ভিটামিন বি১ বি৬ বি১২ এর উপকারিতা

Rate this post

ভিটামিন b1 b6 b12 অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ভিটামিন এর একটি কম্বিনেশন এবং এর উপকারিতা বলে শেষ করা যাবে না। যারা একটু ভারী বয়স থেকে শুরু করে অতিরিক্ত বয়সে রোগী আছেন তাদের প্রত্যেকের ক্ষেত্রে ডাক্তার সাধারণত এই ভিটামিনটি লিখে থাকেন। আজকে আমরা আলোচনা করব মানব দেহের জন্য প্রয়োজনীয় অতি গুরুত্বপূর্ণ এই ভিটামিনের উপকারিতা সম্পর্কে তবে তার আগে আমরা জানার চেষ্টা করব এই ভিটামিন টি আমাদের শরীরে কমে গেলে আমাদের কোন কোন সমস্যা বা ক্ষতি হবে।

প্রতিটি ভিটামিনের সমান গুরুত্ব রয়েছে আমাদের শরীরে তবে এই ভিটামিন গুলো বিশেষভাবে বাড়তি বয়সে আমাদের শরীরে ঘাটতি থাকে যা খাবারের মাধ্যমে পূরণ করা যায় না। তাই অবশ্যই ভিটামিন বি১ বি ৬ বি ১২ এর উপকারিতা আমাদের জানতে হবে এবং সতর্ক থাকতে হবে এই ভিটামিন গুলো যাতে আমাদের শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকে।

ভিটামিন বি১ বি৬ বি ১২ ঘাটতি লক্ষণ

সাধারণত এই ভিটামিন গুলো যদি আমাদের শরীরে কম থাকে তাহলে আমাদের রক্তশূন্যতা দেখা দিতে পারে। যেটা আমরা যদি প্রথমের দিকে বুঝতে না পারি তাহলে আমাদের জন্য অনেক বড় সমস্যার কারণ হতে পারে। এর পাশাপাশি কার্ডিওভাসকুলার সমস্যা দেখা দিতে পারে ভিটামিন বি ১২ এর অভাবে। তাই ভিটামিন বি ১২ আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান যা অভাব হলে আমাদের শরীরে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

এর পাশাপাশি জিমেনশিয়ার মত বিভিন্ন লক্ষণ অর্থাৎ মানসিক সমস্যা থেকে শুরু করে আলজেমার রোগের ঝুঁকি থাকতে পারে এই ভিটামিনের অভাবে। বিভিন্ন গবেষণা থেকে দেখা গেছে যে হ্যালুসিলেশন থেকে শুরু করে বিরক্তি ও স্মৃতিশক্তি রাশ ও মেজাজ পরিবর্তনের মত সমস্যা দেখা দিতে পারে এই ভিটামিন গুলোর অভাবে।

এই ভিটামিন গুলোর অভাবে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস আমরা লক্ষ্য করতে পারি সেটা হচ্ছে ক্লান্তি এবং অল্পতে ক্লান্ত হয়ে যাওয়া ভিটামিন বি ১২ এর অভাব জনিত একটি লক্ষণ। এর পাশাপাশি নিঃশ্বাসে দুর্বলতা অর্থাৎ অল্পতেই হাপিয়ে ওঠা এবং নিঃশ্বাস প্রশ্বাসে মনে হচ্ছে যেন শান্তি পাওয়া যাচ্ছে না এমন ধরনের সমস্যা এই ধরনের ভিটামিনের ঘাটতি থেকে আপনার শরীরে তৈরি হতে পারে।

এছাড়াও নিয়মিত জিব্বায় ঘা হওয়া যেটাকে আমরা অবহেলা করি সেই ধরনের ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ করতে এই ধরনের ভিটামিন কাজে আসতে পারে। এই সমস্যাগুলো আমরা লক্ষ্য করতে পারি এই তিনটে ভিটামিনের অভাবে।

ভিটামিন বি১ বি৬ বি ১২ এর উপকারিতা

সাধারণত এই তিনটি ভিটামিন এর কম্বিনেশনে একটি ঔষধ বর্তমানে বিশ্বে ব্যবহৃত হচ্ছে এবং প্রত্যেকটি কোম্পানির কাছে তাদের নিজস্ব ঔষধ রয়েছে। বাংলাদেশের বড় বড় ফার্মাসিটিক্যালস কোম্পানিগুলো নিয়মিত এই ওষুধ বাজারে মজুদ রাখে তার কারণ হলো রোগীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই ঔষধ কোনোভাবেই ঘাটতি রাখা যাবে না। এই ভিটামিন গুলোর অভাবজনিত রোগসমূহ হলো স্নায়ু প্রদাহ থেকে শুরু করে স্নায়ুর অপ্রদাহ জনিত রোগ সহ বিভিন্ন রোগ হতে পারে।

এর পাশাপাশি ডায়াবেটিস নিরপ্যাথিক উপকারে আসে এই ভিটামিন গুলো এবং পেরিফেলার্স নিউরাল জিয়া রোগের নিরাময়ের জন্য এই ভিটামিন ব্যবহার করা হয়। লাম্বাগো ও মায়ালজিয়া নামক রোগগুলো থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য এই ঔষধ ব্যবহার করা হয়। এর পাশাপাশি অপটিক নিউরাইটিস ও ছায়াটিকা নামক অসুখ গুলোর ঔষধ হিসেবে এই ভিটামিন গুলো ব্যবহার হয়। যাদের মেরুদন্ডে ব্যথা আছে তাদের ক্ষেত্রেও ডাক্তার এই ঔষধ রিকমেন্ট করতে পারেন।

ভিটামিন বি১ বি৬ বি ১২ খাওয়ার নিয়ম

সাধারণত আপনার শরীরের পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে ডাক্তার আপনাকে নিয়ম গুলো জানিয়ে দেবে তবে এটার কমন যে নিয়ম রয়েছে সেটা হচ্ছে দিনে1 থেকে তিনটি করে ট্যাবলেট অথবা চিকিৎসকের পরমহংস অনুযায়ী এটা আপনাকে সেবন করতে হবে। শিশুদের ব্যবহারের ক্ষেত্রে এই ধরনের ঔষধের কোন নির্দেশনা নেই তাই বলা চলে এটা শিশুদের জন্য ব্যবহার উপযোগী ঔষধ নয়।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button