আপনারা যারা মুখের অবাঞ্ছিত লোম দূর করতে চান তারা বিভিন্ন ধরনের ক্রিম ব্যবহার করার চাইতে ঘরে বসে যদি প্রাকৃতিক নির্যাস ব্যবহার করার মাধ্যমে এটা দূর করতে পারেন তাহলে সবচাইতে কার্যকরী উপায়ে এটা ভালো হবে। সাধারণত আপনি যখন প্রাকৃতিক নির্যাস ব্যবহার করবেন তখন সেটার কোনো সাইড ইফেক্ট থাকবে না এবং আপনার আস্তে আস্তে এটা খুব সহজেই সমাধান হয়ে যাবে।
যেহেতু মেয়েদের মুখের লোম খুবই বিরক্তিকর একটা বিষয় এবং তার ভেতরের যে কিউটনেস ও সফটনেস দূর করে দেয় সেহেতু আপনাদেরকে অবশ্যই এটা দূর করার জন্য সঠিক ও প্রাকৃতিক নিয়ম মেনে চলতে হবে। তাই আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা কোন ধরনের ব্যাথা ছাড়াই মুখের লোম দূর করার তিনটি উপায় সম্পর্কে আলোচনা করব এবং আশা করি যে এই পোস্ট আপনাদের জন্য অনেক উপকারী ভূমিকা রাখতে চলেছে।
অনেক নারী আছেন যারা মুখের নাম নিয়ে বিভিন্ন ধরনের বিব্রতকর অবস্থায় পড়েন অথবা অনেকগুলো মানুষের সামনে যখন কেউ এই কথা বলে তখন আপনারা অনেক লজ্জায় পড়ে যান। এক্ষেত্রে আপনারা অনেকেই লেজার চিকিৎসা পদ্ধতি গ্রহণ করে থাকেন এবং এক্ষেত্রে আপনারা যদি এই পদ্ধতি অনুসরণ করে থাকেন তাহলে অনেকের জন্যই তা ব্যয়বহুল হিসেবে দাঁড়াবে। বিভিন্ন ধরনের ফেসিয়াল করার মাধ্যমে এগুলো রিমুভ করলে অনেক সময় এগুলো ব্যথার সৃষ্টি করে অথবা বারবার এগুলো করার ফলে আপনার আর্থিক বিষয়গুলো উঠে আসে। তাই আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদের উদ্দেশ্যে আমরা প্রাকৃতিক নিয়মে কিভাবে মুখের লোম দূর করা যায় সে বিষয়গুলো জানিয়ে দিলাম।
রূপচর্চার ক্ষেত্রে যুগ যুগ ধরে অথবা প্রাচীনকাল থেকে হলুদের ব্যবহার হয়ে আসছে। তা উজ্জ্বল করা থেকে শুরু করে ত্বকের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সমাধানে হলুদ ব্যবহার করা হয় এবং এতে আন্টি ব্যাকটেরিয়া থাকে বলে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান আমরা করে নিতে পারি। তাই মুখের লোমগুলো যাতে না বাড়ে তার জন্য হলুদে থাকা পুষ্টিগুণ কাজে লাগাতে হবে এবং এই জন্য প্রয়োজনীয় হলুদের সঙ্গে সামান্য পানি মিশিয়ে ঘন করে পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে। আপনারা যখন ঘন করে এই পেস্ট তৈরি করে নিবেন তখন মুখের যেসব অংশে বেশি লোম হচ্ছে সে যেভাবে ব্যবহার করবেন। শুকিয়ে যাওয়ার পর এটা ধুয়ে ফেলবেন এবং এভাবে কয়েক সপ্তাহ ব্যবহার করলে আপনাদের আশা করি ফল পাওয়া শুরু করবেন।
হলুদের পেস্ট ব্যবহার করার পাশাপাশি আপনারা যদি বেসনের পেস্ট ব্যবহার করতে চান তাহলে এটাও হলুদের মত আপনাদের অনেক সুফল এনে দিবেন। আপনারা যে সকল ফেসপ্যাক ব্যবহার করে থাকেন সেখানেও বেসনের ব্যবহার করা হয়ে থাকে এবং এই পোস্টের মাধ্যমে আপনারা যখন বেসনের এই তথ্য জানতে পারছেন তখন বেসনা হলুদের গুড়া একসঙ্গে পানিতে মিশে ঘন করে পেস্ট তৈরি করে নেবেন। পুরো মুখে আপনারা এটা লাগিয়ে নিবেন এবং লাগানোর পর এটা শুকানো পর্যন্ত সময় দিবেন। তারপরে ভারি তোয়ালে দিয়ে সেটা চেপে ধরতে হবে এবং ফেসপ্যাকটি আস্তে আস্তে মুখ থেকে রিমুভ করতে হবে। তাহলে দেখা যাবে যে মুখের সেই পেস্ট থেকে লোমগুলো উঠে আসছে এবং এক্ষেত্রে কোনো ধরনের কষ্ট হচ্ছে না।
তাছাড়া আপনারা যদি এটা জেনে থাকেন যে চুল ও ত্বকের যত্নে ডিম ব্যবহার করা হয়ে থাকে তাহলে এই ডিমের মাধ্যমেও আমরা খুব সহজেই মুখের লোমগুলো দূর করতে পারি। তাই আপনারা এই কাজটি করার জন্য অবশ্যই আধা টেবিল চামচ কর্নফ্লাওয়ার নিবেন। সেই সাথে আপনাদেরকে এক চামচ চিনির সঙ্গে ডিমের সাদা অংশ নিয়ে নিতে হবে এবংগুলো নিয়ে সম্পূর্ণ ভাবে একটা পেস্ট তৈরি করে মুখের যে অংশে লোম রয়েছে সেই অংশগুলোতে মেখে নিতে হবে।তারপরে শুকানো পর্যন্ত সময় দিতে হবে এবং যখন শুকিয়ে যাবে তখন ধীরে ধীরে মুখের লোমগুলো আলতোভাবে উঠে আসতে শুরু করবে। আশা করি এই পোষ্টের মাধ্যমে তিনটি উপায়ে আপনাদেরকে মুখের লোম দূর করার নিয়ম জানিয়ে দিতে পেরেছি।
Leave a Reply