সমাজ নিয়ে কিছু বাস্তব কথা

সমাজ নিয়ে কিছু বাস্তব কথা

মানুষ সামাজিক জীব। আর সামাজিক জীব হিসেবে প্রত্যেকটা মানুষই সমাজে বসবাস করে। সমাজে বসবাস করতে গিয়ে সব মানুষকে বিভিন্ন সামাজিক রীতিনীতি পালন করতে হয়। এসব রীতি নীতি পালন না করলে একজন মানুষ সামাজিক জীব হিসেবে সমাজে টিকে থাকতে পারবে না। তাই সমাজে বসবাস করতে হলে, সমাজের মানুষের প্রতি শ্রদ্ধাশীল মানসিকতা প্রকাশ করতে হবে এবং সবার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে চলতে হবে।

অনেকেই সমাজ নিয়ে বিভিন্ন কথা খুঁজে থাকেন। আপনি কি সমাজ নিয়ে বিভিন্ন কথা খুঁজছেন? তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসে পৌঁছেছেন আর এই পোস্টে আপনার জন্যই। কেননা আজকে আমাদের পোস্টটি সাজানো হয়েছে সমাজ সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে। এখান থেকে যে কেউ খুব সহজে সমাজ সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে তথ্য পেয়ে যাবেন আর এই প্রোস্টের মাধ্যমে উপকৃত হবেন বলে আশা করছি।

পরিবার গড়ে ওঠে কিছু মানুষের সমষ্টিতে। স্নেহ, মায়া, ভালোবাসা, মমতার বন্ধনে গড়ে ওঠে একটি পরিবার। আর একই এলাকায় কয়েকটি পরিবারের সমন্বয়ে গড়ে ওঠে সমাজ। মানুষ নিজেদের ভালোর জন্য এবং নিজেদের প্রয়োজনে সমাজ গড়ে তোলে। এবং সামাজিক বিভিন্ন রীতিনীতি মেনে চলে। আর যে সমাজে বসবাস করে না, সে কখনো মানুষ হিসেবে স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারে না তাই সকল মানুষ সমাজে বাস করে কিন্তু সমাজে বসবাস করতে গিয়ে মানুষকে বিভিন্ন সামাজিক নিয়মকানুন মেনে চলতে হয় আর এ সকল নিয়ম কানুন মেনে চলার মাধ্যমেই সমাজের প্রত্যেকটি পরিবার টিকে থাকে।

তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় যে সমাজ প্রতিনিধিরা অনেক সময় নিজেদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট কাজ করে। যদিও সামাজিক জীব হিসেবে প্রত্যেকটা মানুষেরই সমাজ থেকে বেশ কিছু প্রত্যাশা থাকে। কিন্তু অনেক সময় প্রতিনিধিরা স্বার্থসংশ্লিষ্ট ভাবে কাজ করার ফলে আসলেই যারা সমাজ থেকে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার কথা, তারা অনেক সময় বঞ্চিত হয়। এটাই বাস্তব। তাই অবশ্যই সামাজিক প্রতিনিধি হিসেবে বা সমাজপতি হিসেবে খেয়াল রাখতে হবে যে ওই সমাজের বিভিন্ন গরীব দুঃখী মানুষ যেন তাদের সুযোগ সুবিধা থাকে বঞ্চিত না হয়।

একদিকে সমাজ যেমন একটি মানুষকে অনেক কিছু দেয়। অপরদিকে সমাজ বিশেষ কিছুই দেয় না। যোগ্যতা অনুযায়ী সমাজে মানুষ তার মর্যাদা লাভ করে। যোগ্যতার ভিত্তিতেই সামাজিক মর্যাদা নির্ধারিত হয়। তাই প্রত্যেকটা মানুষেরই উচিত নিজেকে যোগ্য হিসেবে গড়ে তোলা। নিজেকে যোগ্য হিসেবে গড়ে তুলতে পারলে সামাজিক মর্যাদা এবং প্রতিপত্তির অধিকারী হওয়া সম্ভব হবে। অযোগ্য ব্যক্তি কখনো সামাজিক মর্যাদা পরিপূর্ণভাবে লাভ করতে পারে না। তাই এই বিষয়টি সবসময় মাথায় রাখতে হবে। নিজেকে যেকোনো মূল্যে যোগ্য ব্যক্তি হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। এবং সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। তাহলে সামাজিক মর্যাদার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা লাভ করা সম্ভব হবে।

তবে অনেক সময় দেখা যায় যে সমাজ মানুষকে বিভিন্ন কাজে যেমন উৎসাহিত করে। তেমনি ভাবে অপরদিকে বিভিন্ন ব্যর্থ ব্যক্তিকেও সমাজ অনেক সময় নিরুৎসাহিত করে। অনেক সময় দেখা যায় যে আপনি যতই ভালো হোন না কেন, কিছু কিছু মানুষ আপনাকে নিয়ে বিভিন্ন অপপ্রচার করবেই। আপনি যতই সফল হোক না কেন তারা আপনার সফলতাকে মেনে নিতে চাইবে না। কিন্তু তাদের দিকে তাকালে কখনো জীবনে সফল হওয়া যাবে না। কেননা তাদের কাজই এরকম অন্যের সমালোচনা করা। তাই সমালোচকদের ভয়ে নিজেকে ভীত -সন্তুষ্ট করে গুটিয়ে রাখা কোনভাবেই ঠিক না।

সব সময় চেষ্টা করতে হবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার এবং নিজে যোগ্য হয়ে সমাজের গরীব -দুঃখী মানুষের পাশে দাঁড়ানো। এবং তাদের অধিকার নিশ্চিত করা। তাহলে সমাজ জীবনে যেমন সুখ শান্তি বিরাজ করবে, তেমনি ভাবে ব্যক্তি হিসেবে নিজেও অনেক সামাজিক মর্যাদা লাভের অধিকারী হওয়া যাবে।

About শাহরিয়ার হোসেন 4780 Articles
Shahriar1.com ওয়েবসাইটে আপনার দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় যা কিছু দরকার সবকিছুই পাবেন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*