অনেক সময় দেখা যায় যে বিভিন্ন প্রয়োজনে আমাদের অগ্রিম ছুটি নেওয়ার প্রয়োজন হয়। কোন প্রতিষ্ঠান থেকে বা অফিস থেকে যদি অগ্রিম ছুটি নেওয়ার প্রয়োজন হয় তখন অবশ্যই অগ্রিম ছুটি নেওয়ার জন্য সেই অফিসে বা প্রতিষ্ঠানে দরখাস্ত বা আবেদনপত্র জমা দিতে হয়। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় যে সেই দরখাস্ত বা আবেদনপত্রটি কিভাবে লিখতে হবে, এটা অনেকেই বুঝতে পারে না। বা কিভাবে লিখলে দরখাস্তটির গ্রহণযোগ্য হবে এই বিষয়ে অনেকে অবগত থাকে না।
তাই অনেকেই এই ধরনের আবেদন পত্র বা দরখাস্ত লিখতে গিয়ে সমস্যার সম্মুখীন হয়। মূলত তাদের কথা মাথায় রেখেই এবং তারা যেন উপকৃত হয় এজন্য আমাদের আজকের আর্টিকেলটি লিখা হয়েছে। আশা করি এই আর্টিকেলটি থেকে যে কেউ খুব সহজে অফিসে অগ্রিম ছুটির জন্য কিভাবে আবেদন পত্র লিখতে হবে সেই বিষয়টি সম্পর্কে ধারণা অর্জন করতে পারবেন। তাছাড়া এখানে আবেদন পত্র লিখার নমুনাও দেওয়া থাকবে। এগুলো থেকে আপনি খুব সহজে অগ্রিম ছুটির জন্য আবেদন পত্র লেখার নিয়ম আয়ত্ত করে নিতে পারবেন।
বিভিন্ন প্রয়োজনে অফিস থেকে ছুটির বা অগ্রিম ছুটির দরকার হতে পারে। আর অফিস থেকে অগ্রিম ছুটি নিলে অবশ্যই অফিসের প্রধান কে দরখাস্তের মাধ্যমে বা আবেদনপত্র দেওয়ার মাধ্যমে অবগত করতে হবে। কিন্তু দরখাস্ত লিখতে হলে অবশ্যই দরখাস্ত লেখার নিয়মটি জানতে হবে। সঠিকভাবে দরখাস্ত না লিখলে দরখাস্তটি গ্রহণযোগ্য হয় না। তাই সঠিক নিয়মে দরখাস্ত লিখে উপস্থাপন করতে হবে।
যে সকল ব্যক্তির দরখাস্ত লিখতে সমস্যা হয়, তারা আমাদের আজকের আর্টিকেলটি পড়তে পারেন। আপনি যদি আমাদের আজকের আর্টিকেল পড়েন, তাহলে আপনি অফিসের অগ্রিম ছুটির জন্য দরখাস্ত লেখার সুন্দর সুন্দর ধারণা অর্জন করতে পারবেন এবং এভাবে যদি দরখাস্ত লিখেন তাহলে দরখাস্ত অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য হবে বলে আশা করছি।
অগ্রিম ছুটির জন্য দরখাস্ত লিখতে হলে দরখাস্তটি সুন্দর ভাবে লেখার প্রয়োজন। তাছাড়া একটি দরখাস্ত লিখতে হলে অবশ্যই কি কারণে দরখাস্তে লেখা হচ্ছে বা কি কারনে ছুটি প্রয়োজন সেই কারণটি স্পষ্ট ভাবে উল্লেখ করতে হবে। কারণ যদি ছুটি নেওয়ার কারণটি উল্লেখ না করা হয়, তাহলে সেই দরখাস্তটি বিবেচনা নাও হতে পারে। এজন্য অবশ্যই দরখাস্তের মধ্যে মূল কারণটা বা বিষয়গুলো সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে হবে।
কোন ব্যক্তি যদি মূল কারণটি উপস্থাপন না করে তাহলে সে দরখাস্তটি সঠিকভাবে উপস্থাপিত হবে না। আবার একটি দরখাস্ত লিখলে ভাষাটাও সুন্দর হতে হবে। অস্পষ্ট ভাষা ব্যবহার করা যাবে না। অস্পষ্ট ভাষা ব্যবহার করলেও সেই দরখাস্তটির গ্রহণযোগ্যতা নষ্ট হয়ে যায়। এদিকে খেয়াল রাখতে হবে। খেয়াল রেখে স্পষ্ট ও বোধগম ও ভাষা ব্যবহার করতে হবে।
অগ্রিম ছুটির অনেক সময় বিভিন্ন প্রয়োজনে নেওয়া হয়। যেমন বাড়িতে যদি কোন অনুষ্ঠান থাকে, তাহলে অগ্রিম ছুটির প্রয়োজন হতে পারে বা কোথাও ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান থাকলেও অগ্রিম ছুটির প্রয়োজন হতে পারে। তাছাড়া অসুস্থতার জন্য মানুষ ছুটি নিতে পারে। এ সকল বিষয়ে ছুটি নিতে হলে অগ্রিম ছুটির দরখাস্ত লিখে অফিসে জমা দিতে হবে। অগ্রিম ছুটির দরখাস্ত লিখতে হলে প্রথমে তারিখ লিখতে হবে এবং তারিখের পরে সেই অফিসের প্রধানের নাম এবং ঠিকানাটি সুন্দরভাবে লিখতে হবে।
তারপর বিষয় উল্লেখ করতে হবে। অগ্রিম ছুটির আবেদন বা তিন দিনের অগ্রিম ছুটির আবেদন এই বিষয়টি অবশ্যই দরখাস্তের বিষয়ে উপস্থাপন করতে হবে। তারপর মূল দরখাস্তটি লেখা শুরু করতে হবে। মূল দরখাস্তটিতে প্রথমে নিজের নাম ঠিকানা দিয়ে শুরু করলে ভালো হয়। তারপর কি কারণে ছুটির প্রয়োজন বা কি কারণে অগ্রিম ছুটি নেওয়া হচ্ছে এই বিষয়টি সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে হবে। এই বিষয়টি হচ্ছে মূল বিষয়। কারণ ছুটি নেওয়ার কারণটি যদি বুঝানো যায়, তাহলে এই ছুটি মঞ্জুর হতে পারে।
Leave a Reply