তারাবির নামাজের মোনাজাত বাংলা অর্থসহ

তারাবির নামাজের মনোজাত বাংলা অর্থসহ

আল্লাহ তা’লাকে রাজি-খুশি করার উদ্দেশ্যে আমরা  নামাজ , রোজা , হজ, যাকাত এগুলো এবাদত আল্লাহ করা।  তারাবির নামাজ, রোজা রাখা, এককথায় জন্ম থেকে মৃত্যু পর্য়ন্ত যাকিছু  করব তাই আল্লাহতালার জন্য করতে হবে। আমরা হাদিসের আলোকে আমাদের ওয়েবসাইটে আল্লাহতাআলাকে যে ভাবে ডাকলে আমাদের মোনজাত কবুল করবে তার কিছু নমুনা দেওয়া হলোঃ

রাতের ইবাদত ও দোয়া আল্লাহর কাছে অনেক মর্যাদা ও সম্মানের। রাতের দোয়া ও ইবাদতে তাওহিদের সাক্ষ্য দিয়ে মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করলে সে দোয়া আল্লাহ তাআলা ফেরত দেন না। বান্দার সব দোয়া আল্লাহ তাআলা কবুল করে নেন। হাদিসে এসেছে-

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যখন তোমাদের কেউ রাতে জেগে আল্লাহরকাছে দোয়া করে, আল্লাহ তাআলা তার দোয়া কবুল করেন। আর যদি ওই ব্যক্তি ওজু করে এবং নামাজ আদায় করে তবে সে নামাজও কবুল করা হয়।

আল্লাহ ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। তিনি একক, তাঁর কোন শরীক নেই। তাঁর জন্যই সকল রাজত্ব ও তাঁর জন্যই সকল প্রশংসা এবং তিনিই সকল কিছুর উপরে ক্ষমতাশালী। মহা পবিত্র আল্লাহ। সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য। আল্লাহ ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। আল্লাহ সবার চেয়ে বড়। নেই কোন ক্ষমতা নেই কোন শক্তি আল্লাহ ব্যতীত । তুমি যদি পৃথিবী পরিমাণ গুনাহ নিয়ে আমার কাছে আসো এবং আমার সঙ্গে কোনো কিছুকে শরিক না করে থাকো, তাহলে আমিও সমপরিমাণ ক্ষমা নিয়ে তোমার কাছে আসব।

হে আদম সন্তান! তুমি যত দিন পর্যন্ত আমার কাছে দোয়া করতে থাকবে এবং ক্ষমা প্রার্থনা করতে থাকবে, আমি তত দিন তোমার গুনাহ মাফ করতে থাকব, তুমি যা-ই করে থাকো আমি সেদিকে ভ্রুক্ষেপ করব না। হে আদম সন্তান! তোমার গুনাহ যদি আকাশের উচ্চতা পর্যন্তও পৌঁছে যায়, অতঃপর তুমি আমার কাছে ক্ষমা চাও, তবু আমি তোমাকে ক্ষমা করব, আমি সেদিকে ভ্রুক্ষেপ করব না।

মহান আল্লাহই আমাদের জন্য যথেষ্ট, তিনি কতই না উত্তম কর্মবিধানকারী। আমরা আল্লাহর ওপর ভরসা করলাম। আল্লাহর সহযোগিতা ছাড়া কারো (ভালো কর্মের দিকে) এগিয়ে যাওয়া এবং (খারাপ কর্ম থেকে) ফিরে আসার সামর্থ্য নেই।

মানুষের জীবনে নানা ধরনের সমস্যা আপতিত হয়। তখন মানুষ কষ্ট পায়, দুঃখ-ব্যথায় জর্জরিত হয়। কেউ কেউ বিপদে ধৈর্য হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ে। কারও কারও স্বাভাবিক জ্ঞান-বুদ্ধি লোপ পায়। কী করবেন ও কী করা উচিত— তা নির্ণয় করতে পারেন না।

এই ধরনের ত্রাহি অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য মানুষ আল্লাহর কাছে সাহায্য কামনা করে। তার কাছে সহযোগিতার প্রার্থনা করে। যেন তিনি সমস্যামুক্ত করে দেন। বিপদ থেকে মুক্তি দান করেন। মানুষ কোন পথে ও কীভাবে আল্লাহর সাহায্য কামনা করবে, সেই উপায় ও পথও তিনি বাতলে দিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা নামাজ ও সবরের (ধৈর্য) মাধ্যমে আমার (আল্লাহর) সাহায্য কামনা করো।

হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে আমার দ্বীন-দুনিয়া, পরিবার ও ধন-সম্পদের নিরাপত্তা কামনা করছি। হে আল্লাহ! আমার দোষ-ত্রুটি গোপন রাখুন, আমার সৌন্দর্যগুলো নিরাপদ রাখুন। হে আল্লাহ আমাকে আমার সামনে-পেছনে, আমার ডানে-বামে ও ওপরের দিক থেকে রক্ষা করুন। আমি আপনার কাছে আপনার মহত্ত্বের অসিলায়— আমার নিচ দিকে গুম হয়ে যাওয়া থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই কঠিন বিপদ, দুর্ভাগ্যে পতিত হওয়া, ভাগ্যের অশুভ পরিণতি এবং শত্রুর আনন্দিত হওয়া থেকে।

রমজান মাসে তারাবি নামাজের ফজিলত ও মর্যাদা সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি ইমান ও আত্মবিশ্লেষণের সঙ্গে পুণ্য লাভের আশায় রোজা রাখেন, তারাবি নামাজ পড়েন এবং কদরের রাতে জাগ্রত থেকে আল্লাহর ইবাদত করেন, তাঁর জীবনের পূর্বের সব গুনাহ মাফ করা হবে।

About শাহরিয়ার হোসেন 4780 Articles
Shahriar1.com ওয়েবসাইটে আপনার দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় যা কিছু দরকার সবকিছুই পাবেন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*