ফ দিয়ে সাহাবীদের নাম

ফ দিয়ে সাহাবীদের নাম

আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। বিভিন্ন ধরনের ইসলামিক নাম পেতে আমাদের ওয়েবসাইট টি ভিজিট করতে পারেন। আর আমাদের ওয়েবসাইটে আজকের আর্টিকেলটিতে মূলত আলোচনা করা হয়েছে ফ অক্ষর দিয়ে সাহাবীদের নাম। যেসব লোক প্রিয় নেতা বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর জীবিত থাকা অবস্থায় তার সাথে দেখা করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন, প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর হাতে হাত রেখে ইসলাম গ্রহণ করেছেন এবং তার সহচার্য লাভ করেছেন, অতঃপর ইসলামের প্রতি বিশ্বাস থাকা অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন তাদেরকে ইসলামি পরিভাষায় সাহাবী বলা হয়।

আর অনেক মুসলমান তাদের বাচ্চাদের নাম রাখার জন্য সাহাবীদের নাম খোঁজ করে। কেননা তারা চায় তাদের বাচ্চাদের নামগুলো যেন সাহাবীদের নাম অনুসারে হয়। আর এজন্য তারা যেন খুব সহজে তাদের বাচ্চাদের পছন্দমত নাম পেয়ে যায় এবং এই নামগুলো তাদের বাচ্চাদের রাখতে পারে তাই আমাদের আজকের আর্টিকেলটিতে ফ অক্ষর দিয়ে সাহাবীর নামের সন্নিবেশ ঘটানোর চেষ্টা করেছি। যে সকল পিতা-মাতা তাদের বাচ্চাদের ফ অক্ষর দিয়ে সাহাবীদের নাম অনুসারে নাম রাখার জন্য বিভিন্ন ধরনের সাহাবীর নাম খোঁজ করছেন আজকের আর্টিকেলটি তাদের জন্য বিশেষভাবে উপকারী হবে।

ইসলাম ধর্মে সাহাবীদের সম্মান এবং মর্যাদা অনেক বেশি। সাহেবীরা সরাসরি হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর সাথে সাক্ষাৎ করেছেন এবং তার সাথে মোলাকাত করেছেন। আর তাদের জীবন দশায় মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর সমস্ত আদেশ নির্দেশ মেনে চলেছেন। আর তাদের দিকনির্দেশনা অনুসারে ইসলামিক ভাবে জীবন পরিচালনা করেছেন। এজন্য তারা মূলত সম্মানিত হয়েছেন। আর এর ফলে নবীদের পরে মূলত সাহাবীদের সম্মানের জায়গা। তাই চেষ্টা করা উচিত আমাদের প্রিয় সন্তানটির নাম যেন ভালো হয়, তার প্রভাবে ছেলেটি নেককার হয়। আর দুনিয়া ও আখিরাতে সফল হতে পারে। কেননা ইসলামিক নামই পারে সন্তানদের নেককার বানাতে। আর ইসলামিক নামের মাধ্যমে দুনিয়া ও আখিরাতে শান্তি পাওয়া যেতে পারে বা গুনাহ মাফ হতে পারে।

সকল পিতা-মাতার এজন্য উচিত সন্তানের ইসলামিক নাম রাখা। সুন্দর একটি নাম রাখলে প্রাণপ্রিয় সন্তানটি একদিন পিতা-মাতাকে তার জন্য সম্মানিত করতে পারে। আবার যদি ইসলাম অনুসারে সুন্দর নাম রাখা না যায়, তাহলে সেই প্রাণপ্রিয় সন্তানটির নাম না রাখার জন্য পিতা-মাতাকে দায়ী করবে এবং বলবে যে আমার মা বাবা আমার সুন্দর একটা নাম রাখেননি। এজন্য আমি পাপ কাজে লিপ্ত হয়ছি। সুতরাং আমার সমস্ত গুনাহ আমার মা-বাবার প্রাপ্ত, এগুলো তাদেরকে দিয়ে দিন। এইভাবে হয়তো প্রিয় সন্তানটির মৃত্যুর পরে হাশরের ময়দানে একটি সুন্দর নাম না রাখার জন্য বা একটি। ইসলামিক নাম না রাখার জন্য পিতা-মাতাকে দায়ী করবে এবং গুনার অধিকারী করবে আর এর ফলে পিতা-মাতা অনেক শাস্তি ভোগ করতে পারে। তাই সবাইকে অনুরোধ হচ্ছে অন্ততপক্ষে মুসলমান ব্যক্তি তার সন্তানের নামগুলো যেন ইসলাম অনুসারে রাখেন।

বর্তমান যুগ হলো তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির যুগ। আগের সময় যেকোনো কিছু খোঁজার জন্য অনেক সময় এবং পরিশ্রমের প্রয়োজন হতো। কিন্তু এখন এই তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সাহায্য নিলেই নানা ধরনের তথ্য পাওয়া যায়। আর এর ফলে খুব সহজেই আপনি ইসলামিক নাম গুলো পেয়ে যাবেন। তাই একটু কষ্ট করে যদি আপনার পছন্দমত একটি ইসলামিক নাম খুঁজে নিয়ে আপনার সন্তানের নাম রাখেন হয়তো সেই নামের অসিলায় আপনি অনেক নেকি পেতে পারেন অথবা পরকালে শান্তি পেতে পারেন। আর আমরা আজকের আর্টিকেলটিতে মূলত ফ অক্ষর দিয়ে বিভিন্ন সাহাবীদের নাম তুলে ধরলাম। এখান থেকে আপনি ফ অক্ষরের সাহাবীদের নাম গুলো সংগ্রহ করে নিতে পারবেন খুব সহজেই। চলুন তাহলে কিছু ফ অক্ষরের নাম দেখে নেওয়া যাক। যেমন : ফাতিমা, ফুযালা, ফাদল, ফাইরুজ, ফাইয়াজ ইত্যাদি।

About শাহরিয়ার হোসেন 4781 Articles
Shahriar1.com ওয়েবসাইটে আপনার দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় যা কিছু দরকার সবকিছুই পাবেন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*