তাকাব্বালাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকুম

তাকাব্বালাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকুম

মুসলমানদের জীবনে দুইটি বড় ধর্মীয় উৎসবের মধ্যে ঈদ রয়েছে। একটি হলো পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং উন্নতি হল পবিত্র ঈদুল আযহা। তবে উপরের টাইটেল দেখে আপনারা যারা তাকাব্বালাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকুম এর বিস্তারিত তথ্য জানতে চাচ্ছেন অথবা এটা কখন পড়তে হয় তা জেনে নিতে চাচ্ছেন তাদের উদ্দেশ্যে আজকের এই পোষ্ট করা হয়েছে।

তাই আমরা আপনাদের সামনে এ বিষয়গুলো উপস্থাপন করব এবং আপনারা যদি মনোযোগ দিয়ে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে পারেন তাহলে এই দোয়া বা ভাব বিনিময়ের ভাষা ঠিকই অর্থে ব্যবহার করা হয়ে থাকে এবং এটার প্রকৃত অর্থ কি সে বিষয়ে জানিয়ে দেওয়া হবে। তাই আপনারা অবশ্যই ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় এর ক্ষেত্রে তাকাব্বালাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকুম এর বিস্তারিত তথ্য জেনে নিন এবং সেই অনুযায়ী এটা কোন ক্ষেত্রে ব্যবহার করবেন এবং এটা ব্যবহার করার ফলে আপনি অন্য একজন মুসলিমের প্রতি কি ধরনের নির্দেশনা বা মত প্রকাশ করছেন তা জেনে নেওয়া যাবে।

মুসলমানদের জীবনে এই ধর্মীয় উৎসবগুলো পালন করার জন্য প্রত্যেক বছরে যে সময় গুলো আসে সেগুলো আমরা বিভিন্ন ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করে থাকি। যেমন দীর্ঘ এক মাস রমজান মাস পালন করার মাধ্যমে আমরা পবিত্র ঈদুল ফিতর পালন করতে পারি। তেমনিভাবে জিলহজ মাসের ১০ তারিখে পবিত্র ঈদুল আযহা পালন করা হয়। তাই আপনারা যখন মুসলমান বিশ্বের এই ধর্মীয় উৎসব পালন করবেন তখন একজন মুসলমান হয়ে আরেকজন মুসলমানের প্রতি যে কল্যাণকর মনোভাব প্রকাশ করবেন অথবা তাদের প্রতি যে দোয়া পরবশত কথাগুলো বলবেন সেগুলো অবশ্যই আপনাদেরকে ধর্মীয় রীতি-নীতি অনুসরণ করে বলতে হবে।

ঈদ মানেই আনন্দের উৎসব এবং এই আনন্দের উৎসবে আমরা যখন কর্মব্যস্ততার মাঝে পরিবারের বিভিন্ন সদস্যের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পায় অথবা এলাকার অনেক মানুষের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পায় তখন হাদিস অনুযায়ী এবং ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী এই দোয়া বলে ভাব প্রকাশ করতে পারি। স্বাভাবিক দৃষ্টিকোণ থেকে আমরা যদি ঈদের দিন কোন মুসলমানের সঙ্গে দেখা হয় তাহলে ঈদ মোবারক জানিয়ে থাকি এবং তাদের মধ্যে আমরা ঈদের শুভেচ্ছা প্রদান করি। কিন্তু আপনি যখন ঈদ উল আযহা পালন করতে চাইবেন তখন অবশ্যই আপনাকে এই ঈদুল আযহা উপলক্ষে যে দোয়া আপনাদেরকে টাইটেলে প্রদান করা হচ্ছে সেটা ব্যবহার করতে পারেন। কারন সেই দোয়া যদি আপনারা পাঠ করতে পারেন তাহলে অনেক ভালো হবে এবং এটার প্রকৃত অর্থ জেনে নিতে পারলে আপনার ব্যবহার করার প্রতি আগ্রহ বেড়ে যাবে।

তাই ঈদুল আযহা উপলক্ষে আপনাদের সামনে আমরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের বিষয়বস্তু আলোচনা করছি অথবা বিভিন্ন ধরনের দোয়া সম্পর্কে ধারণা প্রদান করছি বলে আপনার এগুলো জেনে নিতে পারছেন।বর্তমানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির যুগে ইন্টারনেটের মাধ্যমে এ সকল বিষয় জেনে নেওয়া যায় বলে আমরা খুব সহজেই নিজেদেরকে প্রত্যেকটি বিষয়ে আপডেট রাখতে পারি। তাই ঈদুল আযহা উপলক্ষে আপনারা যখন পরস্পরের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পাবেন অথবা অনেকদিন পর যখন প্রিয় মানুষের সঙ্গে দেখা হবে তখন অবশ্যই বিশ্ব নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম যে সকল সুন্নত কাজ করে গিয়েছেন সেগুলো আমরা পালন করব।

আর এই ক্ষেত্রে যখন পরস্পরের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ আমাদের হয়ে যাবে এবং সেই ব্যক্তি যদি আমাদের পরিচিত হয়ে থাকে তখন আমরা হাদিস অনুযায়ী রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর সাহাবীগনদের সঙ্গে যেভাবে মতবিনিময় করতে অথবা তাকাব্বালাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকুম বলত ঠিক সেভাবে আমরা এই মত গুলো বিনিময় করব। তবে এটার প্রকৃত অর্থ কি এবং কোন অর্থে ব্যবহার করা হয়ে থাকে সে প্রসঙ্গে অনেকেই অজানা। তাই আপনাদের উদ্দেশ্যে এটার প্রকৃত অর্থ প্রদান করার চেষ্টা করব এবং হাদিস অনুযায়ী এটা যখন আপনার ব্যবহার করবেন তখন একজন মুসলমানের উদ্দেশ্যে এটা বলা হবে যে, “আল্লাহ তা’আলা আমাদের ও আপনার নেক আমল তথা ভালো কাজগুলো কবুল করুন।”

যখন জিলহজ্ব মাসের ১০ তারিখ চলে আসবে তখন সেই সন্ধ্যা থেকে আমরা এটা ব্যবহার করব এবং যদি কোন মুসলমানের সঙ্গে দেখা হয় তাহলে দেরি না করে তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করার সময় অথবা তাদের প্রতি শুভকামনা জানানোর উদ্দেশ্যে এটা বলবো। তাই একজন মুসলমানের সঙ্গে দেখা হলে যেমন তাদের প্রতি শান্তি বর্ষিত হওয়ার উদ্দেশ্যে আমরা সালাম প্রদান করে থাকি তেমনি ভাবে এদের আনন্দ ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য আমরা ঈদ মোবারক জানানোর পাশাপাশি তাকাব্বালাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকুম বলে শুভেচ্ছা জানাবো। এর মাধ্যমে শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি সকলের ভালো কাজ এবং নেক আমল গুলো যেন আল্লাহ পাক কবুল করেন তার জন্য এক ধরনের দোয়ার দরখাস্ত হয়ে যাবে।

তাই আপনারা জিলহজ মাসের ১০ তারিখে কোন মুসলমানের সঙ্গে দেখা হলে এই দোয়া মুখস্ত থাকবে বলে অবশ্যই তাদের সঙ্গে ভাব বিনিময়ের সময় অথবা ঈদের শুভেচ্ছা জানানোর সময় এগুলো ব্যবহার করবেন। যখন আপনারা নিজ দায়িত্বে এগুলো আরেকজন মুমিন অথবা মুসলিম এর উদ্দেশ্যে ব্যবহার করবেন তখন আপনি একজন মুসলমান হয়ে তার যেমন উপকারের উদ্দেশ্যে আল্লাহ পাকের কাছে দোয়ার দরখাস্ত করলেন তেমনি ভাবে তারাও যখন আপনাদের কাছে এগুলো ব্যবহার করবে তখন সে ভিত্তিতে আপনাদের উদ্দেশ্য তারা দোয়া করবে।অর্থাৎ আল্লাহপাক আপনাদের একে অপরের দোয়ার মাধ্যমে প্রত্যেকের দোয়া কবুল করে নেবে এবং সকলের মনোবাসানো পূর্ণ করবেন। তাছাড়া এটা কোরবানির ঈদ হওয়ার কারণে অবশ্যই সকলের কুরবানী কবুল হয়ে যাবে।

মুসলিম ধর্ম হলো শান্তির ধর্ম এবং এই শান্তির ধর্ম আমরা একে অন্যের প্রতি অবশ্যই শান্তি বিরাজ করার জন্য সহমর্মিতার প্রকাশ ঘটাবো। সকলের প্রতি যাতে শান্তি বর্ষিত হয় তার জন্য ছোট থেকে বড় যে কাউকে সালাম দেওয়া যায় এবং সালাম দেওয়ার পাশাপাশি যে কারো প্রতি দোয়া করা যায়। তাই আল্লাহপাক সকলকে সমান দৃষ্টিতে দেখেছেন এবং এক্ষেত্রে ধনী গরিবের ফারাক না করে সকলকে একই পাল্লায় মেপেছেন। তাই কারো যদি কোন ধরনের সাহায্য চাওয়ার প্রয়োজন হয় তাহলে আল্লাহপাকের কাছে একইভাবে সাহায্য চাইতে হবে এবং আল্লাহ পাক সাহায্যের আকুতি ও মিনতি দেখে এবং আপনি কেমন ধরনের দোয়া করছেন তার ওপর নির্ভর করে অবশ্যই আপনাদের মনোবাসনা পূর্ণ করে দেবেন।

যেহেতু আপনারা তাকাব্বালাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকুম পাঠ করার মাধ্যমে ঈদের শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি একজন আরেকজনের প্রতি দোয়া করছেন এবং এই দোয়ার মাধ্যমে আল্লাহ পাকের কাছে সকল কিছু কবুল করে নেওয়ার জন্য বলছেন সেহেতু আল্লাহ পাক অবশ্যই এগুলো কবুল করে নিবেন। তাই আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটের এই পোস্ট ভিজিট করে ভালো করেছেন এবং আমরা আপনাদেরকে এ বিষয়টা জানিয়ে দিতে পারলাম বলে আপনারা নিজেরাও এ বিষয়ে অবগত হতে পারলেন। তাই আমরা কোরবানির ঈদে অথবা ঈদুল আজাদ এ অবশ্যই এই সকল দোয়া পাঠ করার মাধ্যমে একে অন্যের প্রতি যেমন দোয়া করব তেমনিভাবে ঈদের যে সকল সুন্নতগুলো রয়েছে সেগুলো পালন করব।

বিশেষ করে নামাজের আগে গোসল করতে হবে এবং পুরো শরীর পাক-সাফ করার মধ্য দিয়ে নামাজে যেতে হবে। ওয়াজিব নামাজ আদায় করার পরে আমরা যে সকল কোরবানি দেওয়ার জন্য নিয়ত করেছি সেগুলো অবশ্যই সহিহভাবে কুরবানী করব। কোরবানি শেষ করে প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে মাংসের যে সঠিক বন্টন ব্যবস্থা রয়েছে সেটা মেনে চলব। গরিব দুঃখীদের হক ঠিকমতো আদায় করার পাশাপাশি আত্মীয় স্বজনদের হক আদায় করব এবং আমাদের ভাগে যেটুকু বরাদ্দ থাকবে সেটুকুই আমরা ভক্ষণ করার চেষ্টা করব। এতে করে একজন আরেকজনের প্রতি সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করা হবে এবং আল্লাহ পাক এই দায়িত্ব পালন করার জন্য অবশ্যই আমাদের প্রতি খুশি হবেন।

About শাহরিয়ার হোসেন 4780 Articles
Shahriar1.com ওয়েবসাইটে আপনার দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় যা কিছু দরকার সবকিছুই পাবেন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*