নিফাক শব্দের অর্থ কি

Rate this post

আপনি কি নিফাক শব্দের অর্থ খুঁজছেন? তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসে পৌঁছেছেন। কেননা আমাদের আজকের আর্টিকেলটিতে নিফাক শব্দটি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আপনি এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে নিফাক সম্পর্কে সুন্দর একটি ধারণা পেয়ে যাবেন এবং প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো সংগ্রহ করে নিতে পারবেন বলে আশা করছি। আর এজন্য আপনি আমাদের আজকের আর্টিকেলটি পড়তে পারেন। আশা করি এখান থেকে আপনি উপকৃত হবেন এবং তথ্যগুলো পাওয়ার মাধ্যমে আপনার ভালো লাগবে।

নিফাক শব্দের অর্থ ভন্ডামি, কপটতা, প্রতারণা, দ্বিমুখী নীতি ইত্যাদি। ইসলামী শরীয়তের পরিভাষায় অন্তরীক কুফর ও অবাধ্যতা গোপন রেখে মুখে ইসলামকে স্বীকার করার নামই হলো নিফাক। যে এরূপ কাজ করে তাকে বলা হয় মুনাফিক। আর মুনাফিক ব্যক্তিকে ইসলামের কেউ পছন্দ করেনা এবং তার জন্য রয়েছে চিরশাস্তির স্থান জাহান্নাম। সাধারণত মুনাফিকের চিহ্ন বা লক্ষণ হচ্ছে তিনটি। সেগুলো হলো তারা মিথ্যা কথা বলে, আমানতের খেয়ানত করে এবং ওয়াদা করলে তা ভঙ্গ করে।

নিফাক যে করে সেই ব্যক্তিকে যেমন দুনিয়ার জীবনে কেউ পছন্দ করে না, তেমনি ভাবে পরকালের জীবনের শেষ শান্তির জায়গা লাভ করতে পারবে না এবং আল্লাহ তাকে পছন্দ করেন না। এজন্য আমাদের অবশ্যই নিফাকের থেকে দূরে থাকা উচিত এবং নিফাক কখনোই করা উচিত নয়। আর যে সকল ব্যক্তি নিফাকে লিপ্ত হয় তাদের ইসলামের পথে আনার জন্য তাকে বোঝানো উচিত এবং নিফাকের পরিণতি কি ধরনের ভয়াবহ হতে পারে সেই বিষয়গুলো সম্পর্কে তাকে বুঝানো দরকার।

ইসলাম হলো শান্তির ধর্ম। যে ব্যক্তি ইসলাম অনুসারে জীবন অতিবাহিত করে তার জন্য রয়েছে চিরশান্তির স্থান জান্নাত। আর যে সকল ব্যক্তি ইসলামের অনুসারী হওয়া সত্ত্বেও পরিপূর্ণভাবে ইসলাম পালন করে না বা ভন্ডামি বা কপোটতা করে সেই সকল ব্যক্তির জন্য চির শাস্তির স্থান রয়েছে জাহান্নাম।

আর সেই সকল ব্যক্তি যেমন দুনিয়ার জীবনের শান্তি লাভ করতে পারে না, তেমনিভাবে পরকালীন জীবনেও শান্তি লাভ করতে পারে না। আল্লাহ তাযালার সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারেনা। এজন্য নিফাকে লিপ্ত হওয়া কখনোই উচিত নয়। ইসলাম কখনো এ ধরনের কপটতা বা ভন্ডামি পছন্দ করে না। আর যে ব্যক্তি প্রকৃত মুসলমান সে কখনো নিফাকে লিপ্ত হয় না এবং সে কখনোই মুনাফিক হয় না।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button