
সকলেই জানি যে ভিটামিন হচ্ছে আমাদের শরীরের শক্তির উৎস এবং সেই ভিটামিন গুলো আমরা আমাদের প্রতিদিনের খাদ্যে তালিকা থেকে গ্রহণ করি। যখন পর্যাপ্ত ভিটামিন আমরা আমাদের খাবার থেকে গ্রহণ করতে পারি না তখন আমরা অতিরিক্ত ঔষধ ব্যবহার করি এই ভিটামিন গুলো শরীরে মধ্যে থাকার জন্য। তাদের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন হচ্ছে “ভিটামিন-ই”।
এবং কারো শরীরে যদি “ভিটামিন-ই” এর ঘাটতি দেখা দেয় তাহলে অবশ্যই এই ঘাটতি পূরণে ঔষধের শরণাপন্ন হতে হবে। চিন্তার কোন কারণ নেই “ভিটামিন-ই” এমন একটি ঔষধ যেটা সহজলভ্য ঔষধ এবং সকল ফার্মেসির দোকানে পাওয়া যায় এবং এটার দাম অত্যন্ত কম। তবে আজকের আলোচনার মূল বিষয় হলো এই “ভিটামিন-ই” যদি আমরা বেশি খেয়ে ফেলি তাহলে আমাদের কোন ক্ষতি হবে কিনা এবং ক্ষতিগুলো কি কি। বলতে গেলে “ভিটামিন-ই” এর অপকারিতা সম্পর্কে আজকে জানার চেষ্টা করব।
ভিটামিন ই এর উৎস
এটা এমন একটি ভিটামিন যে আমাদের শরীরে থাকা প্রত্যেকটি কষ্টের সুস্থ রাখতে সাহায্য করে এবং বিভিন্ন ধরনের ঝুঁকি থেকে আমাদের শরীরের কোষ কে মুক্ত রাখে। এই একই ভিটামিন একই সাথে আমাদের শরীরে ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়তে সহায়তা করে এবং বিভিন্ন ধরনের রোগ যেমন ভুলে যাওয়া রোগ হাট সম্পর্কিত বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধের সাহায্য করে।
“ভিটামিন-ই” এর উৎস যদি খুঁজতে চান তাহলে আপনাকে দুই ধরনের উৎসব খুঁজতে হবে একটি হচ্ছে আপনার খাবার তালিকা। আপনার খাবার তালিকা তে থাকা খাবার গুলোর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে “ভিটামিন-ই” রাখতে হবে এতে আপনি খুব সহজেই নিজের শরীরের সঠিক পরিমাণে “ভিটামিন-ই” মজুদ রাখতে পারেন।
আপনার খাওয়া খাবার থেকে যদি আপনার শরীরে যথেষ্ট পরিমাণে “ভিটামিন-ই” না থাকে তাহলে আপনি ওষুধ সেবনের মাধ্যমে সেই ঘাটতি পূরণ করতে পারেন।বাংলাদেশে এই ঔষধ অত্যন্ত সহজলভ্য এবং অত্যন্ত কম দামে ঔষধ এবং প্রত্যেকটি ফার্মাসিটিক্যাল নিজস্ব ঔষধের তালিকায় এই ওষুধগুলো তৈরি করে।
ভিটামিন-ই এর অপকারিতা
আমরা সকলে জানি যে “ভিটামিন-ই” হচ্ছে চর্বিযুক্ত দ্রবণীয় ভিটামিন যেটা আমাদের চর্বিতে জমা হতে পারে। তাই এটা অতিরিক্ত হলে আমাদের শরীর থেকে বেরিয়ে যায় না এবং চর্বির মাধ্যমে সেটা শরীলে জমা থাকে তাই অতিরিক্ত “ভিটামিন-ই” আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
তবে খুশির খবর হলো সাধারণত দেখা যায় যে আমাদের শরীরে “ভিটামিন-ই” এর কোনটি বেশি থাকে যেটা আমাদের জন্য ভালো দিক। সেটা আমরা সব থেকে ভাল বুঝতে পারি যখন আমাদের মাথার চুলগুলো একটু বেশি বেশি পড়তে শুরু করে এবং চুলের গোড়া বেশি বেশি দুর্বল হতে শুরু করে। এই রোগ গুলো যখন আমরা দেখতে পাই তখনই বুঝতে হবে আমাদের শরীরে “ভিটামিন-ই” কমে গেছে। তখনই একজন ভালো বিশেষজ্ঞ মেডিসিন ডাক্তারের কাছে যেতে হবে এবং সেই ডাক্তার আমাদের কোন “ভিটামিন-ই” ক্যাপসুল খেতে বলে সেগুলো খেতে হবে।
ভিটামিন-ই মুখে লাগালে কি ক্ষতি হয়
অনেকে জানতে চেয়েছেন ভিটামিন-ই সরাসরি মুখে লাগালে কোন ক্ষতি হয় কিনা। সাধারণত “ভিটামিন-ই” যুক্ত যে ক্রিমগুলো রয়েছে সেগুলো প্রক্রিয়াকরণ করা হয় মুখের চেহারার জন্য এবং তারা বহু পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে এগুলো বাজারজাত করে।
স্বাভাবিকভাবে যদি সঠিক “ভিটামিন-ই” ক্রিম আপনি ব্যবহার করেন এবং এটা পর্যাপ্ত পরিমাণে হয় তাহলে সেটা আপনার চেহারাতে কোন ধরনের ক্ষতি করতে পারবে না বরং উপকারই করবে। কিন্তু আপনি যদি অতিরিক্ত পরিমাণে ব্যবহার করেন এবং এর সঙ্গে ভেজাল কোন ক্রিম ব্যবহার করেন তাহলে সেটা আপনার চেহারার ক্ষতি করতে পারে এবং আপনার চেহারাকে আগের থেকে আরও বেশি খারাপ করে তুলতে পারে। তাই ক্রিম ব্যবহারের ক্ষেত্রে অবশ্যই ক্রিম এর কোয়ালিটি সম্পর্কে অবগত হন তারপর সেটা ব্যবহার করুন।
Leave a Reply