ভিটামিন ই একটি ফ্যাট দ্রবনীয় ভিটামিন এবং একটি শক্তিশালী অ্যান্টি অক্সিডেন্ট যা আপনার ত্বককে ক্ষতি থেকে রক্ষা করে থাকে। এছাড়াও ভিটামিন এ প্রাকৃতিকভাবে অনেক খাদ্য বস্তুতে পাওয়া যায় এবং যতক্ষণ প্রয়োজন না হয় ততক্ষণ দেহে মজুদ থাকে। ভিটামিন ই তে বিভিন্ন যৌগ পদার্থ রয়েছে যাদের মধ্যে অন্যতম সক্রিয় হলো আলফা টোকো ফেরোল। আপনারা আজকে জানতে চেয়েছেন ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে কি ক্ষতি হয় সে সম্পর্কে।
প্রত্যেকটি জিনিসের যেরকম উপকারিতা রয়েছে ঠিক সে রকমই অপকারি তাও রয়েছে অনেক। ঠিক সেরকমই হল ভিটামিন ই ক্যাপসুল। তাই আমরা আজকে ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে ঠিক কি কি ক্ষতি হতে পারে সে সম্পর্কে আমাদের আর্টিকেলের মাধ্যমে আলোচনা করব আপনাদের সাথে। তো চলুন দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক।
ভিটামিন ই এর খাদ্যের উৎস
আমরা বিভিন্ন খাবারের মাধ্যমে প্রাকৃতিকভাবে ভিটামিন ই পেয়ে থাকি যেগুলো আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। চলুন আমরা জেনে নেই সে খাদ্যের উৎস গুলো যেগুলো থেকে আমরা প্রাকৃতিকভাবে ভিটামিন ই পেয়ে থাকি সে খাদ্যগুলো সম্পর্কে আমরা এখন আলোচনা করব।
সবুজ শাকসবজি যেমন পালং শাক, বাঁধাকপি, ব্রকলি ,কাঁচা সাল গম ,কয়েক ধরনের মরিচ, মটরশুঁটি, এবং লেবু এসব থেকে আমরা ভিটামিন ই পেয়ে থাকি। এছাড়াও সামুদ্রিক খাদ্য থেকেও আমরা প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই পেয়ে থাকি। ডিম, বাদাম, সিলভার্ট বাদাম, পাইনবাদাম, চিনাবাদাম, সূর্যমুখী বীজ, কিছু উদ্ভিদ তেল যেমন সূর্যমুখী তেল, কুসুম ফুলের তেল, ভুট্টা, সয়াবিন তেল এবং গমের তেল থেকেও আমরা ভিটামিন ই প্রচুর পরিমাণে পেয়ে থাকি। তাই আমরা প্রাকৃতিকভাবে যদি ভিটামিন ই শরীরের জন্য পেতে চায় তাহলে আমাদেরকে এই উপরিক্ত খাবারগুলো নিয়মিত খেতে হবে।
ভিটামিন ই এর উপকারিতা
ভিটামিন ই একটি শক্তিশালী এন্ড অক্সিডেন্ট ত্বক এবং চুলকে ফ্রি র্যাডিকেলের আক্রমণের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে থাকে । ত্বকের এবং চুলের স্বাস্থ্যের উন্নতি করা ছাড়াও ভিটামিন ই এর আরো অনেক উপকারিতা রয়েছে। সেইসবের মধ্যে কিছু উপকারিতা এখন আমরা আপনাদের সাথে শেয়ার করব।
প্রাণবন্ত ত্বকের জন্য ভিটামিন ই
ত্বকের জন্য ভিটামিন ই আদর্শ সম্পূরক গুলির মধ্যে অন্যতম। আর্দ্রতা বজায় রেখে ত্বকের শীতল রাখে ভিটামিন ই যা ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করে। এছাড়াও ভিটামিন ই এর মাধ্যমে ব্রণ এবং ত্বকে বার্ধক্যের চিহ্ন আশাও প্রতিরোধ করে থাকে।
লম্বা ও স্বাস্থ্যকর চুলের জন্য ভিটামিন ই
ভিটামিন এ লম্বা চুলের জন্য খুবই প্রয়োজনীয় একটি ট্যাবলেট। কেশ পরিচর্যায় ভিটামিন ই এর যোগদানে চুলের স্বাস্থ্য বৃদ্ধি পায়। চুলের প্রাকৃতিক তেল গুলি বজায় রেখে ভিটামিন ই চুলকে লম্বা ও উজ্জ্বল করে তুলতে সাহায্য করে।
দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে ভিটামিন ই
দৃষ্টি সংরক্ষণ এবং দৃষ্টি শক্তি উন্নত করতে অপথলমলজিস্টর ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণের সুপারিশ করেন। খাদ্যে ভিটামিন ই মেশালে বার্ধক্য জনিত চক্ষু সমস্যা যেমন ছানি এবং ম্যাকুলার ক্ষয় রোধ করা যায়।
হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করে ভিটামিন ই
প্রাকৃতিক এন্টি অক্সিডেন্ট হওয়ার কারণে ভিটামিন ইট যন্ত্রের পেশীগুলোকে শক্তিশালী করে তোলে এবং ধমনীতে রক্ত জমাট বাধার সম্ভাবনা কমে ফেলে। এর ফলে হার্ট অ্যাটাক এবং স্টাক এর সম্ভাবনা কম হয়।
ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে যেসব ক্ষতি হয়
নিয়মিতভাবে সুপারিশ করা মাত্রায় ভিটামিন ই নেওয়ার সাধারণত নিরাপদ। কিন্তু অতিরিক্ত মাত্রায় আপনি যদি ভিটামিন ই খেয়ে থাকেন তাহলে এর কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে যেগুলো হল।
অতিরিক্ত ভিটামিন ই সেবনের ফলে বমি বমি ভাব, অবসাদ ,উদ্দাময়, মাথাব্যথা ,ঝাপসা দৃষ্টি, রক্তক্ষরণ, ফুসকুড়ি, দুর্বল হাড় এবং পেট ব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই ভিটামিন ই অতিরিক্ত সেবনের আগে আমাদের এই বিষয়গুলো জেনে রাখা অত্যন্ত জরুরী। ভিটামিন এ এইজন্যে অতিরিক্ত সেবন করা ঠিক না।
Leave a Reply