
আমরা আমাদের সামাজিক বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের জন্য এবং সামাজিক উন্নয়নের জন্য এমপির কাছে দরখাস্ত লেখা হয়। বিভিন্ন কর্তৃপক্ষ বিদ্যালয় বিভিন্ন বড় বড় প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে এমপির নিকট দরখাস্ত লেখা হয়। বিভিন্ন ধরনের সামাজিক কল্যাণমূলক এনজিও তাদের আর্থিক উন্নয়নের জন্য এমপির নিকট দরখাস্ত লিখে থাকেন। রাস্তাঘাট সেতু অথবা ব্রিজ নির্মাণের কাজে এমপির নিকট আবেদনপত্র জানাতে হয়। বিদ্যালয়ে নানা ধরনের সুযোগ সুবিধার জন্য এমপির নিকট দরখাস্ত লিখতে হয়।
এরকম নানা সামাজিক কল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডে এমপির কাছে তথ্য প্রদানের মাধ্যমে দরখাস্ত প্রদান করতে হয়। ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠায় এমপি নিকট দরখাস্ত লেখার ব্যাপারটা সম্ভব হয়ে ওঠেনা। তাই সম্মানিত পদ্ধতিতে ঐক্যভাবে কোন সমস্যা সমাধানের জন্য আর্থিক সাহায্যের জন্য এমপির নিকট দরখাস্ত পেশ করা হয়। নির্দিষ্ট এলাকার বাসিন্দা রা
বিভিন্ন ধরনের সামাজিক সমস্যার জন্য তাদের এলাকায় নির্বাচিত এমপি নিকট দরখাস্ত লিখে তাদের সমস্যার সমাধান করে নিতে পারে।
একটি সমাজের উন্নয়নের পেছনে মুখ্য ভূমিকা পালন করে উক্ত সমাজের এমপি। এমপির নিকট দরখাস্ত লেখা একটি সাধারণ বিষয়। সাধারণ জনগণ নিজেদের প্রয়োজনে এমপির নিকট দরখাস্ত লেখে। জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত এমপি এর মূল কাজ হল জনগণের সমস্যা সমাধান করা
। জনগণের অধিকার রয়েছেন তাদের নির্বাচিত প্রতিনিধিকে তাদের সমস্যা সম্পর্কে অবগত করে তার থেকে প্রতিকার পাওয়ার। এসব বড় বড় প্রতিষ্ঠানের নিকট দরখাস্ত লেখা
লেখার ব্যাপারটি সাধারণ বিষয় হলেও যে কেউ এমপি নিকার দরখাস্ত লেখার জন্য একটু ভয় পায়। কারণ যেহেতু একটি প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিত্ব নিকট দরখাস্ত পাঠানো হবে সেজন্য অবশ্যই দরখাস্তটি যেন নির্ভুল এবং গ্রহণযোগ্য হয় সেদিকে সবারই নজর থাকে।
আমাদের অনেক বন্ধুগণ সার্চ করে থাকেন কিভাবে এমপি নিকট একটি সুন্দর দরখাস্ত লেখা যায়। অথবা এমপি নিকট দরখাস্ত লেখার নিয়ম। এমপি একটি সম্মানীয় ব্যক্তি। কর্মজীবনে তার ব্যস্ততার অভাব নেই। সাধারণ জনগণের সমস্যা সমাধান করায় উক্ত এলাকায় নির্বাচিত এমপির প্রধান কাজ।
সুতরাং সম্মিলিতভাবে ঐক্য প্রচেষ্টায় একটি সুন্দর দরখাস্ত এমপির নিকট লিখতে হবে। দরখাস্ত টি নির্ভুল এবং যুক্তি বহও হতে হবে।
এমপি নিকট দরখাস্ত লেখার জন্য কিছু এডভাইস:-
অবশ্যই বাংলা ভাষায় শুদ্ধভাবে একটি দরখাস্ত লেখার চেষ্টা করবেন। হাতের লেখার উপর নজর দিয়ে সুন্দর পরিষ্কার ভাবে লিখতে হবে। আপনি যে এলাকার বাসিন্দা সে এলাকার সম্পর্কে সকল তথ্য উল্লেখ করতে হবে। এলাকার সম্মানীয় বা প্রতিষ্ঠিত কিছু ব্যক্তির সুপারিশ থাকতে হবে। তারপর জনগণের সমস্যার সম্পর্কে সকল তথ্য ও সুন্দরভাবে ধারাবাহিকভাবে লিখতে হবে। যদি কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সম্পর্কে দরখাস্ত হয়ে থাকে তাহলেও বিষয় সম্পর্কে সুন্দরভাবে উল্লেখ করতে হবে।
প্রথমে মাননীয় এমপি কে শ্রদ্ধা জানিয়ে, তারিখ উল্লেখ করে দরখাস্ত লেখা শুরু করতে হবে। তারপর বাংলা ভাষায় যথাযথ সাংকেতিক চিহ্ন ব্যবহার করতে হবে।
যে বিষয় সম্পর্কে দরখাস্তটি লেখা হচ্ছে প্রথমে বিষয় উল্লেখ করে টাইটেল আকারে বিষয়টি সুন্দরভাবে লিখতে হবে।
তারপর যেভাবে বাংলা ভাষায় দরখাস্ত লিখতে হয় যেমন,
জনাব মহাশয় সবিনয় নিবেদন এই যে এই কথাটি উল্লেখ করে আপনাদের মনের মত করে শুদ্ধ বাংলা ভাষার প্রয়োগ করে একটি সুন্দর দরখাস্ত তৈরি করতে সক্ষম হবেন।
দরখাস্ত যাবতীয় তথ্য লেখার পরে সর্বশেষে আবারো মাননীয় এমপি কে সম্মান প্রদর্শন করতে হবে। তারপর এলাকার ওয়ার্ড নাম্বার এবং ডাকঘর উল্লেখ করতে হবে। যে ব্যক্তি দ্বারা দরখাস্তটি লেখা হচ্ছে অবশ্যই সে ব্যক্তির নাম উল্লেখ থাকতে হবে। এভাবে একটি সুন্দর বাংলা দরখাস্ত তৈরি করা যায়। এভাবে একটি সুন্দর দরখাস্ত তৈরি করে এমপির কাছে পেশ করা যাবে। আশা করি আমাদের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণভাবে পড়ে আপনি বুঝতে পারবেন যে এমপির নিকট কিভাবে দরখাস্ত লিখতে হয় ।
শুধু এমপির নিকোটি নয় জনগণের প্রয়োজনে যে কোন বড় বড় প্রতিষ্ঠানে দরখাস্ত লিখতে হয়। ব্যক্তিগত এবং সামাজিক নানা সমস্যার প্রতিকারের সরকারি বিভিন্ন বড় বড় প্রতিষ্ঠানে দরখাস্ত মাধ্যমে তথ্য প্রদান করতে হয়। তাই এগুলো যৌথ কার্যক্রমে যখন দরখাস্ত লেখা হয় তখন সবাই একটু বেশি সচেতনতা দেখায়। সুতরাং এমপির নিকট দরখাস্ত লেখার বিষয়টি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
Leave a Reply