‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ’ বাংলাদেশের একটি বৃহত্তম রাজনৈতিক দল। এই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দলটির কারণে আজ বাংলাদেশ এই পর্যায়ে বা এখনকার বাংলাদেশ আমরা দেখতে পাচ্ছি বা সুফল গ্রহণ করছি। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের জাতির পিতা। বাঙালি জাতির জন্য এক ত্রাণকর্তা হিসেবে পরিচিত। বাংলাদেশের এই ঐতিহ্যবাহী এবং বর্তমান ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলটির নিরাপত্তন হয় ২৩ জুন ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দে।
অর্থাৎ সদ্য স্বাধীনতা লাভ করা পাকিস্তানের একেবারে সূচনা লগ্নেই এই দলটি আত্মপ্রকাশ করে। তবে তখন এই দলটির নাম ছিল পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ। পরবর্তীকালে এর নাম হয় নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী লীগ। এই নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী লীগ ১৯৭০ সাল থেকে এর নির্বাচনী প্রতীক নৌকা মার্কা ব্যবহার করে আসছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধকে ত্বরান্বিত করার জন্য এবং একটি অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক দলের বিবেচনায় 1955 সালে আওয়ামী লীগ নামকরণ করা হয়ে থাকে। অর্থাৎ তখন মুসলিম লীগ শব্দটি বাদ দিয়ে শুধু আওয়ামী লীগ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। তাহলে দেখা যাচ্ছে যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ অবশ্যই একটি অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক দল। এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একটি রাজনৈতিক দল। এই দলটি ১৯৭০ সালের নির্বাচনে পাকিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে বিজয় লাভ করেছিল।
কিন্তু তৎকালীন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট বঙ্গবন্ধুর কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে রাজি হননি। তিনি পাকিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে ক্ষমতা না দিয়ে সেনাবাহিনী প্রধানের নিকট ক্ষমতা হস্তান্তর করেন। এবং আমাদের বাংলাদেশের অপসিন নেতৃত্ব অর্থাৎ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার নেতৃত্বের আকর্ষণীয়তার পরিচয় দিয়ে তিনি কোনরকম বাংলার জনগণের সঙ্গে বা বাংলার জনগণের বিরুদ্ধে কোন আপোষ কামি তা তিনি মেনে নেননি।
তিনি 1971 সালের 7 ই মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এক বিশাল জনসভায় ভাষণ দান কালে বাংলা স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন। এবং সেই ঐতিহাসিক জনসভা থেকেই মূলত মনে করা হয় বাংলার স্বাধীনতা ঘোষণা করা হয়ে গেছে। এবং বাংলার আপামর জনসাধারণকে স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে নির্দেশ দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার কথায় বা তার ডাকে বাংলার প্রতিটি জনগণ স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন এবং দেশকে রক্ষা করার জন্য শত্রুমুক্ত করার জন্য তারা পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলেন।
সেই আন্দোলনের ফলে বিরাট পাকিস্তানি বা প্রশিক্ষিত পাকিস্তানি সেনাবাহিনী দল মাত্র নয় মাসেই কিছু ক্ষেত্রে বাধ্য হন। এভাবেই বাংলার স্বাধীনতা অর্জিত হয় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অভিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অকুতোভয় নেতৃত্বের কারণে।
সেই অকুতোভয় নেতা বিশ্বনেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগেরই একজন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। পরবর্তীতে বাংলার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অনেকবার সভাপতি নির্বাচিত হন। আর এই কারণে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কাছে আজও বাংলার জনগণ অনেক কিছু চেয়ে থাকেন নাস্তা করে থাকেন সেই সরকারের প্রতি সেই দলটির প্রতি যে দল বাংলার স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন সেই দল বাংলার জনগণকে আরো সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
এবং এই ভরসাতেই পরপর তিনবার ক্ষমতায় বসিয়েছে বাংলার জনগণ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে। এবং হয়তো শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে আরো যতদিন শেখ হাসিনা বেঁচে থাকবেন ততদিন পর্যন্ত বাংলার মসনদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকেই বসাবে বাংলার আপামর জনসাধারণ। এখন আজকে যারা আমাদের এই পোস্টে আওয়ামী লীগ শব্দের অর্থ খুঁজতে এসেছেন তারা
অবশ্যই এই আওয়ামী লীগ শব্দের অর্থ আমাদের এখান থেকে দেখে নিবেন। কারণ বাংলার এত বড় একটি রাজনৈতিক দল এবং বর্তমানে বাংলার প্রায় ৭০ শতাংশ লোক এই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সমর্থক সেই দলের নামের অর্থ সকলে জানতে চান। আজকে অবশ্যই এখান থেকে আপনারা আওয়ামী লীগের অর্থ কি সেই অর্থটি জেনে যাবেন। তাহলে চলুন দেখে নিই যে আওয়ামী লীগের বা আওয়ামী লীগ শব্দটির অর্থ।
সুতরাং বলা যায় আওয়ামী লীগ এর অর্থ হচ্ছে জনগণের দল।
Leave a Reply