সাধারণত আমাদের খাবার তালিকায় এমন কিছু খাবার রয়েছে যে এই খাবারগুলো থেকে আমরা সরাসরি “ভিটামিন-ডি” পেতে পারি। এক কথায় বলতে গেলে খাবারের উচ্চ হিসাবে “ভিটামিন-ডি” আমাদের কাজে আসবে। এই “ভিটামিন-ডি” আমরা সব থেকে বেশি পেতে পারি সূর্যালোক থেকে তবে আমরা যেহেতু প্রতিদিন পরিমিত পরিমাণে খাবার খায় তাহলে অবশ্যই যখন “ভিটামিন-ডি” এর স্বল্পতা অনুভব করব তখন অবশ্যই এই খাবারগুলো খাবার চেষ্টা করব।
তবে আপনি যদি না জানেন এই খাবারগুলো কি তাহলে অবশ্যই আপনার খাবার তালিকা সাজাতে আপনাকে কষ্ট করতে হতে পারে। তাই এই ক্ষেত্রে অবশ্য আপনাকে জানতে হবে কোন কোন খাবারে “ভিটামিন-ডি” আছে অথবা কোন খাবারগুলো আপনি আপনার তালিকায় রাখতে পারেন “ভিটামিন-ডি” পাওয়ার জন্য। আপনাদের সেই কষ্টকে আরো সহজ করতে আমরা আপনাদের জন্য একটি খাবারের তালিকা নিয়ে এসেছি যে খাবারের তালিকা অবশ্যই আপনাদের এই কষ্ট দূর করতে সাহায্য করবে।
কোন কোন খাবারে “ভিটামিন-ডি” আছে
কোন কোন খাবারে “ভিটামিন-ডি” আছে এটা জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় তার কারণ হলো “ভিটামিন-ডি” এমন একটি ভিটামিন যেটা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। তাই এই “ভিটামিন-ডি” যদি আমাদের শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকে তাহলে যে কোন ধরনের রোগ থেকে আমরা অতি সহজেই মুক্তি পেতে পারি তবে এই ক্ষেত্রে অবশ্যই আমাদের জানার প্রয়োজন আছে এই “ভিটামিন-ডি” এর উৎস কোনগুলো।
আমরা প্রতিদিন এর খাবারের সঙ্গে যে খাবারগুলো খেয়ে থাকি সেই খাবার তালিকায় অবশ্যই ভিটামিন বিযুক্ত খাবার রাখতে হবে এতে করে ভিটামিনটি আমাদের শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকবে। আজকে আমরা আলোচনা করতে যাচ্ছি আমাদের প্রতিদিনের খাবারের মধ্যে কোন কোন খাবারে “ভিটামিন-ডি” আছে সে সম্পর্কে।
“ভিটামিন-ডি” জাতীয় খাবার কি কি
সাধারণত সামুদ্রিক মাছ ও তৈলাক্ত মাছ ও চর্বিযুক্ত মাছ অত্যন্ত ভালো “ভিটামিন-ডি” এর উৎস। যদিও আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে সামুদ্রিক মাছ অ্যাভেলেবল পাওয়া খুব একটা সহজ ব্যাপার নয় তার কারণ হলো সামুদ্রিক মাছ বাণিজ্যিকভাবে বিদেশে রপ্তানি হয়। তবে ইচ্ছে থাকলে অবশ্যই আপনি সামুদ্রিক মাছ সংগ্রহ করতে পারেন এবং সেই সামুদ্রিক মাছ নিজের খাবার তালিকায় নিয়মিত রাখতে পারেন।
ডিমের কুসুম আমাদের কাছে অত্যন্ত সহজলভ্য একটি খাবার এবং এই ডিমের কুসুমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে “ভিটামিন-ডি”। তাই এক কথায় বলা যায় যে “ভিটামিন-ডি” এর অন্যতম উৎস হচ্ছে ডিমের কুসুম। এছাড়াও যে মাসেও আমরা খেয়ে থাকি সে মাশরুমে প্রচুর পরিমাণে “ভিটামিন-ডি” রয়েছে তাই অবশ্যই মাশরুম খাওয়া কোন ভাবে বাদ দেওয়া যাবে না শরীরে “ভিটামিন-ডি” এর ঘাটতি পূরণের জন্য।
ফলমূলের মধ্যে কমলার রস আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান এবং এই কমলার রস নিয়মিত খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরে “ভিটামিন-ডি” পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকতে পারে তার কারণ হলো এই কমলা রসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে “ভিটামিন-ডি”। এছাড়াও দুধ জাতীয় খাবার এবং দুধ নিয়মিত খেলে “ভিটামিন-ডি” এর ঘাটতি আমাদের পূরণ হয়।
এছাড়াও ওটমিল ও গরুর কলিজা নিয়মিত খাবার মাধ্যমে আমরা আমাদের শরীরে “ভিটামিন-ডি” এর ঘাটতি পূরণ করতে পারি। তার কারণ হলো এই উপাদানগুলোতে প্রচুর পরিমাণে “ভিটামিন-ডি” আছে এর পাশাপাশি গম রাগী ও বার্লি জাতীয় খাবারগুলোতে প্রচুর পরিমাণে “ভিটামিন-ডি” রয়েছে। আমাদের পছন্দের খাবার বাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে “ভিটামিন-ডি”।
দুধ জাতীয় খাবার পনির মাখন ছানা দই ইত্যাদি থেকে প্রচুর পরিমাণে “ভিটামিন-ডি” পাওয়ার সুযোগ রয়েছে তাই আমরা কখনো এই খাবারগুলো নিজের খাবার তালিকা থেকে বাদ দেবো না এবং নিয়মিত এই খাবারগুলা খাবার চেষ্টা করব। আশা করছি “ভিটামিন-ডি” যুক্ত খাবার সম্পর্কে আপনাদের ভালো ধারণা হয়েছে।
Leave a Reply