
সাধারণত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন ধরনের চাকরির ক্ষেত্রে আপনাদেরকে পদের নাম উল্লেখ করে আবেদন করতে বলা হয় বলে আপনারা হয়তো অনেকেই আবেদন করে থাকেন। কিন্তু আপনি যে পদের জন্য আবেদন করলেন সেই পদে জয়েন করতে পারলে কি ধরনের কাজ করতে হবে অথবা কি ধরনের দায়িত্ব নিতে হবে এবং এক্ষেত্রে মানসিকভাবে আপনি কতটা শান্তিতে থাকতে পারবেন সে বিষয়গুলো আমরা আপনাদেরকে জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব।
তাই আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদের সামনে একজন শিক্ষানবিশ কেন্দ্র ব্যবস্থাপকের দায়িত্ব কি এবং তাকে কিভাবে কি কাজ করতে হয় সে বিষয়গুলো যদি আমরা জানিয়ে দিতে পারি তাহলে আপনারা হয়তো এই কাজের ক্ষেত্রে অনুপ্রাণিত হবেন এবং এই কাজে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। সাধারণত শিক্ষানবিশ কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপক বলতে গেলে বিভিন্ন ধরনের নন গভর্নমেন্ট অর্গানাইজেশনে অথবা এনজিও এ ধরনের পদে নিয়োগ দেওয়া হয়ে থাকে।
সাধারণত আমাদের সমাজে বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষ বিভিন্ন প্রয়োজনে টাকার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে থাকেন। সরকারিভাবে এবং রাষ্ট্রীয়ত্ব ভাবে যে ধরনের ব্যাংকগুলো পরিচালনা করা হচ্ছে তাতে করে আপনি যদি ঋণ গ্রহণ করতে চান তাহলে বিভিন্ন ধরনের ডকুমেন্টস এবং বিভিন্ন ধরনের শর্ত মেনে আপনাকে এটা গ্রহণ করতে হবে।
কিন্তু বিভিন্ন ধরনের এনজিও স্থানীয় পর্যায়ে চালু হওয়ার কারণে আপনারা ঘরে বসে অথবা আপনাদের এলাকার ভেতরেই খুব সহজে নির্দিষ্ট অফিসে গিয়ে আপনারা টাকা উত্তোলন করতে পারেন। এমনকি সাপ্তাহিক ভিত্তিতে আপনাদেরকে এই লোনের টাকা পরিশোধের সুযোগ রয়েছে বলে এবং আপনার থেকে নির্দিষ্ট কেন্দ্রে এই টাকা গ্রহণ করা হবে বলে খুব সহজেই আপনারা তা পরিশোধ করতে পারবেন।
এখন বিভিন্ন এনজিও তে আপনাদের উদ্দেশ্যে শিক্ষানবিশ কেন্দ্র ব্যবস্থাপক পদের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়ে থাকে এবং আপনারা ভেবে থাকেন এই পদের আসলে কাজ কি। আপনি যদি শিক্ষানবিশ কেন্দ্র ব্যবস্থাপক পদে অংশগ্রহণ করতে পারেন তাহলে খাঁটি বাংলায় এটাকে বলা হবে আপনি কিস্তি আদায়ের চাকরিতে যোগদান করতে পারবেন। অর্থাৎ ক্ষুদ্র ঋণ প্রোগ্রামে আপনাকে অংশগ্রহণ করতে হবে এবং এখানে আপনাকে গ্রাম পর্যায়ে থেকে শুরু করে মাঠ পর্যায়ে কাজ করার অভিজ্ঞতা রাখতে হবে। অর্থাৎ গ্রামের বসবাসরত অথবা বিভিন্ন স্থানের বসবাসরত মানুষদের ভেতরে আপনাকে এমন কিছু ব্যাক্তি নির্বাচন করতে হবে যারা আসলে ঋণ গ্রহণে আগ্রহী রয়েছেন।
এক্ষেত্রে আপনাকে অফিসিয়াল ভাবে ট্রেনিং প্রদান করা হবে এবং এই ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে আপনি মাঠ পর্যায়ে কাজ করার বিভিন্ন ধরনের বিষয় সম্পর্কে শিখতে পারবেন এবং আপনাকে মাঠ পর্যায়ে থেকে এ কাজগুলো শেখার সুযোগ প্রদান করা হবে। সাধারণত নোবেল বিজয়ী প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ ব্যাংকে আপনাদের এই ধরনের পদে নিয়োগ দেওয়া হয়ে থাকে এবং মাঠ পর্যায়ে কাজ যারা করতে আগ্রহী তারা এই পদের কাজ করার জন্য এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষায় যাদের জিপিএ ভালো তারা আবেদন করে টিকে থাকেন। তাই আপনি যদি কেন্দ্র ব্যবস্থাপকের চাকরি করতে চান তাহলে প্রাতিষ্ঠানিক নিয়ম অনুযায়ী ছয় মাস থেকে এক বছর পর্যন্ত আপনাকে শিক্ষানবিশ হিসেবে চাকুরী করতে হবে।
নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আপনার এই শিক্ষানবিশ কাল যদি সুন্দরভাবে সমাপ্ত করতে পারেন তাহলে আপনার চাকুরি কনফার্ম করা হবে এবং মাঠ পর্যায়ে ঋণ প্রদান থেকে শুরু করে ঋণ গ্রহণের কাজগুলো করতে হবে। অর্থাৎ যারা ঋণ গ্রহণ করতে আগ্রহী তাদেরকে খুঁজে বের করতে হবে এবং তাদের আয়ের উৎস নির্বাচন করে আপনাদেরকে ঋণ প্রদানে অগ্রণী ভূমিকা পালন করা লাগবে। তাছাড়া সাপ্তাহিক নির্দিষ্ট দিনে আপনাদেরকে নির্দিষ্ট কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে সেই সকল সদস্যদের থেকে ঋণ বিতরণের টাকাগুলো কিস্তি আকারে আদায় করতে হবে। সাধারণত অনেক জায়গায় ঋণ গ্রহণের পর অনেক সদস্য পালিয়ে যাওয়ার কারণে অথবা টাকা দিতে অসমর্থ্য প্রকাশ করে থাকলে এগুলো কেন্দ্র ব্যবস্থাপকের ওপরে চাপ আসে এবং এই ক্ষেত্রে অনেকেই এটা কষ্টকর চাকরি বলে মনে করে থাকেন। ধন্যবাদ।
Leave a Reply