তালাকের পর স্ত্রীর ভরণপোষণ

তালাকের পর কোন প্রেক্ষিতে আপনারা স্ত্রীর ভরণপোষণ প্রদান করবেন তা আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে জেনে নিন। স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক একটি মধুর সম্পর্ক। তবে কোনভাবে এই সম্পর্কের মাঝে যদি কোন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয় তাহলে দেখা যায় যে অনেক সময় দুই পরিবারের সম্মতিক্রমে তালাকের মাধ্যমে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। তাই বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটলে কোন পরিস্থিতিতে স্ত্রীকে তার ভরণপোষণ প্রদান করতে হবে তা আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে জেনে নিতে পারেন।
বিয়ের পর যদি আপনারা বুঝতে পারেন স্ত্রীর সঙ্গে ঘর-সংসার করে সুবিধা করতে পারছেন না অথবা মানসিকতার সঙ্গে অন্যান্য বিষয়গুলো মিলছে না তখন হয়তো আপনারা তার সঙ্গে ঘর সংসার করা যাবে না বলে তালাকের দিকে যে পদ্ধতি রয়েছে সেগুলো অনুসরণ করতে থাকেন। এক্ষেত্রে তালাক প্রদান করার পর আপনাদেরকে স্ত্রীর কিছু কিছু ভরণপোষণ প্রদান করতে হয়।
নিয়ম অনুসরণ করে তালাক হয়ে গেলে স্ত্রীকে তিন মাসের ভরণ পোষণ প্রদানপূর্বক এলাকাভিত্তিক বেশ কিছু ধরনের টাকা প্রদান করা হয়। এক্ষেত্রে স্ত্রী পক্ষ যদি সেই টাকা নিতে সম্মতি জানাই তাহলে সেই টাকা প্রদান করা হয়। তাই সর্বনিম্ন তিন মাসের এই ভরণ পোষণ আপনাদেরকে তালাক প্রদান করার পর দিতে হবে। আর যদি কারো স্ত্রীর পেটে সন্তান থাকে তাহলে সেই সন্তান প্রসব না হওয়া পর্যন্ত তালাক হয়ে থাকে না।
সন্তান প্রসব হওয়ার পর নির্দিষ্ট পরিমাণ ভরণপোষণের খরচ এবং দেনমোহরের বিষয়গুলো পরিশোধিত হওয়ার পর সরকারি খাতায় রেজিস্টার করা হয় যে তারা দুজন বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাচ্ছে। এক্ষেত্রে বিবাহ বিচ্ছেদের কারণ এবং অন্যান্য সমস্যাগুলো উল্লেখ থাকে এবং সকল লেনাদেনা পরিশোধ হওয়ার পাশাপাশি তারা দুজনে সম্মতিক্রমে দস্তগত প্রদান করার পাশাপাশি সাক্ষী শাবুদের মাধ্যমে এই তালাক ঘটে থাকে।
তাই আপনারা যারা জানতে চাচ্ছিলেন তালাকের পর স্ত্রী ভরণ পোষণ কিভাবে প্রদান করতে হয় তাদের বলবো যে এ বিষয়গুলো স্ত্রী পক্ষ এবং বরপক্ষের লোকেরা মীমাংসার মাধ্যমে খুব সুন্দরভাবে সমঝোতা করে নিতে পারেন। তবে বিবাহ একটি পবিত্র সম্পর্কের নাম এবং এই সম্পর্কের মাধ্যমে দুজন নরনারী একসঙ্গে বাসায় বাস করার সুযোগ পান। এই সুযোগের মাধ্যমে সন্তান উৎপাদন থেকে শুরু করে খুব সুন্দর একটা নিয়ন্ত্রিত জীবন পেতে পারেন।
কিন্তু বর্তমানে বস্তুবাদের যুগে এবং বিভিন্ন আকাশ সংস্কৃতির কারণে বিভিন্ন জনের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের নৈতিক অবক্ষয় ঘটে চলেছে। অবস্থায় অনেকের সঙ্গে অনেকের মতই মিল থাকে না এবং এই ক্ষেত্রে কোনোভাবে যদি আর্থিক বিষয়গুলো ঘটে থাকে তাহলে দেখা যায় যে অনেক সময় তালাক প্রদান করা হয়ে থাকে। তাই আপনি যদি আপনার স্ত্রীর সঙ্গে ঘর সংসার করে বুঝতে পারেন তার সঙ্গে আর থাকা সম্ভব নয় তাহলে তালাক প্রদান করবেন এবং এই তালাক প্রদান করার ক্ষেত্রে অবশ্যই একজন উকিল অথবা যিনি বিয়ের রেজিস্ট্রি করেন তার কাছে গিয়ে পরামর্শ গ্রহণ করবেন।
তাহলে যথাযথ লিখিত প্রমাণের ভিত্তিতে আপনাদের এই তালা কিভাবে দিতে হবে এবং কোন কোন পদ্ধতি অবলম্বন করে কি কি শর্ত মেনে চলতে হবে তা জানিয়ে দেওয়া হবে এবং এই নিয়ম অনুসরণ করে আপনারা তালাকের পর স্ত্রীর ভরণপোষণ প্রদান করবেন।