আপনি কি অনুপস্থিতির জন্য কিভাবে ছুটির আবেদন লিখতে হবে এই বিষয়টি খুঁজছেন বা কিভাবে আবেদন লিখবেন এই নিয়ে ভাবনার মধ্যে রয়েছেন? তাহলে আর ভাবনার কোনো কারণ নেই। কারণ আপনি সঠিক জায়গায় এসে পৌঁছেছেন। আর আমাদের আজকের আর্টিকেলটিতে মূলত অনুপস্থিতির জন্য ছুটির আবেদন কিভাবে লিখতে হয় সেই বিষয়টি সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি। আশা করি আপনি যদি আমাদের আজকের আর্টিকেলটি অনুসরণ করেন বা পড়েন তাহলে অনুপস্থিতির জন্য কিভাবে দরখাস্ত লিখতে হবে বা
কিভাবে দরখাস্তটি লিখলে দরখাস্তটি গ্রহণযোগ্য হবে সেই বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা অর্জন করতে পারবেন এবং এভাবে দরখাস্ত লিখে আপনি দরখাস্তটি যে কোন প্রতিষ্ঠানে জমা দিতে পারবেন। কিন্তু দরখাস্তটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে আপনাকে আর্টিকেলটা সুন্দরভাবে পড়তে হবে। কেননা আপনি যদি আর্টিকেলটি না পড়েন তাহলে সব বিষয় আপনি ঠিকমতো বুঝতে নাও পারতে পারেন। আর এজন্য আর দেরি না করে চলুন শুরু করা যাক। আপনি আর্টিকেলটি পড়ে ফেলুন এবং দরখাস্ত লেখার নিয়মটি সংগ্রহ করে নিন।
কোন কারনে কোন শিক্ষার্থী তাদের বিদ্যালয় উপস্থিত হতে না পারে বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উপস্থিত হতে না পারে তাহলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানের নিকট দরখাস্ত লিখে সেই অনুপস্থিতির কারণটি উল্লেখ করতে হবে। যদি কোন শিক্ষার্থী এভাবে দরখাস্ত লিখে প্রতিষ্ঠান প্রধানের কাছে তাহলে প্রতিষ্ঠান প্রধান তার বিষয়টি বিবেচনা করে দেখবেন এবং দরখাস্তটি মন্তব্য করবেন। কিন্তু কোন শিক্ষার্থী যদি দরখাস্ত না লিখে তাহলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান তার বিষয়টি জানতে পারবেন না এবং তার ঠিক অনুপস্থিতির জন্য যে ছুটি লাগবে সেই বিষয়টিও সে মঞ্জুর করবে না।
তাছাড়া কেন সে অনুপস্থিত হল এ বিষয়টি দরখাস্তের মাধ্যমে না লিখে জানালে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান না জানার কারণে তাকে শাস্তি দিতে পারে বা তার জন্য শাস্তি ব্যবস্থা করতে পারে। তাই শাস্তির হাত থেকে বাঁচার জন্য আমাদের অবশ্যই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানের নিকট অনুপস্থিতির জন্য ছুটির আবেদন পত্র জমা দিয়ে অনুপস্থিতির কারণটি জানাতে হবে।
বিভিন্ন কারণে অনুপস্থিতি ঘটতে পারে। যেমন কোন কারনে কোন ব্যক্তি যদি অসুস্থ হয়ে পড়ে তাহলে সে অনুপস্থিত থাকতে পারে। আবার যদি কোন দুর্ঘটনা ঘটে তাহলেও সে হঠাৎ উপস্থিত হতে পারে কিংবা কোন হঠাৎ করে বাড়িতে অনুষ্ঠান বা বাড়ির কেউ যদি অসুস্থ হয়ে পড়ে তাও তার অনুপস্থিতি হতে পারে।
তাছাড়াও হঠাৎ কোনো দুর্ঘটনার কারণে বা বিশেষ কোন কারনেও অনুপস্থিতি করতে পারে। তবে যেই কারণে অনুপস্থিতি ঘটুক না কেন বা অনুপস্থিত হোক না কেন সে কারণ উল্লেখ করতে হবে এবং প্রধান শিক্ষকের নিকট দরখাস্ত পাঠাতে হবে। তাহলে সেই প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক অনুপস্থিতির কারণে ঠিকমতো করতে পারবেন এবং তার ত্রুটি মন্জুর করে দেবেন। আর তাকে শাস্তি দিবেন না।
অনুপস্থিতির জন্য ছুটি নিতে হলে অবশ্যই একটি দরখাস্ত সুন্দরভাবে লিখতে হবে। তবে একটি দরখাস্ত লিখতে হলে আমাদের অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যে দরখাস্তের মধ্যে যেন কাটাকাটি না হয়। আর যদি কোন কারনে কাটাকাটি হয়ে যায় তাহলে দরখাস্তটি বাদ দিয়ে পুনরায় দরখাস্ত লিখতে হবে। তাছাড়া ভূল পরিহার করতে হবে। দরখাস্তের মধ্যে কোন ধরনের ভুল করা যাবে না। কোন কারনে যদি দরখাস্তের মধ্যে ভুল হয়ে যায় তাহলে সে দরখাস্তটিও বাতিল করে আবার লিখতে হবে এবং সুন্দর ভাবে দরখাস্ত লিখে প্রধান শিক্ষকের কাছে উপস্থাপন করতে হবে।
আবার দরখাস্তের মধ্যে কেন অনুপস্থিত হয়েছে এ বিষয়টি বিশেষভাবে লিখতে হবে। কোন শিক্ষার্থী যদি অনুপস্থিতির কারণটি উপস্থাপন করতে না পারে তাহলে প্রতিষ্ঠানের প্রধান অনুপস্থিতির উপযুক্ত কারণ না জেনে ছুটিটি মঞ্জুর করতে না পারেন। এই বিষয়টি মাথায় রেখে অবশ্যই সঠিক কারণ উল্লেখ করে দরখাস্তটি লিখতে হবে। আর দরখাস্ত লেখা শেষে অবশ্যই নিজের নাম, ঠিকানা, শ্রেণী, রোল এ বিষয়গুলো লিখতে হবে এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম লিখতে হবে। তাহলে দরখাস্তটি গ্রহণযোগ্য হবে।
Leave a Reply