তারাবির নামাজ পড়ার নিয়ম

তারাবির নামাজ পড়ার নিয়ম
 

আলহামদুলিল্লাহ তারাবির নামাজ পড়ার নিয়ম সর্বপ্রথম আমরা নামাজের নিয়ত করব, আর তারাবি নামাজ  মোট 20 রাকাত, নিয়ত করার পর তারাবির দুই রাকাত দুই রাকাত করে তারাবির নামাজ পরিতে হয়।

তারাবির নামাজের নিয়ত

নাওয়াইতুআন উসালি­য়া লিল্লাহি তাআলা, রাকাআ’তাই সালাতিত তারাবিহ সুন্নাতু রাসুলিল্লাহি তাআ’লা মুতাওয়াযজ্জিহান ইলা যিহাতিল কা’বাতিশ শারিফাতি, আল্লাহু আকবার। (যদি জামাআতের সহিত নামাজ হয় তবে- ইক্বতাদাইতু বি হাজাল ইমাম বলতে হবে)।

দুই রাকাত সুন্নত নামাজ এই ইমামের পিছনে আদায় করতেছি আল্লাহ হুয়াকবার। তারপর খতম তারাবী হলে ইমাম সাহেব কুরআন থেকে শুরু করবে আর যদি সূরা তারাবীহ কোরআনের আয়াত থেকে তিন চার আয়াত করে নিয়ে সুরা তারাবি পড়াবে। তারপর আমরা ইমাম সাহেব ঠিক যে ভাবে আমরা নামাজ পড়ি, কেবলা মুখ হইয়া সেজদা করার পর আবার ইমাম সাহেব যখন আবার দ্বিতীয় রাকাতের জন্য আবার যখন নামাযের নিয়ত করবে তখন আমরা আবার ইমাম সাহেবের সাথে নিয়ত করব এরকম ভাবে সুরা কেরাত পড়ার পর রুকু সেজদা দেয়ার পর তাশাহুদ সূরা পাঠ করার পর আমরা চার রাকাত নামাজ শেষ করব। তারপর  আমরা একটা ছোট দোয়া পাঠ করবো সেটা হয়েছে মাজুর হাদীসে পাওয়া গেছে দুর্বল হাদীস যয়ীফ হাদীসের পাওয়া গেছে সে দোয়া টা  হলোঃ

বিতর সালাত

এই পদ্ধতি গুলো রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) থেকে সুস্পষ্ট নছ বা দলিলের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে। উক্ত পদ্ধতিগুলোর উপর আরো অন্যান্য প্রকার এভাবে বৃদ্ধি করা যেতে পারে যে, প্রত্যেক প্রকার থেকে ইচ্ছামতো রাকআত সংখ্যা কমিয়ে এক রাকাত বিতরে সীমাবদ্ধ করবে। রাসূল (ছাঃ)-এর নিম্নোক্ত বাণীর প্রতি আমল করণার্থে। তিনি বলেন, যে চায় সে পাঁচ রাকাত বিতর পড়ুক, যে চায় সে তিন রাকাত বিতর পড়ুক এবং যে চায় সে এক রাকাত বিতর পড়ুক।

সুব্হানাযিল মুলকি ওয়াল মালাকুতি, সুব্হানাযিল ইয্যাতি, ওয়াল আয্মাতি, ওয়াল হাইবাতি, ওয়াল কুদরাতি, ওয়াল কিবরিয়াই, ওয়াল যাবারুত। সুব্হানাল মালিকিল হাইয়্যিল্লাজি লা-ইয়ানামু ওয়ালা ইয়ামুতু আবাদান আবাদা। সুব্বুহুন কুদ্দুছুন রাব্বুনা ওয়া রাব্বুল মালাইকাতি ওয়ার রূহ।

তারাবির নামাজের সহীহ নিয়ম

এশা’র চার রাকাত ফরজ নামাজ ও ২ রাকাত সুন্নত আদায় করার পর এবং বিতর নামাজের আগে তারাবীহ্ নামাজ আদায় করতে হয়।

একনজরে

এশার চার রাকাত সুন্নত।

এশার চার রাকাত ফরজ।

এশার দুই রাকাত সুন্নাত।

দুই রাকআত দুই রাকআত করে তারাবির সালাত।

এশার তিন রাকাত বেতের।

তারাবি নামাজের চার রাকাত পরপর দোয়া

এই পাঁচ ও তিন রাকআত বিতর চাইলে এক বৈঠকে ও এক সালামে আদায় করবে। যেমনটি দ্বিতীয় পদ্ধতিতে বর্ণিত হয়েছে। আর চাইলে প্রত্যেক দুই রাকআত পর সালাম ফিরাবে। যেমনটি তৃতীয় ও অন্যান্য পদ্ধতিতে বর্ণিত হয়েছে। আর এটাই সর্বোত্তম।

তারাবির নামাজে কুরআন খতম

তারাবীহর নামাযে কুরআন খতম করার ব্যাপারে শায়খ ইবনে বায (রঃ) বলেন, এ ব্যাপারে প্রশস্ততা আছে। তবে আমার এমন কোন দলিল জানা নেই, যাকে কেন্দ্র করে বলা যায় যে, তারাবীর নামাযে কুরআন খতম উত্তম। অবশ্য কিছু উলামা বলেন যে, ইমামের জন্য পূর্ণ কুরআন শুনানো উত্তম; যাতে করে জামাতের জন্য (অন্ততপক্ষে বছরে একবার) পূর্ণ কুরআন শোনার সৌভাগ্য লাভ হয়। কিন্তু এ যুক্তি স্পষ্ট দলীল নয়। 

সুতরাং যা গুরুত্বপূর্ণ তা হল, ইমাম তার কিরাআতে বিনয়-নম্রতা অবলম্বন করবেন, ধীর ও শান্তভাবে কুরআন তেলাওয়াত করবেন খতম করতে না পারলেও; বরং অর্ধেক বা দুই তৃতীয়াংশ পড়তে না পারলেও মুক্তাদীরা যাতে উপকৃত হয় সেই চেষ্টাই করবেন; যেহেতু কুরআন খতম করা কোন জরুরী কাজ নয়; জরুরী হল লােকদেরকে তাদের নামাজের ভিতরে কিরাআতের মাধ্যমে বিনয়-নম্রতা সৃষ্টি করে উপকৃত করা; যাতে তারা সেই নামায ও কিরাআতে লাভবান ও তৃপ্ত হতে পারে; অবশ্য এর সাথে যদি কুরআন খতম করা সম্ভব হয়, তাহলে আল-হামদু লিল্লাহ; সম্ভব না হলে তিনি যা পড়েছেন তাই যথেষ্ট; যদিও কুরআনের কিছু অংশ বাকী থেকে যায়; কারণ, কুরআন খতম করা অপেক্ষা ইমামের মুক্তাদীগণের প্রতি সবিশেষ যত্ন নেওয়া, তাদেরকে নামাযের ভিতরে বিনয়াবনত হতে সর্বতঃ প্রয়াস রাখা এবং তাদেরকে নামাযে পরিতৃপ্ত করে উপকৃত করা বেশী গুরুত্ব রাখে; এতদসত্ত্বেও যদি কোন প্রকার কষ্ট-অসুবিধা ছাড়াই কুরআন খতম করেন এবং পূর্ণ কুরআন তাদেরকে শোনাতে সক্ষম হন, তাহলে তা অবশ্যই উত্তম।

আপনারা যারা এতখন পর্যন্ত আমাদের পোষ্ট পড়লেন তাদের অসংক ধন্যবাদ। আমাদের ওয়েবসাইটে তারাবির নামাজ, রোজার নিয়ত, ইফতারের দোয়া, ইসলামিক হাদিস সহ আরো বিভিন্ন ইসলামিক জ্ঞান আর্জন করতে পারবেন।

 
 
 
 
About শাহরিয়ার হোসেন 4780 Articles
Shahriar1.com ওয়েবসাইটে আপনার দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় যা কিছু দরকার সবকিছুই পাবেন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*