আমরা হয়তো বিভিন্ন আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদের জানাতে পেরেছি যে “ভিটামিন-ই” আমাদের শরীরের জন্য এবং আমাদের ত্বকের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। আমরা সকলে অবগত আছি যে আমাদের শরীরের সকল শক্তির উৎস হচ্ছে এই ভিটামিন এবং এই ভিটামিন আমরা বিভিন্ন খাবার থেকে সংগ্রহ করতে পারি। আল্লাহ তাআলা আমাদের জন্য এমন বহু সুস্বাদু খাবার পৃথিবীতে দিয়েছেন যে সুস্বাদু খাবার গুলো আমরা অনায়াসে খেতে পারি এবং সেখান থেকে পুষ্টিগুণ আমাদের শরীরে মজুদ রাখতে পারে।
আজকে আমরা দশটি এমন খাবারের তালিকা আপনাদের সামনে তুলে ধরবো যেই খাবারগুলো প্রচুর পরিমাণে “ভিটামিন-ই” সমৃদ্ধ খাবার এবং পুষ্টি তালিকার সবার শীর্ষে রয়েছে এই খাবারগুলো। একজন সচেতন মানুষ হিসেবে অবশ্যই এই খাবারগুলো আপনাকে নিয়মিত খেতে হবে এবং আপনি যখন সুস্থ থাকবেন তখনো এই খাবারগুলো আপনাকে খেতে হবে।
“ভিটামিন-ই” খাবারের উপকারিতা
সাধারণত বর্তমানে “ভিটামিন-ই” এর ব্যবহার বহু অংশে বৃদ্ধি পেয়েছে বিশেষ করে বিভিন্ন ধরনের অসুস্থতা দুর্বলতা এবং ত্বকের যত্নের জন্য এই “ভিটামিন-ই” বহু রূপে ব্যবহার হচ্ছে। তবে এর পাশাপাশি আমাদের আশেপাশে যে খাবারগুলো রয়েছে আমরা যদি সেই খাবারগুলো ঠিকঠাক ভাবে খায় তাহলে আলাদাভাবে “ভিটামিন-ই” খাওয়ার প্রয়োজন হয়তো আমাদের পড়বে না।
“ভিটামিন-ই” যুক্ত খাবারের উপকারিতা বলতে গেলে বলতে হয় এই খাবারগুলো যদি আপনারা যথেষ্ট পরিমাণে খান এবং শরীরের যথেষ্ট পরিমাণে “ভিটামিন-ই” মজুদ থাকে তাহলে আপনাদের চুলের কোন ধরনের সমস্যা হবে না। “ভিটামিন-ই” শরীরে মজুদ থাকার মধ্যে এটি হচ্ছে অন্যতম একটি লক্ষণ। এছাড়াও ত্বক সব সময় নরম ও প্রাণ উজ্বল রাখতে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে “ভিটামিন-ই” খুবই ভূমিকা পালন করে তাই অবশ্যই এই “ভিটামিন-ই” খাবার আমাদের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি খাবার।
“ভিটামিন-ই” যুক্ত খাবারের তালিকা
ডিম আমাদের কাছে অত্যন্ত পরিচিত একটি খাবার এবং এই ডিমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে “ভিটামিন-ই”। গবেষণা থেকে জানতে পারা গেছে যে সহজলভ্য এই ডিম আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী এবং প্রতি দুইটি ডিমে ১.০৫ মিলিগ্রাম “ভিটামিন-ই” রয়েছে। যা আমাদের শরীরের প্রত্যেক দিনের “ভিটামিন-ই” এর ৭% পূরণ করে।
অ্যাভোকাডো আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি ফল যেটা বাংলাদেশে কয়েক বছর ধরে ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে। বহিবিংশ সে প্রত্যেকটি খাবারের সঙ্গে এই ফল ব্যবহার হয় যাতে প্রতি অর্ধেক কাঁচা এভোকাডোতে রয়েছে ১.৩৪ মিলিগ্রাম “ভিটামিন-ই”। এই “ভিটামিন-ই” আমাদের শরীরের ৮.৯% পূরণ করে।
ব্রকলি অত্যন্ত সুস্বাদু এবং একটি খাবার এবং আমাদের কাছে অতি পরিচিত ব্রকলি আমাদের শরীরের “ভিটামিন-ই” পূরণে বেশ ভূমিকা পালন করে। আমরা যদি নিয়মিত এক কাপ ব্রকলি খাই তাহলে প্রতি কাপ ব্রক লিতে রয়েছে এক দশমিক ১৩ মিলিগ্রাম “ভিটামিন-ই” যা আমাদের শরীরের প্রতিদিনের চাহিদায় 7.53% পূরণ করে।
চিনা বাদাম সবার কাছেই পছন্দের একটি খাবার এবং এই চীনা বাদাম শুকনো করে অথবা ভেজে খেলে আপনি প্রতি 100 গ্রাম চিনা বাদামে 1.4 মিলিগ্রাম “ভিটামিন-ই” পাবেন। যেটা আমাদের প্রতিদিন এর “ভিটামিন-ই” এর চাহিদা ৯.৩ ০% পূরণ করবে।
লাল মরিচ যেটা আমরা সচরাচর তরকারিতে ব্যবহার করি এর পাশাপাশি আমরা বিভিন্ন ধরনের সস তৈরিতেও এই লাল মরিচ ব্যবহার করি। লাল মরিচের পুষ্টিগুণ অনুযায়ী প্রতি এক কাপ লাল মরিচে ২.৩৫ মিলিগ্রাম “ভিটামিন-ই” রয়েছে যেটা আমাদের শরীরের প্রতিদিনের চাহিদায় ১৫.৬০ পার্সেন্ট পূরণ করে।
আমাদের শীতকালীন প্রধান সবজি পালং শাক এবং এই পালং শাক খেতে সকলে পছন্দ করে। বহু পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ পালং শাকের প্রতি কাপে রয়েছে ১.৮৭ মিলিগ্রাম “ভিটামিন-ই” যা আমাদের প্রত্যেকদিনের চাহিদায় ১২.৪% পূরণ করে। এর পাশাপাশি বাদাম মাখন অর্থাৎ বাদাম দিয়ে যে মাখন তৈরি হয় তার প্রতি দুই চামচ বাদাম মাখনে রয়েছে 2.91 মিলিগ্রাম “ভিটামিন-ই”।
Leave a Reply