
এসএসসি পর্যায়ের জীববিজ্ঞান বিষয়ের সর্বশেষ অধ্যায়ের নাম হল জীব প্রযুক্তি। জীব বিজ্ঞানের একটি ফলিত শাখার নাম হল জীব প্রযুক্তি এবং জীব প্রযুক্তি বিষয় এর মাধ্যমে বর্তমান সময়ে জীবের উন্নতি সাধন করা সম্ভব হচ্ছে। বর্তমান জনসংখ্যা সঙ্গে মিল রেখে এবং বিভিন্ন পরিস্থিতির সঙ্গে বিবেচনা করে জীব প্রযুক্তি নামক যে নতুন অধ্যায়ের সূচনা ঘটেছে তার মাধ্যমে জীবের বংশ বিস্তারের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে এবং বিভিন্ন ধরনের সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে। জীববিজ্ঞান বিষয়ের সকল ধরনের অধ্যায়ের আপনারা আলোচনা করে বুঝতে পেরেছেন যে আমাদের মানবিক জীবনে এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে বিভিন্ন কিছু সমন্বয় এবং সম্মেলনের মাধ্যমে আমাদের জীবন পরিচালিত হবে। তাই আপনারা যারা চতুর্দশ অধ্যায় এর জীব প্রযুক্তি অধ্যায়টি পড়েছেন তারা আজকে আমাদের ওয়েবসাইট থেকে আপনাদের অধ্যায়ের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর দেখে নিন।
বর্তমান সময়ে প্রচুর পরিমাণে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং বিভিন্ন সমস্যার কারণে মানুষের বিভিন্ন ধরনের রোগের সৃষ্টি হচ্ছে। আমরা যখন বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে তখন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির মাধ্যমে জীব প্রযুক্তির আবিষ্কার এর ফলে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করছে। মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য মানুষের স্বাস্থ্য উন্নয়ন ঘটানো হচ্ছে জীব প্রযুক্তি সহায়তা গ্রহণ করে। জীবপ্রযুক্তি আছে বলেই ফসলের মান বৃদ্ধি করা যাচ্ছে এবং একই পরিমাণ জমিতে অনেক পরিমান ফসল উৎপাদন করা সম্ভব হচ্ছে। পরিবেশের বিভিন্ন উপাদান সংরক্ষণ করার ক্ষেত্রে আমরা জীব প্রযুক্তি সহায়তা গ্রহণ করছি এবং একই পরিবেশে বিভিন্ন ধরনের ফসল সৃষ্টি করার জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে সক্ষম হচ্ছে। তাই আমাদের এই পরিবেশের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করার জন্য বিজ্ঞানীরা জীবপ্রযুক্তি পেছনে অকান্ত পরিশ্রম প্রদান করছেন এবং আমাদের প্রতিদিনের জীবনে প্রযুক্তির অবদান অপরিসীম।
জীবপ্রযুক্তি পেছনে যে ধরনের মানুষ অবদান রেখেছেন তাদেরকে প্রকৃত বিজ্ঞানী বলা হয় এবং আপনারা যখন এই অধ্যায়টি পাঠ করবেন তখন এক নং সৃজনশীল এর যে উদ্দীপক দেওয়া আছে সেটি পড়লে বুঝতে পারবেন যে একজন জীবপ্রযুক্তি পেছনে পরিশ্রমটা বিজ্ঞানী কি ধরনের উৎপাদন করে থাকে। নিচে উদ্দীপক সহ 1 নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর প্রদান করা হলো।
জিন প্রকৌশলী ড . হায়দারের বাগানের লেবু গাছগুলোতে প্রচুর লেবুর ফলন হলেও গাছগুলো দ্রুত রোগাক্রান্ত হয়ে মারা যায় । তিনি লক্ষ করলেন তার বাড়ির পাশের জঙ্গলে একজাতের লেবুগাছ রয়েছে যাতে খুব একটা লেবু না হলেও গাছগুলো দীর্ঘদিন বেঁচে থাকে । এ দুটি লেবুর জাত থেকে তিনি অধিক ফলনশীল রোগ প্রতিরোধী একটি জাত উদ্ভাবন করলেন । তিনি স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় এর চারা উৎপাদন না করে ল্যাবে বিশেষ প্রক্রিয়ায় এর চারা তৈরি করলেন ।
ক . জীব প্রযুক্তি কী ?
খ . GMO বলতে কী বোঝায় ?
গ . ড . হায়দারের লেবুগাছের জাত উন্নয়নের কৌশল ব্যাখ্যা কর ।
ঘ . ড . হায়দারের বিশেষ প্রক্রিয়ায় চারা তৈরি করার কারণ বিশ্লেষণ কর ।
আপনারা অধ্যায়ভিত্তিক প্রশ্নের উত্তর পাঠ করার পাশাপাশি ইনসুলিন এবং হরমোন উৎপাদন এর জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর ব্যবহার বর্ণনা করার উদ্দেশ্যে এই অধ্যায়টি পাঠ করবেন। তাছাড়া বর্তমান সময়ে শস্য উৎপাদনে টিস্যুকালচারের ব্যবহার জানতে হবে এবং এর মাধ্যমে আমাদের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী হওয়ার উদ্দেশ্যে অবশ্যই এই নিয়ে গবেষণা করতে হবে।
Leave a Reply