আমাদের শরীরে শক্তির উৎস হচ্ছে ভিটামিন এবং বহু ধরনের ভিটামিন রয়েছে যেগুলো আমাদের শরীরে বিদ্যমান। এ ভিটামিন গুলোর মধ্যে কোন ভিটামিনের যদি একটু ঘাটতি হয় তাহলে আমরা বিভিন্ন ধরনের শারীরিক অসুস্থতা অনুভব করি। আবার এই ভিটামিন গুলো যদি প্রয়োজনের অতিরিক্ত হয় তাহলে আমরা অসুস্থ হয়ে যাই। সব মিলিয়ে আমাদের চেষ্টা করতে হবে একটি পরিমিত পর্যায়ে ভিটামিন কে মজুদ রাখা তবে এটা খুব সহজ একটা ব্যাপার নয়।
মানব শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ভিটামিন হচ্ছে ভিটামিন ডি থ্রি এবং এই ভিটামিন ডি থ্রি কতটা গুরুত্বপূর্ণ এবং কোন কোন খাদ্যে এই ভিটামিন টি রয়েছে সেটা আজকে জানার চেষ্টা করব। এ ভিটামিনের পরিমাণ যদি আমাদের শরীরে হ্রাস পায় তাহলে আমাদের শরীরে কোন কোন ক্ষতি হতে পারে এবং এই ভিটামিনের ফলে আমরা কোন কোন উপকার পেতে পারি সে সম্পর্কে জানব।
ভিটামিন ডি৩ এর উপকার
সাধারণত ভিটামিন ডি আমাদের শরীরে হাড় শক্ত করতে সাহায্য করে। তার মধ্যে ভিটামিন ডি থ্রি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান যেটা হাড় এবং কোষের স্বাভাবিক বৃদ্ধিতে আমাদের সাহায্য করে। এটা এমন এক ধরনের ভিটামিন যেটা ফেটে দ্রবণীয় ভিটামিন তাই সূর্যালোক থেকে সরাসরি আমাদের শরীরে থাকা ফ্যাটের মাধ্যমে এই ভিটামিন আমাদের শরীরে প্রবেশ করে।
ভিটামিন ডি থ্রি শিশুদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং অত্যন্ত উপকারী একটি ভিটামিন যা শিশুদের মাতৃগর্ভ থেকে শুরু করে বেড়ে ওঠার বয়স পর্যন্ত বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এই ভিটামিনের অভাবে শিশুদের শরীরের হাড়ের বিকৃতি বা রিকেট হতে পারে। এছাড়াও প্রতিদিন ২০০০ আই ইউ ভিটামিন ডি নিলে ইস্টারয়েড প্রতিরোধ অ্যাজমা আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসায় কার্যকরী ভূমিকা রাখে এই ভিটামিন।
ভিটামিন ডি থ্রি প্রাপ্তবয়স্ক মহিলাদের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি ভিটামিন এছাড়াও ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট মহিলাদের ঋতুস্রাব জনিত উপসর্গের উন্নতি ঘটায় এবং মহিলাদের এসডিওপোরোসিস ঝুঁকি কমায়। এছাড়াও ভিটামিন ডি থ্রি আমাদের সকল বয়সের মানুষদের দাস শক্ত করতে সাহায্য করে। একটি গবেষণায় থেকে জানা গেছে যে শিশুদের এবং প্রাপ্তবয়স্কদের দাঁতের ক্ষয় রোধ করতে ভিটামিন ডি থ্রি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।
এছাড়াও যারা পেশী শক্তির বৃদ্ধি করতে চাচ্ছে তাদের অবশ্যই শরীরে ভিটামিন ডি এর পর্যাপ্ত মজুদ রাখতে হবে এবং সেটা পরিমিত হতে হবে। এছাড়া আপনারা জানলে অবাক হবেন যে ওজন কমাতে এই ভিটামিনের অনেক গুরুত্ব রয়েছে তাই কোনভাবেই এই ভিটামিন কে অবহেলা করা যাবে না।
ভিটামিন ডি এর উৎস গুলো কি কি
আল্লাহ তাআলা সবকিছু দিয়ে এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ড তৈরি করেছেন তাই এখানে মানুষের জন্য ভালো মন্দ সবকিছুই রয়েছে। সূর্যালোক অতি বেগুনি রশ্মির মাধ্যমে আমাদের শরীরে যতটা ক্ষতি করে তার থেকে বেশি উপকার করে ভিটামিন ডি এর যোগান দিয়ে। তবে সূর্যালোক থেকে ভিটামিন ডি আমাদের শরীরে প্রবেশ করানোর জন্য আপনাকে যথেষ্ট নিয়ম মানতে হবে এবং চেষ্টা করতে হবে খুব সকালের দিকে সূর্য আলোকে নিচে অন্তত ১৫ থেকে ৩০ মিনিট বসে থাকতে।
সূর্যালোক হচ্ছে ভিটামিন ডি৩ অন্যতম উৎস যেটা সৃষ্টিকর্তার পক্ষ থেকে আমাদের জন্য নিয়ামত। আমাদের শরীর যখন অনাবৃত থাকে তখন আমাদের ত্বকের থাকা কোষ ফটোলাইসিস প্রক্রিয়ায় সূর্যালোক থেকে ভিটামিন ডি ৩ এর যোগান দেয়। এবং এটা পরবর্তীতে শরীরে বিভিন্ন কোষ ও যকৃতে সঞ্চিত হয়ে আমাদের শরীরে কার্যকরী হয়ে ওঠে। এর পাশাপাশি আমাদের প্রকৃতি থেকে ভিটামিন ডি৩ এর উৎস আমরা সংগ্রহ করতে পারি।
ডিমের সাদা অংশ ভিটামিন ডি এর অন্যতম উৎস এবং যারা নিয়মিত ভিটামিন ডি শরীরে প্রবেশ করাতে চায় তারা ডিমের সাদা অংশ নিয়মিত খাবে। সামুদ্রিক মাছের মধ্যে টুনা মাছ এবং হেডিং মাছ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এর পাশাপাশি স্যামন মাছ এই তিন ধরনের মাঝে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি রয়েছে। এছাড়াও দূর থেকে তৈরি চিজ অথবা বিফ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান ভিটামিন ডি এর জন্য। এছাড়াও কর্ড লিভার অয়েল ও অয়েস্টার ও ছোট চিংড়ি এই সকল খাদ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি রয়েছে।
Leave a Reply