খুব দুঃখজনক হলেও সত্য যে আমরা আরবি মাসের নাম গুলো সঠিকভাবে না জানার কারণে কোন মাস কখনো হচ্ছে এবং এক্ষেত্রে আমাদের কিভাবে আমল করতে হবে অথবা এবাদত করতে হবে তা জানিনা। তবে যারা মুমিন ব্যক্তি তারা প্রতিনিয়ত এই সংক্রান্ত তথ্যগুলো খোঁজ রাখেন বলে তারা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো ইন্টারনেট থেকে এসে সার্চ করতে পারেন। তাই আপনাদের জন্য আমাদের ওয়েবসাইটের এই পোষ্টের মাধ্যমে সামান মাসের ফজিলত ও আমল সম্পর্কে জানিয়ে দিলে আপনারা সেই অনুযায়ী প্রত্যেকটা আমল করতে পারবেন।
যেহেতু হিজরী সন অনুযায়ী শাবান মাসের পরে রমজান মাস অনুষ্ঠিত হবে সেহেতু রমজান মাসের জন্য আপনারা যে ইবাদত বন্দেগী করবেন সেটার জন্য অবশ্যই পূর্ব প্রস্তুতির প্রয়োজন রয়েছে। এক্ষেত্রে পূর্ব প্রস্তুতি গ্রহণ করার ক্ষেত্রে শাবান মাসের আমলগুলো আপনাদের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এবং এক্ষেত্রে আপনি খুব সহজে রমজান মাসের ইবাদত গুলো কোন ধরনের কষ্ট ছাড়াই পালন করতে পারবেন।
আপনি যখন শাবান মাসের আমল সম্পর্কে জানতে চাইবেন তখন বলব যে আপনাকে অবশ্যই এই মাসে বেশি বেশি করে রোজা রাখতে হবে। যখন আপনি শাবান মাসে বেশি পরিমাণ রোজা রাখতে পারবেন তখন রমজান মাসের জন্য আপনার পক্ষে রোজা রাখা খুবই সহজ হবে এবং এক্ষেত্রে আপনি কোন শারীরিক কষ্ট হবে না। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ এই মাসে বেশি বেশি করে রোজা রাখতেন এবং এই রোজা রাখার মধ্যে তিনি বিভিন্ন ধরনের সুফল তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। রমজান মাসে সঠিকভাবে প্রত্যেকটি ইবাদত করার জন্য শাবান মাসে বেশি করে রোজা রাখতে হবে।
তাছাড়া শাবান মাসে আরো অন্যান্য ইবাদত রয়েছে এবং এই সকল ইবাদত গুলোর ভেতরে আপনারা প্রথমত সাপ্তাহিক ভিত্তিতে অথবা বিভিন্নভাবে রোজাগুলো পালন করার পাশাপাশি অন্যান্য যে এবাদত করবেন তা জেনে নিবেন। যেহেতু রমজান মাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হিসেবে আপনারা রোজা পালন করে থাকবেন সেহেতু সবার মাঝে রোজা রাখার পাশাপাশি বেশি বেশি করে কোরআন তেলাওয়াত সবচাইতে ভালো হবে।
রমজান মাসে কোরআন তেলাওয়াত করবেন এবং কোরআন তেলাওয়াত করার ক্ষেত্রে আপনি যতটা সহীহভাবে এবং শুদ্ধভাবে কোরআন তেলাওয়াত করবেন ততটাই আপনার কোরআন তেলাওয়াতের ফজিলত আপনার পুন্যের পাল্লায় ভারী হতে থাকবে। তাই আপনারা অবশ্যই সাবান মাসে বেশি বেশি করে কোরআন তেলাওয়াত করুন এবং এক্ষেত্রে মনে হবে টার্গেট সবসময় আপনি কোরআন তেলাওয়াত করার মধ্য দিয়ে মূল্যবান সময় কাটাতে পারেন।
তাছাড়া রমজান মাসে এমন একটি মানুষ যে মাসে আপনি ইবাদত বন্দেগী করার পাশাপাশি গরিবদের সাহায্য করার ভেতর দিয়ে অশেষ 6 ফাজিল করতে পারেন। আপনি যখন রমজান মাস পালন করার জন্য মনস্তির করবেন তখন অবশ্যই রমজান মাসে বেশি বেশি পরিমাণ দান সদকা করার চেষ্টা করবেন। এতে দেখা যাবে যে আপনি সাধারণভাবে দান করতে পারছেন এবং এই দ্যান সত্য করার পাশাপাশি রমজান মাসে অধিক পরিমাণ দান করার ফলে আপনার ভেতরে এক ধরনের অভ্যাস তৈরি হয়ে যাবে যাতে করে গরিব আপনার থেকে সহায়তা করবেন। তাই রমজান মাস ধরে আপনি যদি সাতকে নিজেকে অতিবাহিত করতে চান তাহলে অবশ্যই গরিব অসহায়দের মাঝে রমজানের মতো করে আগে থেকেই দানের গড়ে তুলুন।
একজন মুমিন হিসেবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হলে বেশি বেশি করে ইস্তেগফার পাঠ করা। রমজান মাসের জন্য আপনি যখন ইস্তেগফার পাঠ করা শুরু করবেন তখন অবশ্যই আপনাকে সাবান মাস থেকে এই আমল করতে হবে এবং এই অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। বেশি বেশি করে যখন ইস্তেগফার পাঠ করবেন এবং মহান আল্লাহ পাকের কাছে হাত তুলে দোয়া করবেন এবং পূর্বের পাপের জন্য ক্ষমা চাইবেন তখন অবশ্যই আল্লাহ পাক আপনারাই বার বার আর্তনাদ দেখে আপনার প্রতি সহানুভূতিশীল হবেন এবং আপনাকে ক্ষমা করে দেবেন। তাছাড়া যে ধরনের ফরজ ইবাদত রয়েছে সেগুলো আপনারা অবশ্যই পালন করবেন এবং নিজেকে যতটা ইবাদত বন্দেগীতে নিয়োজিত রাখতে পারবেন ততটাই রমজান মাসের জন্য পূর্ব প্রস্তুতি আপনার গ্রহণ করা হয়ে যাবে।
Leave a Reply