আপনারা যারা শাওয়াল মাসের আমল এবং ফজিলত সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানার জন্য আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করেছেন তাদেরকে স্বাগতম। পবিত্র রমজান মাস শেষ করার পর যখন আমরা শাওয়াল মাসের প্রথম তারিখে ঈদুল ফিতর পালন করে থাকে তখন এই ঈদুল ফিতর পালন করা ছাড়াও পরবর্তীতে ওই মাসে বিভিন্ন ধরনের ইবাদত অথবা বিভিন্ন ধরনের আমল করতে হয়। তবে এই আমল গুলো কেন করতে হয় এবং এর পেছনে যুক্তি কি সে বিষয়ে আলোচনা করার পাশাপাশি কি কি আমল করতে হবে তা জানিয়ে দেব।
এমনকি এই আমলগুলো করার কারণে আপনার কি কি ফজিলত হবে তাও জেনে নিতে পারবেন। তাই শাওয়াল মাসের ইবাদত অথবা আমল সম্পর্কে জেনে নেওয়ার পাশাপাশি ফজিলত জেনে নেবেন এবং সেই অনুযায়ী আপনারা আমলগুলো সম্পন্ন করতে পারলে সেই ফজিলত প্রাপ্ত হবেন।
প্রত্যেকটি মুসলমানের জন্য শাওয়াল মাস হল এমন একটি মাস যে মাসের মাধ্যমে তিনি পরবর্তী তিনটি মাস বিভিন্ন ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করতে পারবেন। আমরা মুসলমান হলেও সত্য যে অনেকেই রমজান মাস ছাড়া অন্যান্য আরবি মাসের নাম জানিনা অথবা ঈদুল ফিতর কোন মাসে পালন করা হয় সেটাও জানিনা। কিন্তু পবিত্র রমজান মাসের রোজাগুলো আপনি যখন ফরজ হিসেবে পালন করলেন তখন আপনার এই রোজা সম্পন্ন হওয়ার পর আকাশে নতুন চাঁদ দেখার মধ্য দিয়ে শাওয়াল মাস শুরু হবে।আর শাওয়াল মাসেই আপনারা পবিত্র ঈদুল ফিতর পালন করতে পারবেন এবং মুসলিম জাহানের জন্য ঈদুল ফিতর অত্যন্ত আনন্দের এবং খুশির একটি দিন।
যেহেতু আপনি এই ফরজ রোজাগুলো পালন করলেন সেহেতু শাওয়াল মাসের যে সকল ইবাদত রয়েছে সেগুলো পালন করার জন্য জানতে হবে শাওয়াল মানে কি। শাওয়াল শব্দের অর্থ হলো উঁচু করা অথবা উন্নত করণ করা। এছাড়াও শাওয়াল মাসের অনেক শাব্দিক অর্থ রয়েছে। এটি এমন একটি মাস যে মাসের মধ্য দিয়ে আমলের উন্নতি হবে এবং আপনি পূর্ণতা লাভ করতে পারবেন। এছাড়াও আপনি বিভিন্ন ধরনের গৌরব অর্জন করতে পারবেন এবং আল্লাহ পাক আপনার জন্য যে সকল দোয়া কবুল করে রেখেছেন সেগুলোর ফলাফল পেতে শুরু করবেন। আপনি প্রাপ্তির আনন্দে বিভোর হয়ে যাবেন। তাই আপনি যখন শাওয়াল মাসের ইবাদত বা আমল করতে থাকবেন তখন অবশ্যই এটা আরবি অথবা হিজরী সনের অন্যান্য মাসগুলোর মতোই একটি ফজিলতপূর্ণ মাস হবে।
তাছাড়া শাওয়াল মাসের ইবাদতগুলো নফল হওয়ার কারণে আপনারা অবশ্যই ফরজ পালন করার মধ্য দিয়ে যেমন আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারলেন তেমনি ভাবে নফল ইবাদত করার মধ্য দিয়ে আপনার নিজের উন্নতির পথে এগিয়ে যেতে পারবেন। শাওয়াল মাসে ছয়টি রোজা রাখা সুন্নত এবং আপনি যদি এই ছয়টি রোজা সাক্ষী রোজা অথবা নফল রোজা হিসেবে রাখতে চান তাহলে রাখতে পারবেন। এক্ষেত্রে হাদিসে বর্ণনা এসেছে যে যারা রমজানে রোজা পালন করবে এবং শাওয়াল মাসে আরো ছয়টি রোজা পালন করবে তারা যেন পূর্ণ বছরের রোজা পালন করার সোয়াব পেয়ে যাবে। অর্থাৎ শাওয়াল মাসের এই ছয়টি রোজা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় এবং আপনারা যদি পালন করেন তাহলে অনেক অনেক ফজিলত অর্জন করতে পারবেন।
তাছাড়া রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন আল্লাহ পাক শাওয়াল মাসে ছয় দিনে আসমান এবং জমিন সৃষ্টি করেছেন বলে যে ব্যক্তি এই ছয় দিনে রোজা রাখতে পারবে তার জন্য এ পৃথিবীতে যত জীব সৃষ্টি হয়েছে তত পরিমাণ নেকি প্রদান করা হবে এবং সমপরিমাণ গুনাহ মুছে দেওয়া হবে। শাওয়াল মাসের ইবাদতগুলো যদি আমরা করতে পারি তাহলে দেখা যাবে যে এটা আমাদেরকে পরবর্তীতে ঈদুল আযহা পালন করার জন্য অথবা জিলহজ মাসের যে সকল ইবাদত বন্দেগী রয়েছে সেগুলো পালন করার জন্য মনের দিক থেকে এক ধরনের তাগাদা প্রদান করবে। তাছাড়া যারা হজ পালন করবেন তাদের জন্য এই মাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মাস এবং আপনার নফল রোজা রাখার ক্ষেত্রে আপনি সকল ধরনের বৈধতা এবং শুদ্ধতা এর মধ্য দিয়ে পেয়ে যাবেন।
Leave a Reply