কেউ যদি ডিজিএফআইয়ের কাজ সম্পর্কিত তথ্য গুলো জানতে চাই তাহলে অবশ্যই আমরা তাদের উদ্দেশ্যে এই পোস্টের মাধ্যমে তথ্যগুলো উপস্থাপন করার চেষ্টা করব। তবে পোস্ট শুরু করার আগে আপনাদেরকে সামান্য ধারণা প্রদান করব যে এটা গোয়েন্দা বিষয়ক একটা সংস্থা এবং এদের কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আপনারা যারা জানতে চাইছেন তাদেরকে অবশ্যই আমরা বিস্তারিত তথ্য এই প্রশ্নের মাধ্যমে জানিয়ে দেব।
তাছাড়া আপনারা যারা এই গোয়েন্দা সংস্থার কাজ সম্পর্কে জানতে আগ্রহ প্রকাশ করে এই পোস্ট ভিজিট করেছেন তাদেরকে অবশ্যই সঠিক তথ্য দিয়ে সাহায্য করার চেষ্টা করব। তাছাড়া এই প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে আপনাদের যদি আমরা ধারণা প্রদান করি অথবা এটার পুরপুরি অর্থ প্রকাশ করি তাহলে আপনারা অনেক বিষয় সম্পর্কে বুঝতে পারবেন।
তাই আপনাদের সর্ব প্রথমের ডিজিএফআইয়ের বিস্তারিত তথ্য প্রদান করার পূর্বে এটার পুরোপুরি এব্রিভিয়েশন যদি জানিয়ে দিতে পারি তাহলে অনেক ভালো হবে। ডি জি এফ আই এর পুরোপুরি অর্থ হল ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স। সংক্ষেপে এটাকে ডিজিএফআই বলা হয়ে থাকে।
তাই এদের কাজ সম্পর্কে জানার পূর্বে এটা আপনাদেরকে জানিয়ে দেবো যে বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষার জন্য এবং জাতির জন্য দেখা ও শোনা বিভিন্ন ধরনের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করার জন্য এই কর্তৃপক্ষ কাজ পরিচালনা করে থাকেন। বর্তমান সময়ে ডিজিএফআই এর বিভিন্ন পদে কর্মরত কর্মীর সংখ্যা আপনারা যদি জানতে চান তাহলে বলব যে এ বিষয়ে নির্দিষ্ট কোন তথ্য না পাওয়া গেলেও আনুমানিক ১২ হাজার কর্মী এখানে কাজ করে থাকেন।
তাই বাংলাদেশ সরকারের মাধ্যমে এটা পরিচালিত হয়ে থাকে বলে এবং ১৯৭২ সালে এটা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বলে তখন থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত এটা বিভিন্ন সময় কাঠামত পরিবর্তন হয়েছে এবং এর নামকরনের ক্ষেত্রে পরিবর্তন করা হয়েছে। তাছাড়া ডি জি এফ আই এর প্রধান কার্যালয় সম্পর্কে জানতে যদি চান তাহলে বলব যে প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহা অধিদপ্তর এর প্রধান কার্যালয় বর্তমান সময়ে ঢাকা সেনানিবাসে অবস্থিত রয়েছে।
বর্তমান সময়ে এই সংস্থার নির্বাহী হিসেবে অথবা মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন জেনারেল হামিদুল হক। এই গোয়েন্দা সংস্থার একটা অধিভুক্ত সংস্থা রয়েছে যার মাধ্যমে তারা বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করে থাকে না তবে সুযোগ সুবিধা প্রদান করে থাকেন।
তবে যাই হোক আপনারা যেহেতু এতদ বিজিএফআইয়ের কাজ সম্পর্কে জানতে এসেছেন সেহেতু আপনাদেরকে এ বিষয়ে জানিয়ে দেবো যে এটা বাংলাদেশ সরকারের প্রধান সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা হিসেবে পরিচালিত এবং সে হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। বর্তমান সময়ে আমরা যারা এনএসআই সম্পর্কে জেনে থাকবো তারা এই এনএসআই এবং বিশেষ শাখার সাথে ডিজিএফআইয়ের অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা একত্রে কাজ করে থাকে বলে এটার কার্যকারিতা এবং শক্তিশালী দিক থেকে অনেক কঠিন একটা গ্রুপ।
অর্থাৎ এরা দেশের ভেতরে বিভিন্ন ধরনের কাজ করে থাকে যার মাধ্যমে আমাদের দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা সক্ষম হই এবং দেশের তথ্য থেকে শুরু করে অন্যান্য প্রত্যেকটি বিষয়ে আমরা নিজেদেরকে সুরক্ষিত রাখতে পারি।সাধারণত গোয়েন্দা সংস্থার যে ধরনের দায়িত্ব পালন করা লাগে অথবা গোয়েন্দা সংস্থার যে ধরনের কাজ থাকে সেই কাজের পাশাপাশি ডিজিএফআই আরো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বপূর্ণ পালন করে থাকে। তাই প্রতিরক্ষা গোয়েন্দার মহাপরিদপ্তর হিসেবে এটা আমাদের মাঝে অনেক সেবা প্রদান করে আসে যা আমরা আমাদের অজান্তে জানতে পারি না।
প্রতিষ্ঠানের নীতিবাক্য মেনে নিয়ে সকল ধরনের কাজ তারা সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত করছে বলে আমরা সুষ্ঠুভাবে এ দেশে বসবাস করতে পারছি এবং দেশের অভ্যন্তরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বিভিন্ন ধরনের কর্মী তাদের নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করছে বলে আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হচ্ছে। তাই আপনারা এ বিষয়ে জানতে পারছেন বলে আমরা আপনাদেরকে জানিয়ে দিলাম এবং এ প্রসঙ্গে কারো যদি কোন ধরনের প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে কমেন্ট বক্সে লিখে জানাবেন।
Leave a Reply