আমরা হলাম বাঙালি। মাছে ভাতে বাঙালি হলেও এখন অনেক বাঙালি কিন্তু রুটি খেতে ভালোবাসেন বেশি। কারণ প্রথমত গম থেকে তৈরি হওয়া আটার রুটি হৃদরোগকে দূরে রাখতে সাহায্য করে ও হার্ট এটাকে দূরে রাখে। এছাড়াও যাদের ডায়াবেটিকস রয়েছে তারা রুটি খেয়ে বেছে নিয়েছে তাদের প্রধান খাদ্য হিসেবে। রুটিতে ক্যালরির পরিমাণ খুব কম থাকার কারণে ডাক্তাররা ভাতের বদলে রুটি খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
তবে এ পছন্দের রুটি খেলে যদি প্রচুর গ্যাস হয় তাহলে কিন্তু রুটি খাওয়া অনেক বিপদজনক হয়ে পড়ে। আপনারা অনেকেই এই প্রশ্নটি করেছেন যে রুটি খেলে কি গ্যাস হয়? আমরা সব সময় আপনাদের প্রশ্নের উত্তরগুলো সঠিকভাবে দেওয়ার জন্য আমাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে নিয়ে আসে শুধুমাত্র আপনাদের জন্য নতুন নতুন সব আর্টিকেল। ঠিক সেই রকমই আজকেও এসেছি আপনাদের মাঝে নতুন একটি আর্টিকেল নিয়ে। আজকের আর্টিকেলের মূল আলোচ্য বিষয় হলো রুটি খেলে গ্যাস হয় কিনা সেই সম্পর্কে। তো চলুন বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।
গ্লুটেনের সমস্যা
আমরা গম থেকে যে রুটি খাই সেই রুটিতে গ্লুটেন অবস্থিত থাকে। এই গ্লুটেন অনেকের সহ্য করতে পারেন না, এছাড়াও এতে করে অনেকের এলার্জিও হতে পারে। যাদের আগে থেকে এলার্জির সমস্যা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে গমের রুটিতে আরো বেশি করে অ্যালার্জি সৃষ্টি হয়। অনেক সময় এই গ্লুটেনের কারণে হজমের গোলমালও দেখা যায় রুটি খেলে। এতে করে গ্যাসের সমস্যাটাও বেড়ে যায়।
রুটি খেলেই গ্যাস?
দুঃখের বিষয় রুটিতে অনেক পুষ্টি থাকলেও অনেকের ক্ষেত্রেই দেখা যায় রুটি খেলে তাদের এসিডিটি হয়। শরীর সুস্থ রাখতে ভাতের বদলে রুটি খেতে চাইলেও শরীর সঙ্গ দেয় না তাদের। এটা খুবই দুঃখজনক একটি ব্যাপার। যেহেতু আমরা বাঙালি আমাদের প্রিয় খাবার হল ভাত। তবে এখন অনেক সমস্যার কারণে আমাদের প্রিয় খাবার হয়ে উঠেছে রুটি। আর সে রুটি খেলে যদি এসিডিটি হয় তাহলে আর কি করার? ফলে রুটি খাওয়ার অনতিবিলম্বে শুরু হয় বুক জ্বালা নয়তো অম্বলের সমস্যা কিংবা গ্যাস। বাধ্য হয় তখন ভরসা রাখতে হয় হজমের ঔষধের বা গ্যাসের ওষুধের।
তবে কিছু পদ্ধতি রয়েছে যে পদ্ধতিতে আমরা যদি রুটি বানায় তাহলে ওই রুটি খেলে আমাদের অ্যাসিডিটির সমস্যা হবে না। চলুন সেই পদ্ধতি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
গরম পানিতে আটা মাখুন: আমরা সাধারণত দুই রকম করে রুটি মাখাতে পারি। একটি হলো ঠান্ডা পানিতে আটা মাখিয়ে রুটি বানানো আরেকটি হলো গরম পানিতে আ টা মাখিয়ে রুটি বানানো। এটি খুব সাধারন একটি পদ্ধতি কিন্তু তাও অনেকে এটি জানেন না। আমাদের সকলের বাড়িতেই দৈনন্দিন রুটি বানানোর ক্ষেত্রে প্রায় সকলেই সাধারণ পানিতে আটা মেখে থাকেন। কিন্তু এমনি পানিতে আটা মাখালেই সেই রুটি খেলে গ্যাসের সমস্যা বেশি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই আমাদের উচিত গরম পানিতে আটা মাখিয়ে রুটি বানানো।
এবার থেকে রুটি বানানোর আগে আটা মাখার সময় যে পানি দিয়ে আটা মাখবেন সেটিকে হালকা করে গরম করে নিন। এবার এই গরম পানি দিয়ে আটা ভালো করে মেখে নিন। এই গরম পানিতে মাখা আটার তৈরি রুটি খেলেই দেখবেন বুক জ্বালা অম্বল গ্যাসের সমস্যা একেবারেই দূর হয়ে গিয়েছে। শুধু তাই নয় গরম পানিতে দিয়ে আটা মাখলে আপনার রুটিগুলো খুব নরম হবে এবং সুন্দর ফুলে উঠবে।
তাই আর চিন্তাভাবনা না করে এবার থেকে রুটি করতে হলেই গরম পানিতে আটা মাখন আর গ্যাস অম্বল থেকে দূরে থাকুন।
আশা করি আপনারা যারা আমাদের আর্টিকেলটি সম্পন্ন করেছেন তারা অবশ্যই জেনে গেছেন যে রুটি খেয়ে গ্যাসের সমস্যা দূর করার উপায় গুলো সম্পর্কে। সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন আর আমাদের আর্টিকেলগুলো মনোযোগ সহকারে পড়ুন। কারণ আমাদের আর্টিকেলে রয়েছে আপনাদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর। যা আপনাদের সকল সমস্যার সমাধান হতে পারে।
Leave a Reply