ভিটামিন ডি এর অভাবে কি রোগ হয়

ভিটামিন ডি এর অভাবে কি রোগ হয়

আমরা আগেও বলেছি এখনও বলেছি ভিটামিন হচ্ছে আমাদের শরীরের শক্তির উৎস এবং কোন ধরনের ভিটামিন কে এখানে তুচ্ছ করা যাবে না। প্রত্যেকটি ভিটামিনের সমান গুরুত্ব রয়েছে আমাদের শরীরে তবে এর মধ্যে যে ভিটামিন গুলো বেশি প্রয়োজন তার মধ্যে একটি হচ্ছে “ভিটামিন-ডি”। “ভিটামিন-ডি” এর অভাবে আমাদের শরীরে বহু ধরনের রোগ দেখা দেয় আজকে জানার চেষ্টা করব “ভিটামিন-ডি” এর অভাবে কোন কোন রোগ হয় সে সম্পর্কে।

এ পূর্বে হয়তো আমরা “ভিটামিন-ডি” এর উৎস নিয়ে বহু কথা বলেছি তবে আজকে জানার চেষ্টা করব এই “ভিটামিন-ডি” যদি আমাদের শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে না থাকে তাহলে বাঁচা থেকে শুরু করে বয়স্ক মানুষের মাঝে কোন কোন রোগের লক্ষণ দেখা দিতে পারে। তাই চলুন সচেতন নাগরিক হিসেবে “ভিটামিন-ডি” সম্পর্কে জানি এবং “ভিটামিন-ডি” এর অভাবে আমরা কোন রোগে আক্রান্ত হতে পারি সে সম্পর্কে ভালো একটি ধারণা নেই।

ভিটামিন-ডি এর অভাবে যে সব রোগ হয় শরীরে

“ভিটামিন-ডি” ভর্তি হওয়া মানে আমাদের শরীরের অতি গুরুত্বপূর্ণ হারগুলো দুর্বল হয়ে যাওয়া। শুধুমাত্র যে হার দুর্বল হয়ে যাওয়া এমন নয় “ভিটামিন-ডি” এর অভাবে আরো অন্যান্য বহু সমস্যা আমাদের শরীরে হতে পারে যে সমস্যাগুলো আমরা আস্তে আস্তে উপলব্ধি করতে পারি। ভিটামিনটি শরীরের জন্য খুবই প্রয়োজনীয় একটি উপাদান এবং মানসিক সুস্থতার জন্য এই “ভিটামিন-ডি” এর প্রয়োজন রয়েছে। “ভিটামিন-ডি” এর বিভিন্ন প্রয়োজন এবং এটার অভাবে কি হতে পারে সে সম্পর্কে জানার চেষ্টা করব।

আমরা সকলেই অবগত আছি যে আমাদের শরীরে হাড়ের গঠনে “ভিটামিন-ডি” অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। গর্ভে থাকা সন্তান থেকে শুরু করে বয়স্ক মানুষের সকলের হাড়ের গঠন মজবুত করতে এবং হাড়ের গঠন শক্ত রাখতে “ভিটামিন-ডি” অত্যন্ত কার্যকরী একটি উপাদান। হাড়ের ক্ষয় রোধ থেকে শুরু করে হাড়ভাঙ্গা প্রবণতা থেকে বাঁচতে অবশ্যই শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে “ভিটামিন-ডি” রাখতে হবে।

দিন দিন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাচ্ছে অবশ্যই আপনার শরীরে “ভিটামিন-ডি” এর কোনটি রয়েছে। সকল ধরনের রোগ যখন শরীরে বাসা বাঁধে তখন অবশ্যই বুঝতে হবে আপনার শরীরে “ভিটামিন-ডি” কমে যাচ্ছে তাই এটা এক ধরনের লক্ষণ। “ভিটামিন-ডি” এর অভাবে মাংসপেশী অতি দুর্বল হয়ে যায় এবং মাংসপেশি দুর্বলতা দেখা দেয়। মাংসপেশী কাঁপা থেকে শুরু করে মাংসপেশি বেড়ে যাওয়া এবং এই ধরনের সমস্যাগুলো প্রধানত হয়ে থাকে “ভিটামিন-ডি” এর অভাবে। তাই এই ধরনের সমস্যা দেখা দিলে একজন ভালো ডাক্তারের কাছে যান এবং প্রয়োজন অনুযায়ী “ভিটামিন-ডি” সেবন করুন।

আপনি আপনার আশেপাশের সবকিছুই ঠিক রাখার চেষ্টা করছেন তারপরেও আপনি মানসিক বিষন্নতায় ভুগছেন। মানসিক বিষন্নতা বাড়াতে সবথেকে বেশি দায়ী “ভিটামিন-ডি” এর অভাব। আপনার শরীরে যত বেশি “ভিটামিন-ডি” কমে যাবে আপনার মানসিক চাপ ততই বৃদ্ধি পাবে তাই অতিরিক্ত মানুষের চাপ থেকে মুক্ত রাখতে “ভিটামিন-ডি” মজুদ রাখুন নিজের শরীরে। অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যায় যে একটু বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দাঁত ভেঙে যাচ্ছে তার মানে বুঝতে হবে যে তার শরীরে “ভিটামিন-ডি” অনেক কমে গেছে। এছাড়াও উচ্চ রক্তচাপ কোনভাবেই নিয়ন্ত্রণে থাকছে না, ওষুধ খাওয়ার ফলেও সেটা নিয়ন্ত্রণে আসছে না তাই এটার লক্ষণ হিসেবেও আমরা “ভিটামিন-ডি” এর কমতি বুঝতে পারি।

ক্লান্তি ও ঘুম আসে অর্থাৎ “ভিটামিন-ডি” অভাবে শরীরে ক্লান্তি চলে আসে এবং মেজাজে প্রভাব ফেলে অর্থাৎ মেজাজ খিঁচকিতে হয়ে যায়। এ পাশাপাশি খুব অল্প খাওয়ার ফলেও ওজন খুব দ্রুত বৃদ্ধি পায় তার প্রধান কারণ হলো শরীরে “ভিটামিন-ডি” স্বল্পতা। সাধারণত এই ধরনের সমস্যার কারণে “ভিটামিন-ডি” আমাদের নিয়মিত খাওয়া উচিত এবং ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে “ভিটামিন-ডি” পরিমাণে শরীরে থাকা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।

About শাহরিয়ার হোসেন 4780 Articles
Shahriar1.com ওয়েবসাইটে আপনার দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় যা কিছু দরকার সবকিছুই পাবেন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*