
যে সকল ব্যক্তিবর্গ জীবিত থাকা অবস্থায় ইসলামের নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)কে সরাসরি দেখা ও সাক্ষাৎ লাভ করেছেন, তার হাতে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন এবং তার সহচার্য লাভ করেছেন এবং শেষ পর্যন্ত ইসলামের প্রতি বিশ্বাস থাকা অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন তাদেরকে ইসলামী শরীয়তের পরিভাষায় নবীর সাহাবী বলা হয়। সাহাবীরা অতি সাধারণ জীবন যাপন করেও তারা ইসলামের প্রতি ছিলেন অসাধারণ। ইসলামের প্রতি তাদের অগাধ বিশ্বাস এবং ইসলাম অনুসারে জীবন পরিচালনা করার ফলেই ইসলামে তারা অনেক বেশি মর্যাদার অধিকারী।
আমরা বিভিন্ন হাদিস পর্যালোচনা করলে বা মুসলিম শাসন পর্যালোচনা করলে দেখতে পায় যে, যে সকল ব্যক্তিবর্গ ইসলাম অনুসারে জীবন অতিবাহিত করেছেন এবং ইসলামের শাসন মেনে নিয়েছেন আর ইসলামের জন্য জীবন দিতেও কখনো পিছপা হোন নি তারা। ইসলামের অনেক বেশি মর্যাদা লাভ করেছেন। কেননা যে সকল ব্যক্তিবর্গ ইসলাম ধর্ম মনে প্রানে বিশ্বাস করেন এবং পালন করেন তারা সবসময়ই মর্যাদার অধিকারী হন। তেমনিভাবে অনেক বেশি মর্যাদার অধিকার আর নবী রাসুলের পরেই মূলত সাহাবীদের মর্যাদা দান করা হয়েছে।
যে সকল সাহাবীরা সারা জীবন অতিবাহিত করেছেন ইসলামের ছায়াতলে। আমরা মুসলিম হয়ে অনেকেই সেই সকল সাহাবীদের নাম জানিনা বা সে সকল সাহাবীদের জীবনী পড়িনি। আমরা মুসলিম জাতি হিসেবে আমাদের সকলের উচিত নবী রাসুলের জীবনীর পাশাপাশি সাহাবীদের জীবন যাপন পদ্ধতি সম্পর্কে জানা। আর সাহাবীরা যেভাবে জীবন পরিচালনা করেছেন সেই ভাবে জেনে আমাদের নিজেদের জীবনী পরিচালনা করা। তাহলে তারা যেমন মর্যাদার অধিকারী হয়েছেন আমরাও তেমনি মর্যাদার অধিকার হতে পারবো। ইসলাম আমাদেরকেও তেমন ভাবে সম্মানিত করবেন। বিভিন্ন সাহাবীদের জীবনের বিভিন্ন হাদিস গ্রন্থে আলোচনা করা হযয়েছে।
সেসব হাদিস গ্রন্থ যদি আমরা পরি তাহলে সাহাবীদের জীবনের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য লাভ করতে পারি। আর আমাদের আজকের আর্টিকেলটিতে মূলত সাহাবী সম্পর্কে বিভিন্ন আলোচনা করা হয়েছে। তারা কেমন ছিল, কেমন ভাবে জীবন অতিবাহিত করেছে, তাদের নাম কি ছিল, তাদের নামের অর্থ কি ছিল, সাহাবীদের স্ত্রীর রা কেমন ছিল, সাহাবীদের স্ত্রীদের নাম বা তারাও কিভাবে ইসলাম ধর্ম পালন করত বা নিজেদের জীবন পরিচালনা করত এই সকল বিষয় আজকের আর্টিকেলটিতে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করা হয়েছে। আপনি যদি সাহাবীদের সম্পর্কে বিভিন্ন রকম তথ্য জানতে চান তাহলে আমাদের আজকের আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়তে পারেন। মনোযোগ দিয়ে যদি পড়েন তাহলে সাহাবীদের সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য আপনি পেয়ে যাবেন বলে আশা করছি।
সাহাবীরা মূলত নবীর আদর্শ মেনে চলতেন। আর নবীর কথা মত জীবন পরিচালনা করতেন। কিন্তু অনেক সময় দেখা গেছে যে অনেক সাহাবী অনেক কষ্টের মধ্যে জীবন অতিবাহিত করলেও ইসলাম থেকে পিছপা হন না। ইসলাম ধর্মের প্রতি বিশ্বাস অটুট ছিল। আমাদের উচিত সে সকল সাহাবীদের মত ইসলাম ধর্মের প্রতি অগাধ বিশ্বাস স্থাপন করা। আর যে কোন বিপদ-আপদে আমাদের বিশ্বাস যেন হারিয়ে না যায় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। কেননা প্রকৃতপক্ষে যে ঈমানদার ব্যক্তি সে কখনো ইসলামের প্রতি অবিশ্বাস আনে না এবং কোন পরিস্থিতিতেই ইসলামের অমর্যাদা করতে পারে না। তাই মুসলমান ব্যক্তি হিসেবে আমাদের সাহাবীদের জীবনী লক্ষ্য করতে হবে, নবী-রাসূলের জীবনী লক্ষ্য করতে হবে এবং তারা যেমন ভাবে জীবন অতিবাহিত করেছে, সেইভাবে জীবন অতিবাহিত করার বা পরিচালনা করার চেষ্টা করতে হবে।
সাহাবীরা তাদের ব্যক্তিগত জীবনেও আদর্শ এবং ধার্মিক ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত ছিল। তারা পরিবারের সাথেও সবসময় ভালো ব্যবহার করত এবং তাদের স্ত্রী সন্তানদেরও ইসলাম ধর্মের প্রতি অনুরাগী করে তুলতেন। এই বিষয়গুলোর ক্ষেত্রে আমাদের সচেতন হওয়া উচিত এবং এরকম ভাবে নিজেদের ব্যক্তিগত জীবনও পরিচালনা করা উচিত। আর প্রতিটি ক্ষেত্রে ইসলামী জীবন দর্শন অনুসারে জীবন অতিবাহিত করা দরকার।
Leave a Reply