আপনারা যারা শীত নিয়ে বিভিন্ন স্ট্যাটাস দিতে চাইছেন কিন্তু কিভাবে দিবেন তা বুঝতে পারছেন না তারা এই পোস্টটি ভিজিট করে বুদ্ধিমানের কাজ করেছেন বলে আমি মনে করি। এই পোস্টে আমরা শীত নিয়ে বিভিন্ন সুন্দর সুন্দর স্ট্যাটাস শেয়ার করব। শীতের সময়ের দিনগুলো মানুষ কেমন ভাবে কাটাতে পারে, শীতের সময় গুলো কোন কোন কারণে মানুষ পছন্দ করে আর কোন কোন কারনে অপছন্দ করে সেই বিষয়গুলো তুলে ধরব এই পোস্টে। আশা করি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়বেন।
বাংলাদেশ ষড়ঋতুর দেশ। ঘুরেফিরে ছয়টি ঋতু বারবার ফিরে আসে। তাই বাংলাদেশের মানুষ সব রকম আবহাওয়ার স্বাদ নিতে পারে। এই যেমন গরমের সময় প্রচন্ড রোদে মানুষের গলা ফেটে যায়, অন্যদিকে পৌষ মাঘ মাসে প্রচন্ড ঠান্ডায় হাড় কাঁপতে থাকে।
বাংলাদেশের মানুষ প্রতিটি ঋতু খুব ভালোভাবে উপভোগ করে। তবে শীত ঋতু একটু বেশি স্পেশাল কারণ কিছু কিছু স্বাদ আপনি শীত ছাড়া অন্য কোন ঋতুতে পাবেন না। এই যে ধরেন খেজুরের রস, খেজুরের রসের স্বাদ আপনি শীত ছাড়া অন্য কোনো ঋতুতে পাবেন না। ভাপা পিঠা? শীতের সকালে গরম ধোয়া ওঠা ভাপা পিঠা খেতে খারাপ লাগে কার? আমার তো মনে হয় এমন কোন মানুষ নেই যার কাছে এই জিনিসটা খারাপ লাগবে। এছাড়াও আরো কত রকম পিঠা শীতের সময় তৈরি করা হয় তার হিসেব করতে গেলে খাতা কলম নিয়ে বসতে হবে।
অপরুপ এই নিরব ভোরে,তুমি আছো অনেক দূরে.
পাখি ডাকে মধুর সুরে,মনটা যেন হাওয়ায় উরে.
নয়তো দুপুর,নয়তো বিকাল,তোমাকে জানাই শুভ শীতের সকাল।
আপনারা নিশ্চয়ই জানেন যে শীতের আগের ঋতু হচ্ছে হেমন্ত। হেমন্ত ঋতুতে শীতের আগমনী বার্তা পাওয়া যায়। হেমন্ত নতুন ধান উঠে। নতুন ধান দিয়ে পিঠাপুলি যে উৎসব হয় তাকে নবান্ন উৎসব বলা হয়। নবান্ন কথাটি শুনলেই বোঝা যায় এটির মধ্যে নতুন নতুন একটি গন্ধ রয়েছে। হেমন্ত ও শীত এই দুইটি ঋতুতে বাংলাদেশের প্রতিটি অঞ্চলে গ্রামে গ্রামে পিঠাপুলি তৈরীর পড়ে যায়। প্রতিটি বাড়িতে বাড়িতে তৈরি করা হয় রসে ভেজা হরেক রকম পিঠা। এইসব পিঠা দেখলেই জিভে জল চলে আসে।
মায়াবী একটা সকাল, মিষ্টি একটা সূর্য।
বিশাল একটা আকাশ, এলোমেলো বাতাস।
সবুজ সবুজ ঘাস, অপরূপ পাখির ডাক।
সুন্দর একটা দিন, শুভ হোক তোমার শীতের দিন।
শীতের দিনগুলোতে স্বাভাবিকভাবেই সবাই বেলা করে ঘুম থেকে উঠে। অনেকে আবার কুয়াশা না ভাঙতেই নিজ নিজ কাজে বেরিয়ে পড়ে। এরপর আস্তে আস্তে সূর্য্যি মামা উঁকি দেয় আকাশে। শিশির ও চলে যায় এক সময়। শীতের রোদ অনেক মিষ্টি হয়। শীতের সকালে অনেকেই রোদে এসে কিছুক্ষণ মিষ্টি রোদ গায়ে মাখিয়ে নেয়।
ছোট্ট পাখি বললো এসে আমার কানে কানে,
সূর্যি মামা উঠছে আবার নতুন কিছুর টানে,
সুখে থেকো ভালো থেকো রেখো ভালোবেসে,
মিষ্টি সকাল জানিয়ে দিলাম ছোট্ট এই এসএমএসে, শুভ শীতের সকাল।
শহরে হাজার হাজার মানুষের ভিড়ে শীত খুব একটা থাকে না। যেখানে গ্রামে প্রায় চার পাঁচ মাস শীত থাকে, শহরের মানুষ দুই মাসও শীত টের পায়না। তাই শীতের দিনগুলো সুন্দরভাবে উপভোগ করার জন্য গ্রামে আসা দরকার। গ্রামের মেঠো পথ ধরে শীতের সময় কিছুক্ষণ হাঁটলেই বিশুদ্ধ বাতাস বুকটা শীতল করে দেয়।
তুমি শিশির ভেজা গোলাপের পাপড়ি,
তুমি পাহাড়ের গায়ের ঝর্নার পানি,
তুমি বর্ষার এক পসলা ব্রিষ্টি,
তুমি সকালে উদিত সুর্যের আলো,
তুমি হলে বন্ধু আমার অনেক ভালো ‘শুভ কুয়াশা সকাল’
ডিসেম্বর মাসে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি শীত পড়ে। যেহেতু ডিসেম্বর মাস বছরে শেষ মাস তাই এ সময় সকলের কাজের চাপ একটু কম থাকে। শিক্ষার্থীরা তাদের চূড়ান্ত পরীক্ষা শেষ করে ডিসেম্বর মাসে। শীতের সময় তাই সকলে বিভিন্ন জায়গায় ঘোরার পরিকল্পনা করে। শিক্ষার্থীরা এ সময় শিক্ষা সফরে বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে যায়।
শীতের সময় গুলো নিয়ে যদি আপনারা ফেসবুকে কোন স্ট্যাটাস দিতে চান তাহলে সুন্দর সুন্দর কবিতা লিখে পোস্ট করতে পারেন। শীতের ঋতু নিয়ে বাংলাদেশের কবি সাহিত্যিকরা অনেক সুন্দর সুন্দর কবিতা ও প্রবন্ধ লিখেছেন। এসব কবিতাগুলো শীতের আগমনে বার্তা হিসেবে নিজের ফেসবুকে শেয়ার করতে পারেন। আশা করি শীত নিয়ে আপনার করা স্ট্যাটাসে অনেক পজিটিভ রেসপন্স পাবেন।
Leave a Reply