দোকান ছাড়ার দরখাস্ত লেখার নিয়ম

দোকান ছাড়ার দরখাস্ত লেখার নিয়ম

বিভিন্ন প্রয়োজনে আমাদের দরখাস্ত বা আবেদন পত্র লিখতে হয়। যখন কোন অফিসিয়াল প্রয়োজনে দরখাস্ত, চিঠি লিখে পাঠানো হয়। তখন সেটি আবেদন পত্র বা দরখাস্ত নামে পরিচিতি পায়। তবে আবেদন পত্র বা দরখাস্ত লিখার একটি সুন্দর নিয়ম রয়েছে। সেই নিয়ম অনুসরণ করে আবেদন পত্রটি লিখলে সেই আবেদন পত্রটি অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য হয়। এজন্য অনেকেই দেখা যায় যে যখন বিভিন্ন প্রয়োজনে আবেদন পত্র বা দরখাস্ত লিখার প্রয়োজন হয় তখন অনলাইনে আবেদন পত্র বা দরখাস্ত কিভাবে লিখতে হবে বা কিভাবে লিখলে দরখাস্তটি বেশি সুন্দর হবে এই বিষয়গুলো খুঁজতে থাকে।

মূলত তাদের কথা মাথায় রেখে তারা যেন খুব সহজে বিভিন্ন বিষয়ে আবেদন পত্র লেখার নিয়ম গুলো সংগ্রহ করে নিতে পারে এবং উপকৃত হতে পারে এজন্যই আমাদের আজকের আর্টিকেলটি লেখা হয়েছে। আমাদের দরখাস্ত লিখার নিয়ম গুলো দেখানো হয়েছে। বিশেষ করে দোকান ছাড়ার সময় বিভিন্ন সময় দেখা যায় দরখাস্ত লেখার প্রয়োজন হয়। এই দোকান ছাড়ার সময় দরখাস্ত লেখার নিয়মটি এখানে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি। আপনি যদি দরখাস্ত লিখার এ ধরনের নিয়মগুলো খুঁজেন তাহলে আমাদের আজকের আর্টিকেলটি পড়তে পারেন। তাই আশা করি এখান থেকে উপকৃত হবেন।

সাধারণত বিভিন্ন প্রয়োজনে আমাদের দরখাস্ত, আবেদন পত্র লিখতে হয়। তবে দরখাস্ত, আবেদনপত্র অফিসিয়াল ভাবে লিখা হয়। আগের সময় আবেদন পত্র অনেক বেশি লেখা হত। বর্তমান সময়ে দেখা যায় যে আবেদন পত্র লেখার পরিবর্তে অনেক কমে গেছে বা যেকোনো অনলাইনের দোকানে গিয়ে চাইলে তারা লিখে দেয়। এর ফলে অনেক ব্যক্তি আবেদন পত্র কিভাবে লিখতে হয় এ বিষয়গুলো সম্পর্কে জানে না।

কিন্তু যে কোন দরখাস্ত লেখার ক্ষেত্রে নিজে লিখাটাই সবচেয়ে ভালো। আর নিজে লিখার জন্য যদি নিয়ম শিখিয়ে দেওয়া হয় তাহলে অনেক সহজ হবে। আসলে দরখাস্ত আবেদনপত্র কোন কঠিন জিনিস না। অনেক সহজ একটা জিনিস। নিয়ম গুলো যদি জানা যায় তাহলে যে কেউ খুব সহজে দরখাস্ত লিখতে পারবে আর তাই আমরা আমাদের আর্টিকেলটির মাধ্যমে নিয়মগুলো তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আপনি যদি এই আর্টিকেলটি দেখেন তাহলে খুব চমৎকার ভাবে দরখাস্ত লিখে নিয়ম শিখে নিতে পারবেন বলে আশা করছি।

যদি কোনো কারণে একজন ব্যক্তির দোকান ছেড়ে চলে যান বা অন্য জায়গায় দোকান আবার করতে চান তাহলে অনেক সময় দেখা যায় দরখাস্ত দেওয়ার প্রয়োজন হয়। তাই যদি কোন ব্যক্তি দোকান ছেড়ে দিয়ে চলে যান এবং এই কারণে দরখাস্ত লিখতে হয় তাহলে তাকে অবশ্যই দরখাস্তটা সুন্দর ভাবে লিখতে হবে।

দরখাস্তটি যে ব্যক্তির কাছে পাঠাচ্ছে তার কাছে সুন্দরভাবে লিখে পাঠানোটা খুবই জরুরী। দরখাস্ত লিখতে হলে প্রথমেই দরখাস্তের তারিখ লিখতে হবে। তারপর প্রাপকের নাম, পদবী এবং ঠিকানা লিখতে হবে। তারপর বিষয় লিখতে হবে, বিষযয়ে কোন কারণে দরখাস্ত লেখা হচ্ছে বা এখানে দোকান ছেড়ে যাচ্ছে এরকম কারণ উল্লেখ করতে হবে। বিষয় লিখার পরে জনাব দিয়ে মূল দরখাস্ত বা আবেদন পত্রটি শুরু করতে হবে।

এখানে যে কারণে দোকানটি ছেড়ে দেয়া হচ্ছে সেই কারণটি বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করতে হবে এবং এখানে যতটা সম্ভব সংক্ষিপ্তভাবে মূল বিষয়টি উপস্থাপন করতে হবে। আর ভুল তথ্য গুলো পরিহার করতে হবে। অপ্রয়োজনীয় বেশি বেশি তথ্য দরখাস্তে আবেদনপত্রে লিখা ঠিক না। তাই অপ্রয়োজনীয় তথ্যটি পরিহার করে যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু প্রয়োজন ও তথ্য ব্যবহার করতে হবে এবং কারণটা সুন্দরভাবে লিখতে হবে।

দরখাস্তটি লিখা শেষ হলে নিচে সুন্দরভাবে প্রেরকের নাম এবং ঠিকানা উল্লেখ করতে হবে। কেননা নাম, ঠিকানা উল্লেখ না করলে কে দরখাস্ত দিচ্ছে বা আবেদন পত্রটি পাঠাচ্ছে তা পরিষ্কারভাবে বুঝা যাবে না এবং দরখাস্তটি মঞ্জুর করা নাও হতে পারে। তাই দরখাস্ত সুন্দরভাবে লিখে প্রেরকের নামটিও সুন্দরভাবে লিখতে হবে।

About শাহরিয়ার হোসেন 4780 Articles
Shahriar1.com ওয়েবসাইটে আপনার দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় যা কিছু দরকার সবকিছুই পাবেন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*