আপনি কি বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী এবং বিজ্ঞান বিষয়ে আগ্রহ বোধ করছেন? আপনারা যারা বিজ্ঞান বিষয়ের তড়িৎ ঋণাত্মতা কাকে বলে এটি সম্পর্কে ধারনা অর্জন করতে চান তাদেরকে বলবো যে আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা তড়িৎ ঋণাত্মতা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে নিতে পারবেন এবং আমরা যতদূর পারি সহজ ভাবে আপনাদেরকে বোঝানোর চেষ্টা করব। ধনাত্মতা এবং ঋণাত্মতা দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বিজ্ঞানের ভাষায়।
এক্ষেত্রে আপনারা যদি এই বিষয়গুলো বুঝতে পারেন তাহলে এটি পদার্থ বিজ্ঞানের আওতাভুক্ত একটি বিষয় যা আপনাদেরকে পাঠ করতে হবে এবং বিজ্ঞান বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিসগুলো আপনাদেরকে ধারণা অর্জন করতে হবে। আমরা প্রতিনিয়ত শিক্ষার্থীদের চাহিদা সম্পন্ন প্রশ্নের উত্তর অথবা যে সকল প্রশ্ন বারবার পরীক্ষায় আসে সে সকল প্রশ্নের উত্তর নিয়মিতভাবে আমাদের ওয়েবসাইটে পোস্ট করছি। তাই সেই ধারাবাহিকতা অনুসরণ করে আপনারা যারা আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে নির্দিষ্ট বিষয় সম্পর্কে জানতে এসেছেন তাদেরকে স্বাগত জানাই এবং এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা তড়িৎ ঋণাত্মতা সম্পর্কে জেনে নিতে পারবেন।
যারা তড়িৎ ঋণাত্মতা সম্পর্কে জানতে চান তাদের উদ্দেশ্যে বলবো যে এখান থেকেই তথ্য আপনাদের উদ্দেশ্য প্রদান করা হলো। আমরা যখন লক্ষ্য করব যে অন্য কোন মৌলের পরমাণুর সঙ্গে সমযোজী বন্ধনে আবদ্ধ থাকা অবস্থায়,অর্থাৎ অন্য কোন মৌলের পরমাণুর সাথে একটা বন্ধনে আবদ্ধ থাকতে হবে এবং এই আবদ্ধ থাকার ক্ষেত্রে যে বন্ধন সৃষ্টিকারী ইলেকট্রন জোর কোন মৌলের পরমাণু নিজের দিকে আকর্ষণ করার ক্ষমতা রয়েছে তখন আমরা সেই মৌলটিকে তড়িৎ ঋণাত্মতা বলব।
অর্থাৎ এই ক্ষেত্রে ইলেকট্রন জোর কে কোন মৌলের পরমাণুর দিকে আকর্ষণ করতে হবে এবং এই আকর্ষণ করার ক্ষমতাটাই হলো তড়িৎ ঋণাত্মতা। আমরা যদি আরও একটু আলাদাভাবে বলতে চাই তাহলে বলতে পারি যে দুটি পরমাণু যখন সমযোজী বন্ধনে আবদ্ধ হবে এবং আবদ্ধ হওয়ার পরে অণুতে পরিণত হয়ে যাবে তখন বন্ধনের যে সকল ইলেকট্রন রয়েছে সেই ইলেকট্রন নিজের দিকে আকর্ষণ করলে তখন তাকে আমরা তড়িৎ ঋণাত্মতা বলব।
এখান থেকে আমরা বুঝলাম যে আকর্ষণের যে ইলেকট্রন রয়েছে সেই ইলেকট্রনের যে ক্ষমতা এবং এই আকর্ষণ করাটাই হচ্ছে তড়িৎ ঋণাত্যতার আসল বিষয় এবং এর মাধ্যমে আমরা এই সংজ্ঞা বুঝতে পারলাম বলে এটি আমাদের অনেকদিন মনে থাকবে।
Leave a Reply