা না পেয়ে থাকেন তাহলে আবেদন করতে পারেন। সমাজসেবা অধিদপ্তরের মাধ্যমে প্রতিবন্ধী ভাতা পাওয়ার জন্য আপনাদেরকে বর্তমানের নিয়ম অনুযায়ী অনলাইনে আবেদন করে সেটা অফিশিয়াল ভাবে জমা দিতে হবে। তাই যারা প্রতিবন্ধী ভাতা পাওয়ার ক্ষেত্রে একেবারে নতুন নিয়ম অনুসরণ করতে চাচ্ছেন তাদেরকে আমরা এ বিষয়গুলো জানিয়ে দিচ্ছি বলে আপনাদের অনেক সুবিধা হবে। তাই আপনাদের সুবিধার্থে আমরা এখানে প্রতিবন্ধী ভাতা পাওয়ার ক্ষেত্রে যে নিয়মগুলো রয়েছে সেগুলো আলোচনা করলাম। আশা করি এখানকার এই তথ্যগুলো করার ভিত্তিতে আপনারা যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করে প্রতিবন্ধী ভাতার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

বর্তমান সময়ে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার সারা দেশের প্রতিবন্ধীদের এই সকল সুযোগ-সুবিধা প্রদান করার জন্য সমাজসেবা অধিদপ্তরের মাধ্যমে দায়িত্ব প্রদান করেছেন। তাই যারা প্রতিবন্ধী ভাতা পাবেন বলে বিবেচিত অথবা যাদের শারীরিক সক্ষমতা নেই তারাই চাইলে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের ভিত্তিতে আবেদন করতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনারা যে এলাকার বাসিন্দা সেই এলাকার যে উপজেলা ভিত্তিক সমাজসেবা অধিদপ্তরের অফিস রয়েছে সেখানে গিয়ে যোগাযোগ করতে পারেন।

সাধারণত তাদেরকে বলে দিবে তারা আবেদন করে দিতে পারে অথবা তারা আপনাদের থেকে সরাসরি আবেদন গ্রহণ করতে পারে। তাই তাদের মাধ্যমে আবেদন করার সুযোগ দেয়া হয়ে থাকলেও সার্ভিস চার্জ প্রদান করতে হবে এবং আপনি চাইলে বাইরে কোন কম্পিউটার সার্ভিসের দোকান থেকে এটা করে নিতে পারেন। যার প্রতিবন্ধী কার্ড করবেন তার অবশ্যই টিকা কার্ড থেকে শুরু করে অথবা যদি বয়স্ক হয়ে থাকেন তাহলে জন্ম নিবন্ধন বা আইডি কার্ড দিয়ে এটা তৈরি করে নেওয়া যাবে। তাই আপনাদের উদ্দেশ্যে এখানে এই বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হলো বলে ডকুমেন্টস এর ভেতরে ছবি এবং উপরে উল্লেখিত কাগজপত্র গুলো আগে থেকে সংগ্রহ করে রাখুন।

তারপরে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করার ক্ষেত্রে সর্বসময় সঠিক নিয়ম অনুসরণ করতে হবে। যদি সমাজসেবা অধিদপ্তরের মানুষজন এটা করে দিতে চাই তাহলে তাদেরকে নির্দিষ্ট একটা আবেদন ফি প্রদান করার ভিত্তিতে কাজটি করে নিতে পারেন। আবেদনপত্র সাবমিট করার পর যখন আপনাদেরকে এটা পিডিএফ ফাইল আকারে ডাউনলোড করে দিবে তখন সেটার সঙ্গে আরও যে সকল কাগজপত্র সংযুক্তির কথা বলা হয়েছে সেগুলো সংযুক্ত করবেন।

সঠিকভাবে কাগজপত্র দিয়ে আপনারা যদি সমাজসেবা অধিদপ্তরের অফিসে গিয়ে জমা দিতে পারেন তাহলে তারা এটা গ্রহণ করবে। তবে বছরের একটা নির্দিষ্ট সময়ে এগুলো গ্রহণ করা হয়ে থাকে বলে আপনারা নিজ দায়িত্বে খোঁজখবর নিয়ে এই কাজগুলো করতে পারলে ভালো হয়। আর এক্ষেত্রে সমাজ কল্যাণ অধিদপ্তরের যে সকল দায়িত্বরত কর্মকর্তা রয়েছেন তারা আপনাদেরকে সঠিক তথ্য দিয়ে সাহায্য করবে। যদি তারা সঠিক তথ্য দেয় তাহলে সেই তথ্যের ভিত্তিতে কাজ করতে পারলে আশা করি আপনাদের এই প্রতিবন্ধী কার্ড নিশ্চিতভাবে হয়ে যাবেন এবং তিন মাস অন্তর অন্তর টাকা পেয়ে যাবেন।

তবে প্রতিবন্ধী কার্ড করার ক্ষেত্রে মেডিকেল সার্টিফিকেট প্রয়োজন হবে। অর্থাৎ একজন প্রথম শ্রেণীর ডাক্তার এর থেকে সার্টিফিকেট অথবা প্রত্যয়নপত্র সংগ্রহ করার ভিত্তিতে নিশ্চয়তা প্রদান করতে হবে যে তিনি আসলেই প্রতিবন্ধী এবং এই ভাতা পাওয়ার জন্য যোগ্য। তাহলে সেই তথ্যের ভিত্তিতে কর্তৃপক্ষ আবেদন গ্রহণ করবে এবং কি ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধী তা অবশ্যই বিস্তারিত হবে উল্লেখ করার প্রয়োজন রয়েছে।

এভাবে আপনারা যথাযথ প্রমাণপত্রের ভিত্তিতে প্রতিবন্ধীর আবেদন করে নিবেন। যদি স্থানীয় নেতাদের সুপারিশ নেওয়া সম্ভব হয় অথবা সরকারি দলের কর্মকর্তাদের সুপারিশ নিয়ে যেতে পারেন তাহলে এই ক্ষেত্রে আপনার গ্রহণযোগ্যতা বেশি বৃদ্ধি পাবে। সঠিকভাবে আমাদের কাজগুলো করতে পারলে কার্যকরী উপায়ে কার্ড আসার ভিত্তিতে একজন ব্যক্তি অবশ্যই প্রতিবন্ধী ভাতা প্রাপ্ত হবে। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে সাধারণভাবে আবেদন করলেই কাজগুলো হয়ে যায় বলে আপনারা সঠিক নিয়ম অনুসরণ করার ভিত্তিতে প্রতিবন্ধী ভাতা পেয়ে যাবেন।

About শাহরিয়ার হোসেন 4780 Articles
Shahriar1.com ওয়েবসাইটে আপনার দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় যা কিছু দরকার সবকিছুই পাবেন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*