আজকে আমরা জানার চেষ্টা করব আমাদের কাছে অতি পরিচিত যে ঔষধ ভিটামিন-ই ৪০০ মিলিগ্রাম সেটা কিভাবে খেতে হবে। মূলত এটা সাধারণত নির্ধারণ করে দেয় ডাক্তার তাই আমরা এখানে ডাক্তারের উপরে কোন কথা বলবো না এবং আপনাদের ভুল তথ্য দেব না। আমরা সরাসরি ভিটামিন ই প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের ঔষধ গুলো সংগ্রহ করেছি এবং সেখানে গায়ে যে সেবনবৃদ্ধি লেখা আছে সেটা আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।
তবে এটা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সতর্কতামূলক পোস্ট হতে পারে তার কারণ হলো অতিমাত্রায় যে কোন জিনিস খাওয়া ঠিক নয় তাই এখানে আপনারা আমাদের এই তথ্যগুলো জানার পর অবশ্যই সতর্ক হবেন বলে আমরা মনে করি। যেকোনো ধরনের সমস্যা সেটা ছোট হোক বা বড় হোক সব সময় ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে এবং চেষ্টা করতে হবে একজন বিশেষজ্ঞ মেডিসিন ডাক্তারের পরামর্শ নিতে। তার কারণ হলো যে ঔষধ আপনাকে সুস্থ করছে সেই ওষুধের ভুল ব্যবহার আপনাকে মেরেও ফেলতে পারে তাই সবসময় সতর্ক থাকুন।
ভিটামিন ই ৪০০ মিলিগ্রাম কেন খাবেন
সবার প্রথমে আপনাদের জানতে হবে এই ওষুধ কেন খেতে হবে এবং ডাক্তার আপনাকে কেন এই ওষুধ খেতে বলছে। আমরা আপনাদের পরিষ্কার ভাবে জানাতে চাচ্ছি যে বর্তমানে বাজারে থাকা ভিটামিন ই ৪০০ ক্যাপসুলগুলোর মধ্যে সবথেকে বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে ই ক্যাপ নামক একটি ঔষধ। ড্রাগ ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের ই ক্যাব এই ওষুধের ইউনিট প্রাইজ নির্ধারণ করা হয়েছে সাত টাকা। আজকে আমরা সেই ঔষুধের নির্দেশনা অনুযায়ী আপনাদের সকল তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করব।
অন্তর হতে ভিটামিন ই অপর্যাপ্ত শোষণের কারণে দেহে ভিটামিন ই এর অভাব পূরণের ক্ষেত্রে এই ভিটামিন ক্যাপসুল টি ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও খাবারের সাথে পলি এন্ড স্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড অধিক পরিমাণে গ্রহণ করার জন্য অধিক ভিটামিন বি এর প্রয়োজন পূরণ করে এই ভিটামিন। এ ভিটামিন ই ত্বক ও চুলের সৌন্দর্য বর্ধনে প্রচুর উপকারী একটি জিনিস। ভিটামিন ই তে প্রচুর পরিমাণে এন্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যেটা শরীরের ঘাটতি হওয়া অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের পূরণ করে। এছাড়াও হিমলাইটিক অ্যানিমিয়ার চিকিৎসায় ভিটামিন ই ব্যবহার করা হয়।
ভিটামিন ই ৪০০ মিলিগ্রাম এর মাত্রা ও সেবন বিধি
আমরা আগেও বলেছি আমরা এখনও বলছি আমরা কোন ডাক্তার না তাই আমরা এখানে আপনাদের সঠিক ভাবে বলতে পারব না কতটুকু কিভাবে খাবেন। তবে আমরা ই ক্যাপ কম্পানির অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে তাদের ইউটিউব নামক এই ওষুধটির মাত্রা ও সেবন বিধি সংগ্রহ করেছি যেটা হুবহু আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করছি।
হৃদ যন্ত্রের সুস্থতার জন্য প্রতিদিন ৪০০ থেকে ৮০০ আইইউ পূর্ণবয়স্কদের ভিটামিন ই এর ঘাটতি জনিত রোগে ২০০ থেকে ৪০০ আই ইউ প্রতিদিন। এছাড়াও শিশু দের ক্ষেত্রেও ভিটামিন ই ব্যবহার করা যেতে পারে যেমন ঘাতজনিত রোগে 200 আয়ু প্রতিদিন এবং থ্যালাসেমিয়ায় ৮০০ আইয়ু প্রতিদিন দিতে হবে।
এছাড়াও সিল্ক সেল অ্যামোনিয়া জাতীয় সমস্যার জন্য ৪০০ আইয়ু প্রতিদিন দিতে হবে এই ঔষধ। টকও চুলের সমস্যায় ২০০ আয়ু থেকে ৪০০ আয়ু প্রতিদিন ব্যবহার করতে হবে এবং বয়স্কদের যদি ঠান্ডা লাগে তাহলে সেই ঠান্ডা জড়িত সমস্যাতেও ২০০ আয়ু প্রতিদিন ব্যবহার করা যেতে পারে এই ভিটামিন।
সাধারণত এই নিয়ম মেনে আপনারা এই ভিটামিন গুলো খাওয়ার চেষ্টা করবেন তবে সবার আগে ডাক্তারের কাছে যাবেন ডাক্তার আপনার সমস্যা চিহ্নিত করবে এবং পরিমাপটি বলে দেবে। অবশ্যই ডাক্তার ছাড়া কোন সিদ্ধান্ত নেওয়াই ঠিক নয় তাই যেকোনো সময় যেকোনো ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত তার কারণ হলো চিকিৎসার ভালো-মন্দ ডাক্তারই বেশি বোঝেন। অনেকেই রয়েছে যারা চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে এবং চেহারার গ্লো আনতে হুট করে ভিটামিন ই ক্যাপসুল খাওয়া শুরু করে যেটা তার জন্য পরবর্তীতে ক্ষতিকারক হতে পারে।
Leave a Reply