আমরা সকলেই এ বিষয়ে অবগত আছি যে প্রত্যেকটি ভিটামিন আমাদের শরীরের খুবই গুরুত্বপূর্ণ উপাদান তার কারণ হলো এটার যদি কোন ধরনের কমতি হয় তাহলে কোন না কোন সমস্যা অবশ্যই হবে। আজকে আমরা জানার চেষ্টা করব “ভিটামিন-এ ”সম্পর্কে এবং কোন কোন খাবারে “ভিটামিন-এ ”আছে সেই সম্পর্কে। সাধারণত সৃষ্টি শুরু থেকে আমরা প্রকৃতির উপর নির্ভরশীল তাই প্রকৃতি থেকে যে উপাদান গুলো আমাদের শরীরে আসে সেই উপাদান গুলোর মাধ্যমে যদি আমরা সকল ধরনের চাহিদা পূরণ করতে পারি তাহলে সেটা আমাদের নেওয়া সবথেকে ভালো দিক।
তার কারণ হলো প্রত্যেকটি ঔষধের এই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে তাই আপনি যদি খাবারের মাধ্যমে ভিটামিন এর স্বল্পতা পূরণ করতে পারেন তাহলে অবশ্যই সেটা আপনার জন্য সবথেকে ভালো বিষয়। তবে এর জন্য অবশ্য আপনাকে জানতে হবে কোন কোন খাবারে “ভিটামিন-এ ”আছে এবং এই খাবারগুলো আপনার হাতের আশেপাশে আসে কিনা। তাহলে চলুন আমরা জানি “ভিটামিন-এ ”সমৃদ্ধ খাবার সম্পর্কে।
কোন কোন খাবারে ভিটামিন-এ পাওয়া যায়
“ভিটামিন-এ ”আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান তবে আমাদের সবার আগে জানতে হবে আমাদের আশেপাশে থাকা খাবার গুলোর মধ্যে কোন কোন খাবারে “ভিটামিন-এ ”সব থেকে বেশি পরিমাণে রয়েছে। একজন পূর্ণবয়স্ক মহিলা শরীলে “ভিটামিন-এ ”দিনে কমপক্ষে ৭০০ মাইক্রগ্রাম থাকা উচিত তাই আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে যে খাবার গুলো আমরা খাচ্ছি তার মাধ্যমে 700 মাইক্রগ্রাম “ভিটামিন-এ ”আমাদের শরীরে যাচ্ছে কিনা।
এছাড়া পূর্ণবয়স্ক পুরুষের ক্ষেত্রে শরীরের কমপক্ষে ৯০০ মাইক্রগ্রাম “ভিটামিন-এ ”থাকা দরকার যেটা আমরা আমাদের আশেপাশে থাকা খাবার গুলোর মধ্য থেকে সংগ্রহ করতে পারি। তবে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে এর পরিমাণ সর্বাধিক ৩০০০ মাইক্রগ্রামের বেশি জানো না হয়।
“ভিটামিন-এ ”সমৃদ্ধ খাবার এর তালিকা
ছোট মাছ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং অত্যন্ত পছন্দের মাছ বাঙ্গালীদের জন্য এবং সেই ছোট মাছে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ। আমরা মলা,ডলা এই ধরনের যে মাছগুলো রয়েছে সেই মাছগুলো নিয়মিত খেতে পারি “ভিটামিন-এ ”এর পূরণের জন্য। এছাড়াও দুধ, মাখন ও কড লিভার অয়েলে প্রচুর পরিমাণে “ভিটামিন-এ ”রয়েছে। অবশ্যই আশেপাশে এই উপাদান গুলো রয়েছে যে উপাদান গুলো আমরা নিয়মিত খেতে পারি এবং নিজের শরীরের “ভিটামিন-এ ”এর পূরণ করতে পারি।
এছাড়াও কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হচ্ছে ঘি এবং টার্কির কলিজা এর পাশাপাশি গরুর কলিজা ও মাংস ও ডিম নিয়মিত খেলে আমাদের শরীরে “ভিটামিন-এ ”পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকবে।। তার কারণ হলো এই উপাদানগুলোতে প্রচুর পরিমাণে “ভিটামিন-এ ”রয়েছে। এর পাশাপাশি আপনারা সবজির মধ্যে গাজর ও পালং শাক বেশি বেশি খেতে পারেন এছাড়াও বাঁধাকপি জাতীয় খাবার যেমন ব্রকলি আপনাদের জন্য “ভিটামিন-এ ”এর অন্যতম উৎস হতে পারে এছাড়া সরিষার শাক লাল মরিচ এ প্রচুর পরিমাণে “ভিটামিন-এ ”রয়েছে।
আমরা যারা টমেটো খেতে পছন্দ করি তারা বেশি বেশি করে টমেটো খাব এর সঙ্গে লেটুস পাতা অথবা লেটুস খাওয়ার চেষ্টা করব এবং আম ও জাম্বুরা ও পাকা পেপেতে প্রচুর পরিমাণে “ভিটামিন-এ ”রয়েছে। এবং আমাদের হাতের কাছে থাকা সব থেকে সহজলভ্য সবজি কুমড়া যেটাতে প্রচুর পরিমাণে “ভিটামিন-এ ”রয়েছে।
“ভিটামিন-এ ”এর অভাবে কি সমস্যা হয়
সাধারণত শিশুদের ক্ষেত্রে দেখা যায় যে একটানা দুই সপ্তাহের বেশি ডায়রিয়ায় যখন ভোগে তখন অবশ্যই “ভিটামিন-এ ”ক্যাপসুল খাওয়াতে হবে তার কারণ হলো এটাতে “ভিটামিন-এ ”এর কমতি পূরণ করবে।
এছাড়া হামের পর নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হলে অবশ্যই “ভিটামিন-এ ”ক্যাপসুল খাওয়াতে হবে। এশারাও মারাত্মক অপুষ্টি দেখা দিলে এবং শরীর দুর্বল হলে “ভিটামিন-এ ”ক্যাপসুল খাওয়ানোর বিকল্প নেই।
Leave a Reply