শিমুল গাছকে আমরা অনেকেই অহেতুক গাছ মনে করে থাকি। তবে শিমুল গাছের গুণাবলী আমরা অনেকেই জানিনা এই কারণে হয়তো আমাদের এই ভ্রান্ত ধারণাটি রয়েছে। আমরা এটাও জানি না যে শিমুল গাছ দিয়ে কি কি রোগের চিকিৎসা করা যায়। তাই আমরা আজকে নিয়ে আসলাম নতুন একটি আর্টিকেল যার মাধ্যমে আমরা আপনাদের সাথে আলোচনা করব শিমুলের মূল এবং শিমুল গাছ সম্পর্কে যাবতীয় সকল তথ্যগুলো। আপনারা যদি আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে এটিও জেনে নিতে পারবেন যে শিমুলের মূল কাঁচা খেলে কি হয় সেই সম্পর্কেও।
সাধারণত গ্রাম বাংলায় শিমুল গাছ বেশি দেখা যায়। শিমুল গাছ বা শিমুল ফুল চেনে না এমন লোক অনেক কম আছে। শিমুল গাছের ইংরেজি নাম সিল্ক কটন। এটির উচ্চতা ১৫ থেকে ২০ মিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। শিমুল গাছ ছোট ছোট কাটাযুক্ত হয়ে থাকে। শিমুল গাছের ফুল খুবই প্রসিদ্ধ আমাদের দেশে। এছাড়াও শিমুল গাছ থেকে তুলাও হয়।
শিমুল গাছের ফুল গুলো দেখলে যেন প্রাণ জুড়িয়ে যায়। দেখতে যেমন সুন্দর রংটিও তেমন লাল টুকটুকে। ফুল থেকেই ফল হয়। আর এই শিমুলের ফল থেকেই আমরা সুন্দর নরম মসৃণ তোলা পেয়ে থাকি। শিমুলের তুলা এখন সচরাচর খুবই কম দেখা যায়। তবে এক সময় এর প্রচলন ছিল অনেক বেশি। এখন শিমুল গাছ কম হওয়াতে শিমুল তুলাও আমরা কম দেখতে পাই।
রোগের চিকিৎসায় শিমুলের ব্যবহার
বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় শিমুল গাছ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আমাদের আর্টিকেলের এই অংশে আমরা এখন জেনে নিব সেই রোগগুলোর নাম এবং শিমুলের ব্যবহার সম্পর্কে। ফোড়া হলে শিমুল গাছের ছাল ধুয়ে নিতে হবে। এরপর পরিষ্কার সেই ছাল গুলো ভালোভাবে বেটে নিতে হবে। বেটে নেওয়ার পর ফোঁড়ার উপর প্রলেপ দিলে বেশ তাড়াতাড়ি আপনার ফোড়াটি সেরে যাবে।
যৌবনকালে শুক্রাণতায়: চারা শিমুল গাছের মূল বেটে ৭ থেকে ১০ গ্রাম নিয়ে তার সাথে একটু চিনি মিশিয়ে দুবেলা খেলে আপনার এই সমস্যা দূর হয়ে যাবে। শিমুলের কচি মূল গাওয়া ঘিয়ে ভেজে নিতে হবে। নামাবার সময় তাতে সামান্য সম্ভব লবণ মিশিয়ে দিন। এবার দের গ্রাম মাত্রায় নিয়ে এটা দুবেলা খাবেন। এটি খাওয়াতে আপনার প্রদরে খুব উপকার হয়। আপনার যদি পোড়া ঘা থেকে থাকে তাহলে খুব সহজেই শিমুল তুলা নিয়ে তাতে শিমুল গাছের ছাল অর্থাৎ দিয়ে ভিজিয়ে পোড়া গায়ে দিন। এভাবে নিয়মিত দিলে খুব সহজেই আপনার পুরা ঘা সেরে যাবে।
রক্ত আমাশয় এর ক্ষেত্রে শিমুলের ছাল অনেক উপকারী। শিমুলের ছাল চূর্ণ করে এক থেকে দুই গ্রাম মাত্রায় নিয়ে ছাগল দুধের সাথে মিশিয়ে দুবেলা খাওয়ালে অবশ্যই আপনি উপকার পাবেন। এতে করে আপনার রক্ত আমার সয় দূর হয়ে যাবে। এছাড়াও আপনি অনেক আরাম পাবেন।
শিমুলের মূল কাঁচা খেলে যা হয়
অনেক পুরুষ রয়েছেন যারা বাবা হওয়ার জন্য চেষ্টা করেন কিন্তু তাদের বাবা হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম থাকে। তাদের জন্য শিমুলের কাঁচামোল অনেক উপকারী। শিমুলের মূল নিয়মিত খেলে পুরুষদের শুক্রাণু বৃদ্ধি পায়। এতে করে তাদের বাবা হওয়ার সম্ভাবনা অনেক গুণ বেড়ে যায়। তাই বীর যে শুক্রাণুর পরিমাণ বৃদ্ধি করতে শিমুল মূল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
নিয়মিত এই মূল চূর্ণ খেলে শুক্রানু বেড়ে যাবে এবং সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা ও বেড়ে যাবে। অনেক পুরুষ আছে স্ত্রীর সহবাসে অধিক সময় থাকতে পারেন না। এতে দুই জনের মিলন তৃপ্তি হয় না। স্ত্রীর মনে সব সময় কষ্ট থেকে যায়। এবং জীবনে নেমে আসে হতাশা। এর প্রধান কারণ পুরুষের বীর্য পাতলা। আরবী জিরো পাতলা হলে স্ত্রী সহবাসে কখনো দীর্ঘ সময় থাকা যায় না। এই কঠিন সমস্যার সমাধান দিবে শিমুল গাছের মূল। কারণ নিয়মিত শিমুল মূল তেতুল বীজের গুড়া ও অর্ধ গন্ধা একত্রে খেলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
Leave a Reply