স্কুল বন্ধুরা আমাদের জীবনের প্রথম বন্ধু। বাড়ির আঙিনা পেরিয়ে যখন আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি হই, তখন আমাদের সামনের নতুন আরেকটি পরিবেশ অথবা পরিবার উম্মোচিত হয়। এই পরিবারের শিক্ষা দেওয়ার জন্য একজন বয়স জ্যেষ্ঠ পিতৃসুলভ শিক্ষক যেমন আছেন তেমনই কথা বলার মতো এবং আড্ডা দেওয়ার মত রয়েছে ভাই বোনের মত বন্ধু। তবে সময় গড়িয়ে যায় সময়ের মতো এবং একজন ছাত্র বা ছাত্রী তার নিজস্ব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে পাশ করে পরবর্তী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়।
কিন্তু এ সকল স্কুলের বন্ধু আমাদের জীবনে একটা বিশেষ জায়গা জুড়ে অবস্থান করে। এ সকল বন্ধুদের আমরা স্কুল পর্যায়ে থাকাকালীন সময়ে যতটা না ভালোবাসি তার চাইতে বেশি ভালবাসি স্কুল থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরে। কারণ তাদের সহ অবস্থানটা একটা সময় বিলীন হয়ে যায় এবং আমরা অন্য পরিবেশে গিয়ে তাদের চরম আকারে মিস করি। তাই আপনার কোন বন্ধুকে যদি আপনি মিস করেন তাহলে আমাদের ওয়েবসাইট থেকে স্কুল বন্ধুদের নিয়ে স্ট্যাটাস সংগ্রহ করেন এবং সেগুলো আপনাদের সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম অথবা ফেসবুকে শেয়ার করুন।
আমাদের বয়স যখন পাঁচ বা ছয় বছর হয় তখন আমাদের পিতা বা মাতা আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এনে ভর্তি করিয়ে দেন। কয়েকদিনের মধ্যেই আমাদের জুটে যাই অনেকগুলো বন্ধু। এসকল বন্ধু আস্তে আস্তে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলে এবং আমাদের মতামত চাওয়া পাওয়াকে মূল্যায়ন করে আমাদের সঙ্গে প্রতিদিন মিশে। বন্ধুদের সংস্পর্শে এসে আমাদের লেখাপড়ার মধ্যে প্রতিযোগিতা সৃষ্টি হয় এবং কে ভালো করবে এই প্রতিযোগিতায় আমরা নেমে যাই। আবার অনেক বন্ধু আছে যারা খারাপ সঙ্গে থেকে খারাপ পথে পরিচালিত হয়।
তবে স্কুল লাইফের যেকোনো বন্ধু রয়েছে তারা বয়স কম হয় খারাপ পথে পরিচালিত হয় না এবং তারা সকলেই ভাল হয়। যেহেতু তারা পবিত্র শিশু সেহেতু তাদের ভেতরে পাপ-পঙ্কিলতা নেই। এ সকল বন্ধু আমরা যখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছেড়ে বেরিয়ে যায় তখন তাদেরকে মিস করতে শুরু করি। কারণে স্কুল লাইফে তারা আমাদের সঙ্গে থাকলেও কলেজ লাইফ এবং ইউনিভার্সিটি লাইফে আমরা এক একটা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয় এবং আমাদের জীবন থেকে তারা একে একে দূরে চলে যাই।
অবশ্য অনেক বন্ধু রয়েছে যারা দূরে গেলেও মনের দূরত্ব কমিয়ে হৃদয়ের মণিকোঠায় সব সময় অবস্থান করে। এসকল বন্ধু হলো আসল বন্ধু। এ সকল বন্ধুকে আমি কখনোই ভুলি নাই এবং তাদের সঙ্গে আমাদের স্কুল জীবনের ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনা আমরা সব সময় স্মৃতিচারণ করতে থাকি। তাদেরকে বিশেষ ভাবে মিস করতে থাকে এবং মনে করতে থাকে আগেকার জীবন অনেক ভালো ছিল। যে জীবনে ছিল না কোনো প্রতিযোগিতা, বরং সেই জীবনে ছিল শুধু উদ্দাম আনন্দ। তাই আপনাদের জন্য আমাদের ওয়েবসাইটে স্কুল বন্ধুদের নিয়ে স্ট্যাটাস শেয়ার করেছি। এগুলো যদি আপনারা পড়েন তাহলে আপনাদের ভেতরে বন্ধুত্বের টান সৃষ্টি হবে এবং আপনাদের মনের ভেতরের আবেগ শেয়ারের মাধ্যমে প্রকাশ পাবে।
“হে বন্ধু, তোর দূরে থাকা আমাকে আজকে বড় ভাবায়। জানিনা কোথায় আছিস এবং কেমন আছিস। তবে সব সময় দোয়া করি তুই ভালো থাকিস এবং আমাকে মিস করিস। তোর সাথে কাটানো প্রত্যেকটা মুহূর্ত আমার জীবনে আনন্দময় হয়ে থাকবে। খুব তাড়াতাড়ি দেখা করিস আমাদের সঙ্গে এবং তোর সর্বাঙ্গীন কল্যাণ কামনা করি।”
“প্রিয় বন্ধু আমার, মনে আছে কি তার সেই দিনের কথা ? আমরা একসাথে বৃষ্টি ভেজা দিনে মাঠে ফুটবল খেলে ছিলাম এবং পুকুরে একসাথে গোসল করেছিলাম। সেই দিনের আনন্দ আমি কখনোই ভুলতে পারবো না। আজকের দিনে আমার অনেক টাকা পয়সা হয়েছে, কিন্তু সেই সুখ আমি কখনোই কিনতে পারিনি। তাই অতিসত্বর দেখা করে এবং চল আমরা হারিয়ে যাই সেই পুরাতন দিনগুলোতে। উদ্দাম প্রান্তরে ঘুরে বেড়াই আমরা সকলে।”
“জানিনা তুই কোথায় আছিস এবং কেমন আছিস। তবে অনেকদিন তোর সঙ্গে যোগাযোগ নেই। তুই চাইলে খুব তাড়াতাড়ি দেখা করতে পারিস। কারণ আমি অতি সত্বর দেশে আসছি এবং সকল বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করব বলে ভাবছি। আগেরবার যখন এসেছিলাম তখন তোর পরিবারের কারও সঙ্গে দেখা হয়নি। এবার চাই, তুই তোর পরিবারের সকলের সঙ্গে আমাকে দেখা করা এবং আমার ছুটির দিনগুলোতে আমার সঙ্গে থাক।”
“স্কুল থেকে এত দূরে যেও আমার আজকে সেই স্কুলের কথাই বারবার মনে পড়ে। যদি তার ভুল না হয় তাহলে আজকের এই বিশেষ দিনটির কথা তোর মনে পড়বে। এই বিশেষ দিনটির জন্যই তোকে জানাবো বলে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছি। যদি বিশেষ দিনটিতে জেনে থাকিস তাহলে অবশ্যই আমাকে ইনবক্সে অথবা কমেন্টে জানিয়ে দে আজকের এই বিশেষ দিনটি কি ছিল। দেখব তোর বন্ধুত্বের দৌড় কতদূর এবং এই বিশেষ দিনটিতে কতটুকু মনে আছে।”
“আজকে হাজার হাজার টাকা খরচ করে আমি যে কোন ভালো খাবার কিনতে পারি। কিন্তু আমার সেই মনে পড়ে তোর সঙ্গে ভাগ করে অল্প টাকায় কিনে খাওয়া টিফিনের নাস্তা। সেগুলোর স্বাদ আজকে মুখে অমৃতের মতো লেগে আছে। আমি চাই তুই আমাকে সেই জায়গায় আবার নিয়ে যাও এবং সেই খাবারগুলো আমরা দুই বন্ধু মিলে আবার ভাগ করে খায়। আশাকরি বুঝতে পারছি তোকে কোন খাবার গুলোর কথা আমি বলতে চাচ্ছি। ভাল থাক এবং সবসময় সুস্থ থাক।”
“একটিবার ভেবে দেখ, সেই স্কুলের দিনগুলো আমাদের জীবনে কতই না মধুর ছিল। আমরা চাইলেই খুব সহজেই স্কুল পালিয়ে যেতাম এবং মজা করে বেড়াতাম। দুই বন্ধু যখন নদীর পাড়ে বসে বাতাস খেতাম এবং গল্প করতাম আমরা কি করব, সেই কথাগুলো ভাবলেই আমাদের আজকে মনে অনেক আনন্দ হয়। অল্প বয়সে কত উদ্ভট চিন্তা ভাবনাই না আমরা করেছি। যেগুলো আজকে ভাবলে আমাদের অনেক হাসি পাবে। তার পরেও আমি আমার সেই পুরনো স্মৃতিকে মনে করি। আমি সবসময়ই সেই পুরনো স্মৃতি আগলে ধরে বাঁচতে চাই। আমার মনে হয় যে সেগুলোর কথা তুইও ভাবিস এবং সেগুলো দিনগুলোর কথা তুইও সেই একইভাবে মিস করিস।”
“টাকা পয়সা বাড়ী গাড়ী ধন-দৌলত সবই আছে। কিন্তু আগের মত সেই ইচ্ছে গুলো আর নেই। আগে আমরা ইচ্ছা করলেই হুট করে যেকোনো কাজ করে ফেলতাম। কারণ এখন তো চাইলেও পারিনা। এখন আমাদের বৃদ্ধ বয়স। তাই আমরা এখন শুধু পুরাতন স্মৃতি হাতরে বেড়াই। আমরা সেই প্রথম স্মৃতিগুলো অনেক মিস করি এবং সেই পুরাতন দিনগুলোতে আবার ফিরে যেতে চাই।”
“স্কুল কলেজ পার হয়ে ইউনিভার্সিটিতে এসে ভর্তি হয়েছি। এখানেও আমার অনেক বন্ধু রয়েছে। কিন্তু তোর মত বন্ধু আমি আমার জীবনের খুঁজে পাইনি। তোর মত স্বার্থহীন বন্ধু যেন প্রত্যেকটি প্রকৃত বন্ধু জীবনে একজন করে থাকে। তাছাড়া স্কুলের দিনগুলোতে আমাকে খুশি করার জন্য তোর যে অবদান, আমি সব সময় মনে রাখব। আমি যেমন আমার স্কুলকে খুব মিস করি, তেমনি তোকে তার চাইতেও বেশি মিস করি।”
আশা করছি যে আপনারা এই পোষ্টের মাধ্যমে স্কুল বন্ধু নিয়ে স্ট্যাটাস পেয়ে গিয়েছেন। যারা বন্ধু দিবসের পাশাপাশি বন্ধুকে মিস করলে সকল স্ট্যাটাস দিতে চান তারা নিজের থেকে যদি না লিখতে পারেন তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটের দেওয়া এসকল স্ট্যাটাস সংগ্রহ করুন এবং আপনাদের ফেসবুক ওয়ালে শেয়ার করুন। বাস্তবতা ভিত্তিক বিভিন্ন স্কুল বন্ধু নিয়ে স্ট্যাটাস আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে দিয়ে দিয়েছি আপনাদের জন্য। তাই আপনারা এসব গুলি স্ট্যাটাস সংগ্রহ করে নিয়ে আপনাদের সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে শেয়ার করে আমাদের পরিশ্রম সার্থক করুন।
Leave a Reply