মাসিকের সময় টক দই খেলে কি হয়

মাসিকের সময় টক দই খেলে কি হয়

মেয়েদের জীবনে প্রতিমাসে ঋতুস্রাব আসে। এটা অনেক কষ্ট সহ্য করার একটি সময় যেটা প্রত্যেকটি মেয়ের জীবনে আসে। তবে এই সময়টুকুতে অবশ্যই মেয়েদের কিছু সাবধানতা অবলম্বন করতে হয় যেটা অধিকাংশ মেয়েরাই করে থাকে। চলাফেরা থেকে শুরু করে খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করা এই সময়ের গুরুত্বপূর্ণ কিছু কাজ। আজকে আমরা জানার চেষ্টা করব মাসিকের সময় একটি মেয়ের টক দই খেলে কি হতে পারে।

টক দই সম্পর্কে আমরা অনেকেই কমবেশি জানি তার কারণ হলো টক দই অত্যন্ত উপকারী একটি জিনিস। টক দইয়ে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভালো ব্যাকটেরিয়া যেটা আমাদের পাকস্থলীতে থাকা খারাপ ব্যাকটেরিয়া গুলোকে ধ্বংস করতে সাহায্য করে এবং আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে টক দই অনেক বেশি সাহায্য করে।

মাসিকের সময় টক দই খেলে কি ক্ষতি হয়

সাধারণত আমাদের দেশের নারীদের মধ্যে একটি কথা প্রচলিত আছে সেটা হচ্ছে মাসিক অবস্থাতে যদি সেই মেয়েটি টক দই খায় তাহলে তার ব্লিডিং নাকি অনেক বাড়ে। কিন্তু বৈজ্ঞানিকভাবে এই কথাটির কোন ভিত্তি নেই আসলে এটা ভুল ধারণা। একটা ধারণা অবশ্যই সত্য সেটা হচ্ছে পিরিয়ডের অবস্থায় আপনি যদি টক জিনিস বেশি খান তাহলে রক্তপাতের পরিমাণ বাড়তে পারে তার কারণ হলো টক দই আপনি বেশি খেলে আপনার রক্ত পাতলা হয় যার কারণে রক্তপাত বাড়তে পারে।

তবে এমন নয় যে টক দই খেলেই আপনার ব্লিডিং বৃদ্ধি পাবে তাই অবশ্যই মাসিকের সময় টক দই খেলে যে ব্লিডিং হবে এই ধারণা ভুলে যান। মাসিকের সময় এমনিতে স্বাভাবিক ব্রিডিং হয় এবং আপনি যদি টক দই খান তার কারণে যে ব্লিডিং বৃদ্ধি পাবে এমনটি নয়।

পিরিয়ডের সময় যে খাবারগুলো ভুলেও খাবেন না

পিরিয়ডের সময় অবশ্যই একজন নারীকে অনেক বেশি সতর্ক থাকতে হয়। শুধুমাত্র যে চলাফেরায় সতর্ক থাকতে হয় এমন নয় তাকে এমন কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয় যেটা তার শরীরের জন্য খুবই উপকারী। ভিপিরিওডের সময় বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ রোগে আক্রান্ত হতে পারে নারীরা তাই প্রতি ৩-৪ ঘন্টা অন্তর অন্তর প্যাড বদলে ফেলতে ভুলবেন না কখনো। এছাড়াও অবশ্যই আপনাকে এমন কিছু খাবার খেতে হবে যেগুলো আপনার স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী এবং এমন কিছু খাবার বর্জন করতে হবে যেটা আপনার এই সময়ের জন্য ক্ষতিকারক।

পিরিয়ডের সময় চেষ্টা করবেন দুধ অথবা দই জাতীয় খাবার দূরে রাখতে। তার কারণ হলো এই দূধ জাতীয় খাবার আপনি যদি বেশি বেশি খান এই সময় তাহলে কিছু হরমোনের ক্ষরণের মাত্রা বেড়ে যায় এবং শারীরিক কষ্টের মাত্রা আরও বেশি হতে পারে। তাই চেষ্টা করুন এই সময় দুধ পান থেকে নিজেকে দূরে রাখতে।

ফাস্টফুড এমন একটি খাবার যেটা সাধারণত অনেক মুখরোচক খাবার কিন্তু আমাদের শরীরের জন্য অনেক ক্ষতিকারক। ছোট থেকে শুরু করে বুড়ো বয়স্ক মানুষের সকলেরই পছন্দ ফাস্টফুডের খাবারগুলো কিন্তু এই খাবারগুলো আমাদের শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকারক। বিশেষ করে মেয়েদের পিরিয়ডের সময় কোনভাবে ফাস্টফুড খাবার খাওয়া যাবেনা এগুলো বর্জন করতে হবে।

এছাড়াও লবণ যেটা কাঁচা লবণ সেটা পিরিয়ডের সময় আপনাকে অবহেলা করে চলতে হবে এবং এর পাশাপাশি শসা খাওয়া থেকে দূরে থাকতে হবে পিরিয়ডের সময়। পিরিয়ড সময় মেয়েরা যে খাবারগুলো দূরে রাখতে পারেন সেটা হচ্ছে কোলড্রিংস জাতীয় খাবার। তার কারণ হলো এই খাবারগুলো এমনিতে আপনার শরীরের জন্য ভালো না এবং আপনি যখন পিরিয়ডের অবস্থায় থাকেন তখন আপনার শরীর অনেক বেশি দুর্বল থাকে তাই এই খাবারগুলো খাওয়া উচিত নয়। এছাড়া শরীরচর্চা ও নিয়মিত শরীরের দেখভাল করা উচিত যার মাধ্যমে আপনার পিরিয়ডের সময় টুকু ভালো ভাবে কাটবে।

About শাহরিয়ার হোসেন 4780 Articles
Shahriar1.com ওয়েবসাইটে আপনার দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় যা কিছু দরকার সবকিছুই পাবেন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*