নোবেল বিজয়ী প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ ব্যাংক বিভিন্ন সময়ে লোকবল নিয়োগ দিয়ে থাকে বলে আপনারা হয়তো অনেকেই শিক্ষানবিস কেন্দ্র ব্যবস্থাপক পদে আবেদন করতে চান। তবে এই শিক্ষানবিশ কেন্দ্র ব্যবস্থাপকের চাকরি পেলে আপনাদের কি কি দায়িত্ব পালন করতে হবে অথবা কি কাজ করার মধ্য দিয়ে বেতন দেয়া হবে তা এই পোস্টে আলোচনা করার চেষ্টা করব। গ্রামীণ ব্যাংক শিক্ষানবিশ কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপক পদে
প্রত্যেক বছর শূন্য পদ থাকা সাপেক্ষে এবং কেন্দ্রের সদস্যের উপর নির্ভর করে এই লোকবল নিয়োগ দিয়ে থাকে। এসএসসি এবং এইচএসসি পাশের সার্টিফিকেট দিয়ে আপনারা এখানকার আবেদনের সুযোগ পাবেন বলে অনেক অনেক আবেদন পড়লেও তারা শর্ট লিস্টেড করে থাকেন এবং তার মাধ্যমে প্রার্থীদেরকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ প্রদান করে থাকেন।
তবে আপনি যদি শর্ট লিস্টেড হয়ে থাকেন তাহলে মোটামুটি ভাবে ভালোভাবে পরীক্ষা দিতে পারলেই এবং আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ভাইভা পরীক্ষা দিতে পারলেই আপনার চাকরি কনফার্ম হয়ে যাবে। যারা গ্রামীণ ব্যাংকের শিক্ষানবিশ কেন্দ্র ব্যবস্থাপকের চাকরি পেয়ে থাকেন তাদেরকে এক বছর শিক্ষানবিশ কাল পার করতে হয়।
সফলভাবে এক বছর আপনি যদি এই সময় অতিক্রম করতে পারেন তাহলে চাকরি কনফার্ম হওয়ার সাথে সাথে গ্রাচুইটি এবং প্রভিডেন্ট ফান্ড যুক্ত হবেন।তাছাড়া বিভিন্ন ধরনের বোনাস সংযুক্ত হবে এবং আপনার যাতায়াত ভাতা থেকে শুরু করে মোবাইল বিল এবং অন্যান্য যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা বেতনের সাথে সংযুক্ত হবে। সরকারি চাকরির মত সুযোগ সুবিধা রয়েছে বলে বাংলাদেশের অনেক বেকার যুবক এখানে নিজেদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে নিচ্ছেন।
তাই আপনি যদি এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করে থাকেন এবং এখানে শর্ট লিস্টেড হওয়ার একটা বিষয় থাকার কারণে ভালো রেজাল্ট ছাড়া আপনি সুযোগ পাবেন না। তাই ভালো ফলাফল থাকার ভিত্তিতে আপনারা যখন এখানে আবেদন করবেন তখন আপনার আবেদনের শুদ্ধতা যাচাই করে এবং আবেদনের প্রত্যেকটি বিষয়ে সঠিকভাবে জেনে নিয়ে আপনাকে শর্ট লিস্টেড করতে পারে।
বিশেষ করে এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষায় আপনি যদি জিপিএ ৯.৫০ এর উপরে পেয়ে থাকেন তাহলে শর্ট লিস্টেড হতে পারবেন এবং লিখিত ও ভাইভা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। সাধারণত একই দিনে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ প্রদান করা হয়ে থাকে এবং পরীক্ষার আগে আপনাদেরকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার জন্য যে এডমিট কার্ড প্রদান করবে সেটা ডাক অফিস থেকে সংগ্রহ করতে হবে।
তবে এই পদের চাকরি পাওয়ার বিষয় বিভিন্ন তথ্য আপনাদের সামনে উপস্থাপন করা হয়ে থাকলেও এখন জানিয়ে দেব এখানে আপনার চাকরি হয়ে থাকলে কি কি কাজ করতে হবে। সরাসরি বাংলায় বলতে গেলে কিস্তির টাকা তোলা আপনাদেরকে করতে হবে।অর্থাৎ বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে অথবা শহর পর্যায়ে আপনার পোস্টিং
অনুযায়ী সেখানকার যে গ্রামীণ ব্যাংকের অফিস রয়েছে সেখানে আপনাকে দায়িত্ব পালন করতে হবে। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে আপনাকে ঋণী খুজে বের করতে হবে এবং যারা ঋণ নিতে আগ্রহী তাদেরকে ইনকামের উৎস নিশ্চিত করার মাধ্যমে অথবা তাদের যদি ইনকামের উৎস অথবা ঋণ পরিশোধ করার সক্ষমতা থাকে সে বিষয়গুলো নিশ্চিত করার মাধ্যমে ঋণ প্রদান করা যেতে পারে।
এভাবে আপনি সদস্য নির্বাচন করে তাদেরকে ঋণ প্রদান করার পাশাপাশি আপনাদের যে কেন্দ্রের মাধ্যমে সদস্যদের কে ভর্তি করিয়ে থাকবেন সেই কেন্দ্রের সপ্তাহের একটা নির্দিষ্ট দিনে উপস্থিত হয়ে টাকা গ্রহণ করতে হবে। মোটামুটি ভাবে একজন শিক্ষানবিশ কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপককে সপ্তাহে 300 থেকে 500
সদস্য এর থেকে টাকা গ্রহণ করতে হয় এবং তাদেরকে ঋণ পরিশোধের পর ঋণ দিতে হয়। তাই আপনারা যারা শিক্ষানবিশ কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপকের পদে চাকরি করবেন তারা এই দায়িত্ব গুলো পালন করবেন এবং অফিসের ম্যানেজারের দায়িত্ব গুলো মেনে নেওয়ার পাশাপাশি অনেক সময় যাদেরকে ঋণ প্রদান করছেন তারা যদি পালিয়ে যায় তাহলে তার দায়ভার অথবা সেই সপ্তাহের কিস্তি আপনার নিজের পকেট থেকে দেওয়া লাগতে পারে। ধন্যবাদ।
Leave a Reply