নৈমিত্তিক ছুটির দরখাস্ত লেখার নিয়ম

নৈমিত্তিক ছুটির দরখাস্ত লেখার নিয়ম

সাধারণত আবেদনপত্রই দরখাস্ত নামে পরিচিত। ছুটির প্রয়োজন হলে বা বিভিন্ন কারণে আমরা অফিসিয়াল ভাবে যে পত্র আদান-প্রদান করি তাই সাধারণত আবেদনপত্র বা দরখাস্ত নামে পরিচিত। আর এই দরখাস্ত আমরা সাধারণত স্কুল, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়, বিভিন্ন অফিস আদালতে ব্যবহার করে থাকি। আমাদের অনেক সময় ছুটির প্রয়োজন হয় এবং সেই সময়গুলোতে ছুটির জন্য আবেদন পত্র লিখতে হয়।

আর তাই ছুটির আবেদন পত্র লিখার নিয়ম যেন আমাদের জন্য অত্যন্ত জরুরী যে সকল ব্যক্তির আবেদন পত্র লিখতে সমস্যা হয় বা কিভাবে লিখতে হবে এ সম্পর্কে অবগত নয়। মূলত তারা আমাদের আজকের আর্টিকেলটি পড়লে আশা করি আবেদনপত্র বা ছুটির জন্য আবেদন পত্র কিভাবে লিখতে হবে এ বিষয়টি পরিষ্কারভাবে বুঝতে পারবে এবং এই বিষয়ে আর কোন সমস্যা থাকবে না। আর এজন্য আপনাকে আমাদের আজকের আর্টিকেলটি সুন্দরভাবে পড়তে হবে। তাহলে আপনি সুন্দরভাবে বিষয়টা বুঝতে পারবেন বলে আশা করছি।

বিভিন্ন কারণে আমাদের ছুটির প্রয়োজন হতে পারে। তবে ছুটির প্রয়োজন হলে আমরা যেখানে রয়েছি বা যদি কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী হয়ে থাকে তাহলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিকট দরখাস্ত পত্র লিখে পাঠাতে হবে। যেমন অসুস্থতার জন্য ছুটির প্রয়োজন হতে পারে, কোন অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্য ছুটি প্রয়োজন হতে পারে বা কোথাও বেড়াতে গেলে ছুটির প্রয়োজন হতে পারে বা পরিবারের কেউ অসুস্থ হলে তার পাশে থাকার জন্য ছুটির প্রয়োজন হতে পারে যে কারণে ছুটির প্রয়োজন হোক না

কেন আবেদন পত্র লিখে প্রধান শিক্ষকের নিকট জমা দিতে হবে বা কোন অফিসে যদি কর্মরত থাকা যায় তাহলে সেই অফিসের জমা দিতে হবে। আর এ জন্য সুন্দর ভাবে দরখাস্ত লিখতে হবে। দরখাস্তটি অবশ্যই কি কারণে ছুটির প্রয়োজন সেই কারণটা সুন্দরভাবে উল্লেখ করতে হবে। কারণটি যদি সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা না যায় তাহলে দরখাস্তটি গ্রহণযোগ্য হবে না এই বিষয়টি মাথায় রেখে সুন্দর ভাবে দরখাস্ত উপস্থাপন করতে হবে এবং মূল বিষয়টি বা যে কারণে ছুটির প্রয়োজন সেই বিষয়টি বিশেষভাবে উল্লেখ করতে হবে।

কোন ব্যক্তি যদি দরখাস্ত লিখে তাহলে অবশ্যই তাকে সুন্দরভাবে দরখাস্ত লিখতে হবে। কারণ একটি দরখাস্ত খুব সুন্দর ভাবে লিখা প্রয়োজন। কেননা দরখাস্ত অফিসিয়াল কাজে ব্যবহার করা হয়। এ বিষয়টি মাথায় রেখে আমাদের অবশ্যয় সুন্দর ভাবে দরখাস্ত লিখতে হবে এবং দরখাস্তের মধ্যে সর্বোচ্চ কাটাকাটি পরিহার করতে হবে। আর যদি কোন কারনে দরখাস্ত কাটাকাটি হয়ে যায় বা বেশি কাটাকাটি হয়ে যায় তাহলে তা বাতিল করে পুনরায় দরখাস্ত উপস্থাপন করতে হবে। কেননা কাটাকাটি করলে সেই দরখাস্তটি গ্রহণযোগ্য হয় না।

আবার দরখাস্তের মধ্যে যদি কোনো কারণে ভুল হয়ে যায় তাহলে সে ভুলগুলো বাদ দিতে হবে বা দরখাস্ত বাতিল করে আবার লিখে জমা দিতে হবে। কারণ ভুল লেখা হলেও দরখাস্তটি গ্রহণযোগ্য হবে না। তাছাড়া অতিরিক্ত কথা ও লেখা ঠিক নয় বা অপ্রয়োজনও কথাবার্তা ও পরিহার করতে হবে। যে কথাগুলো প্রয়োজন সেই বিষয়টি সংক্ষিপ্তভাবে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে হবে। তাহলে দরখাস্ত অনেক ভালো হয়।

অনেকেই দেখা যায় যে মনে করে যে বড় লিখলে বা বেশি লিখলে ভাল হবে কিন্তু তা আসলে ঠিক নয় বা এ ধারণাটি ভুল। দরখাস্ত সংক্ষিপ্তভাবে এবং মার্জিত ভাবে লেখা উত্তম যে ব্যক্তি সুন্দরভাবে এবং সংক্ষিপ্তভাবে যেকোনো বিষয়ে দরখাস্ত লিখে উপস্থাপন করতে পারে। তাই দরখাস্তটি বেশি গ্রহণযোগ্যতা পায়।

আর একটি দরখাস্তের মধ্যে অবশ্যই প্রথমে তারিখ, তারপরে প্রাপকের নাম ও পদবীর নাম সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে হবে। দরখাস্তটির বিষয় দিতে হবে এবং মূল দরখাস্তটি সুন্দরভাবে লিখতে হবে। মূল দরখাস্তটির মধ্যে দরখাস্তটি কেন লেখা হচ্ছে বা কি কারণে ছুটির প্রয়োজন সেই বিষয়টি উপস্থাপন করতে হবে এবং নিচে অবশ্যই প্রেরকের নাম এবং ঠিকানা সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে হবে।

About শাহরিয়ার হোসেন 4780 Articles
Shahriar1.com ওয়েবসাইটে আপনার দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় যা কিছু দরকার সবকিছুই পাবেন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*