আমাদের বাড়ির আশেপাশে বেড়ে ওঠা সবুজ শাকসবজি আমাদের শরীরের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা বলে শেষ করা যাবে না। আদি যুগ থেকে মানুষ এই শাক সবজির ওপর নির্ভরশীল এবং মানুষ যখন স্বীকার করতে শেখেনি তখন মূলত এই শাকসবজি বা গাছের লতাপাতা খেয়ে মানুষ ক্ষুদা নিবারণ করেছে। কিন্তু দিন যত গিয়েছে মানুষ গবেষণা ত্বরান্বিত করেছে এবং তার ফলে আমরা জানতে পেরেছি কোন শাকসবজি আমাদের শরীরের জন্য ভালো এবং কোন গুলো ক্ষতিকারক।
এখন আমরা মূলত যে শাক সবজি গুলো খেয়ে থাকি সেগুলো আমাদের জন্য ভাল শাকসবজি এবং সেই শাকসবজিতে কোনটাতে কোন ভিটামিন রয়েছে সেটা যদি আমরা জানতে পারি তাহলে অবশ্যই আমরা একটি সুষম খাবার তালিকা নিজের জন্য তৈরি করতে পারি। বর্তমান পরিস্থিতিতে বিশ্বে যখন অসুস্থ রোগীর সংখ্যা বাড়ছে তখন সতর্ক মানুষ হিসাবে অবশ্যই নিজের শরীরের দেখভাল করা আপনার দায়িত্ব। তাইতো আপনাকে জানতে হবে আপনার শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিকারী “ভিটামিন ডি” কোন শাক সবজিতে বেশি রয়েছে।
“ভিটামিন ডি” সমৃদ্ধ শাক সবজির একটি তালিকা
সাধারণত আমরা সকলেই জানি যে “ভিটামিন ডি” এর প্রধান উৎস হচ্ছে সূর্যালোক এবং এই সূর্যালোক থেকে “ভিটামিন ডি” পেতে হলে অবশ্যই আপনাকে সঠিক সময়ে সূর্যের নিচে বসতে হবে বা থাকতে হবে। তবে প্রতিদিন আমরা ক্ষুধা নিবারণের জন্য যে শাকসবজি খেয়ে থাকি সে শাক সবজির মধ্যে কোন শাকসবজিতে “ভিটামিন ডি” এর পরিমাণ ভরপুর রয়েছে এবং এগুলো কিভাবে আমরা খাব সে সম্পর্কে আজকে আমরা আপনাদের কিছু জানানোর চেষ্টা করব।
বর্তমানে বাংলাদেশে বহু জনপ্রিয় একটি সবজির নাম হচ্ছে ব্রকলি। ব্রকলির সকলের খাদ্য তালিকার একটি পছন্দের খাবার এবং এই ব্রকলি খাবার দেখত অনেক সুন্দর এবং রান্না করতে অনেক সহজ হওয়া এবং যেকোনো রান্নার সঙ্গে এটি ব্যবহার করায় এই ব্রকলির জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে। আপনারা জানলে অবাক হবেন যে এই ব্লকলিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে “ভিটামিন ডি” যা আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে।
ব্রকলির পাশাপাশি আমরা যদি কপি ব্যবহার করি যেটা আমাদের দেশে আদি যুগ থেকেই চলে আসছে ফুলকপি সেটাতেও প্রচুর পরিমাণে “ভিটামিন ডি” রয়েছে। শরীরে “ভিটামিন ডি” সমৃদ্ধ এই দুইটি সবজি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এছাড়াও যেগুলো শুঁটি জাতীয় খাবার অর্থাৎ মটরশুটি থেকে শুরু করে যে খাবারগুলো এই ধরনের শস্য সেই ধরনের খাবারগুলোতে প্রচুর পরিমাণে “ভিটামিন ডি” রয়েছে।
যেমন মটরশুঁটি অথবা সিম এছাড়াও মটর ইত্যাদি ধরনের খাবার ও বিভিন্ন ধরনের ডাল “ভিটামিন ডি” এর অন্যতম উৎস। এছাড়া আমাদের কাছে কমন যেটা পালং শাক সেটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উৎস “ভিটামিন ডি” এর। এছাড়াও আমরা সবজি হিসেবে যে মাসুম ব্যবহার করি এটা “ভিটামিন ডি” এর অন্যতম উৎস এবং “ভিটামিন ডি” এর উৎস খুঁজতে গেলে অবশ্যই আপনাকে এটা খেতে হবে।
এ পাশাপাশি কমলালেবুর রস এ রয়েছে অত্যন্ত পরিমাণ “ভিটামিন ডি” তাই আপনারা যারা “ভিটামিন ডি” এর ঘাটতি পূরণ করতে চাচ্ছেন তারা কমলার লেবুর রস নিয়মিত খাবেন। এর পাশাপাশি আমরা আজকে আপনাদের জানানোর চেষ্টা করব “ভিটামিন ডি” এর মজুদ বেশি থাকলে কি হয়।
ভিটামিন ডি বেশি খেলে কি হয়
প্রয়োজনে তুলনায় অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো নয় তাই এই “ভিটামিন ডি” যেটা আমাদের শরীরে অন্যতম একটি উপাদান সেটা যদি বেশি থাকে তাহলে কোন কোন সমস্যা আমাদের শরীরে দেখা দিতে পারে সে সম্পর্কে জানব। সাভার প্রথমে যেটা হবে সেটা হচ্ছে ক্ষুধা কমে যাবে অর্থাৎ আপনাকে বারবার আপনার শরীর ক্ষুধার জন্য ডিস্টার্ব করবে না।
অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যায় যে হজমে সমস্যা হতে পারে এবং অনেকের ক্ষেত্রে মাথা ঘোরা থেকে শুরু করে ক্লান্তি আসা ও বমি হওয়া পর্যন্ত হতে পারে। অতিরিক্ত “ভিটামিন ডি” কিডনিতে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তৈরীর কারণ।
Leave a Reply