সাধারণত মানব শরীরে নির্দিষ্ট কিছু অংশে লোম থাকাটা স্বাভাবিক। কিন্তু কিছু কিছু মানুষের শরীরে কিছু লোমের পরিমাণ এত বেশি যে সেটা দেখলেই মনে হয় তা মানুষ পর্যায়ে আর নেই। তাই আপনাদের সুবিধার্থে আমাদের ওয়েবসাইটে মানব শরীরে যদি কোন ধরনের অতিরিক্ত লোম দেখা দেয় অথবা অবাঞ্ছিত লোম দেখা দেয় তাহলে অবশ্যই সেটা চিরতরে দূর করার উপায় জানতে হবে।
কারণ এটা আপনারা বারবার করবেন এবং বারবার আপনাদের মুখে অথবা শরীরের অন্য কোন অংশে উঠবে তা হয়তো অনেকেই চান না। তাই চিরতরে যদি এটা দূর করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাদেরকে নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম অনুসরণ করতে হবে অথবা নির্দিষ্ট চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। আমরা আপনাদের উদ্দেশ্যে চিরতরে লোম দূর করার উপায় সম্পর্কে যদি জানিয়ে দিতে পারি তাহলে সেটা অনেকের জন্য উপকারী ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করি।
চিরতরে যদি লোন দূর করতে চান তাহলে ওয়াক্সিং পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারেন। যদিও এই পদ্ধতিটি অনুসরণ করাটা যন্ত্রনা তারপরও আপনারা এই যন্ত্রণার মাধ্যমে শরীরের অবাঞ্ছিত লোম দূর করতে সুগারিং পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনাদের কোন নিয়ম অনুসরণ
করতে হবে তা এখানে জানিয়ে দেবো এবং প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে শরীরের যখন অবঞ্চিত লোম তুলে ফেলার চেষ্টা করবেন তখন অবশ্যই পদ্ধতিটির নামের সঙ্গে মিল রেখে সুগার বা চিনি ব্যবহার করবেন। এক্ষেত্রে আপনাদের আরো কিছু উপাদান ব্যবহার করতে হবে এবং এই উপাদান গুলোর নাম হল লেবুর রস এবং পানি। এই মিশ্রণটি তৈরি করার পরে আপনারা সুন্দরভাবে ব্যবহার করবেন।
যখন আপনারা আধা কাপ চিনির সঙ্গে ২ টেবিল চামচ লেবুর রস মেশাবেন তখন সেই সঙ্গে পরিমাণ মতো পানি মিশিয়ে নিবেন। এখন এই তিনটি উপাদান আপনারা হালকা আছে গরম করতে থাকুন এবং গরম করার পর সেটা ঠান্ডা করতে হবে। চিনি ব্যবহার করার ফলে এই দ্রবণটির রং কিছুটা লাল ধরনের হতে পারে।
আপনারা এই রং ধারণ করার সাথে সাথে মিশ্রণটি নামিয়ে ঠান্ডা করবেন এবং দেখবেন এখানে একটা আঠালো দ্রবণ তৈরি হয়ে গিয়েছে। তারপরে আপনারা এটা খুব সহজভাবে ব্যবহার করার জন্য হাত পানিতে ভিজিয়ে হালকা গরম থাকা অবস্থায় ব্যবহার করবেন। গরম বেশি হয়ে থাকে তাহলে আপনাদেরকে একটু ঠান্ডা হতে সময় দিতে হবে এবং একটু ঠান্ডা ও গরমের অবস্থায় এটা ব্যবহার করতে পারলে সবচাইতে ভালো হবে।
যখন আপনারা লোম বের হবে তখন সেদিকে এটা ব্যবহার করতে হবে এবং কিছুক্ষণ লাগিয়ে রাখার পর উলটা দিক দিয়ে টান দিতে হবে। উল্টা দিকে টান দিতে পারলেই খুব একটা ক্ষতিগ্রস্ত হবে না অথবা খুব একটা ব্যথা পাবেন না। আপনারা যদি এই পদ্ধতি অনুসরণ করতে চান তাহলে সবচাইতে কম খরচে সুগারিং পদ্ধতিতে এটা করতে পারবেন। হালকা ব্যথা লাগলো এই পদ্ধতি অনুসরণ করার মাধ্যমে শরীরের পশম বা লোমজাতীয় বিষয়গুলো তুলে ফেলার ক্ষেত্রে সহজ নিয়ম অনুসরণ করতে পারেন।
আপনারা যদি এই পদ্ধতি অনুসরণ করেন তাহলে খুব বেশি কষ্ট হবেনা এবং আরেকটি বিষয় এখানে আপনাদেরকে জানিয়ে দিতে চাই। সেই বিষয়টি হলো যে আপনার মুখে ঘন দাড়ি অথবা ঘন লোম চাইলে এটা দিয়ে উত্তোলন করতে পারবেন না। অর্থাৎ হালকা পশম অথবা হালকা লোম এটা তোলার ক্ষেত্রে কাজে আসবে। তাই চিরতরে মুখ থেকে লোম তুলে ফেলার ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি অনুসরণ করলে আপনারা বারবার উপকারিতা পাবেন।
যেহেতু এটা সহজ একটা প্রক্রিয়া এবং এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আপনারা খুব সহজেই লোম তুলে ফেলতে পারছেন সেহেতু আপনাদেরকে মাঝেমধ্যে এটা প্রয়োগ করতে হবে যদি প্রয়োজন হয়। আমরা মনে করি যে চিরতরে লোম উত্তোলন করে ফেলার ক্ষেত্রে এটার চাইতে আর সহজ কোনো পদ্ধতি নেই। আর যদি আপনারা চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরামর্শ গ্রহণ করতে চান তাহলে হরমোন বিশেষজ্ঞ অথবা চর্ম বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতে পারেন।
Leave a Reply