আমরা জানি যে শরীয়তের একটি বিশেষ স্থান রয়েছে এই ইসলাম ধর্মে। আর শরীয়তের দ্বিতীয় উৎসই হল সুন্নাহ। সোনা অর্থ হলো আবার রীতিনীতি। অর্থাৎ ইসলামের পরিভাষায় মানবিক হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর বাণী কর্ম এবং তার সমর্থিত রীতিনীতিকে সুন্নাহ বলা হয়ে থাকে। আর এই সোনাকে আমরা হাদিস নামে অভিহিত করতে পারি। এই শোনাকে আবার আমরা আল কুরআনের ব্যাখ্যা স্বরূপ নিতে পারি।
সোনা বা হাদিস সম্পর্কে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু সাল্লাম বলেন এসব পৃথিবী গান এবং ব্যাখ্যা বা বিশাম্য বিশ্লেষণ করতে বলেছেন। এ সম্পর্কে আল্লাহতালা বলেছেন যে, “আর আমি আপনার প্রতি কুরআন নাযিল করেছি মানুষকে সুস্পষ্টভাবে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য যা তাদের প্রতি নাযিল করা হয়েছে”। তাই বলা যায় যে হাদিস ইসলাম ধর্মে অবশ্যই বড় একটি জায়গা জুড়ে রয়েছে। সব সময় আমাদেরকে কোরআন এবং হাদিস মেনে আমাদের জীবন আচরণ করতে হয় ধর্মাচরণ করতে হয়।
তাই এ কথা প্রমাণিত হয় যে সুন্নাহ বা হাদিস শরীয়তের অন্যতম দলিল এবং উৎস। হাদিসের আল কুরআনের পরেই স্থান। তাই আজকে আপনাদের অবশ্যই এই হাদিস সম্পর্কে একটু বলা দরকার বা আপনাদেরও অবশ্যই জেনে নেওয়া দরকার। মতন বা হাদিসের মূল বক্তব্যের উপর ভিত্তি করে হাদিসকে প্রধানত তিন ভাগে ভাগ করা হয়। ভাগ গুলি হলো যথাক্রমে: কাওলি, ফি’লি এবং তাকরিরি। আমাদের এখন এই ভাগ গুলি সম্পর্কে সামান্য একটু জ্ঞান অর্জন করতে হবে।
কাওলি হাদিস: রাসূলুল্লাহ হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু সাল্লাম এর বাণী সূচক হাদিসকে সাধারণত কাওলি হাদিস বলা হয়। অর্থাৎ মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু মুখনিঃসৃত যে পানি রয়েছে সেই বাণীগুলিকে কাওলি বা বাণী সূচক হাদিস বলা হয়ে থাকে।
ফি’লি হাদিস: ফিলি শব্দের অর্থ কাজ সম্বন্ধীয়। যে হাদিসে মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু সাল্লাম এর কোন কাজের বিবরণ স্থান পেয়েছে তাকে সাধারণত ফিলি বা কর্মসূচক হাদিস বলা হয়।
তাকরিরি হাদিস: তকরিরি শব্দের অর্থ মৌন সম্মতি জ্ঞাপক। হযরত মুহাম্মদ রাসূলুল্লাহ এর অনুমোদন সূচক হাদিসই হলো তাকরিরি হাদিস। অর্থাৎ সাহাবীগণ রাসূলুল্লাহ এর সামনে কোন কথা বলেছেন কিংবা কোন কাজ করেছেন কিন্তু রাসূলুল্লাহ তার নিজের করেননি এবং তাতে বাধা ও দেননি বরং মৌনতা অবলম্বন করে তাতে সম্মতি বা অনুমোদন দিয়েছেন।
এরূপ অবস্থা বা বিষয়ে বর্ণনা যে হাদিসে এসেছে সে হাদিসগুলিকে তাকরিরি হাদিস বা সম্মতি সূচক হাদিস বলা হয়ে থাকে। এছাড়াও আমারে ইসলাম ধর্মে আরও কিছু হাদিস এর বর্ণনা পাওয়া যায়। শেষ হলো হাদিস রূপে আমাদের ইসলাম ধর্মের মধ্যে অবশ্যই বিরাজ করছে এবং সেই হাদিসগুলো আমাদের জীবনের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় থেকে থাকে।
সকল হাদিস সম্পর্কে আমাদের অবশ্যই কিছু জানা প্রয়োজন। সকল হাদিস গুলোর মধ্যে হলো- মারফু হাদিস, মাউকুফ হাদিস মাকতু হাদিস ইত্যাদি। তাই প্রতিটি মুসলমানদের জন্য হাদিসের বিষয়গুলি বা হাদিসে কি রয়েছে সে সকল বিষয়গুলি জানা অত্যন্ত জরুরী বলে মনে করা হয়।
কারণ প্রতিটি মুসলমানকে অবশ্যই হাদিস এবং কোরআনের আলোকে জীবন গড়তে হয় এবং হাদিসও কোরআন মেনে যে সকল কার্যকর্ম করতে হয় সে সকল অবশ্যই হাদিস এবং কুরআনের আলোকেই করতে হয়। সেই কারণে অবশ্যই আমাদেরকে অর্থাৎ ইসলাম ধর্মের অনুসারী সকলকেই হাদিস কোরআন না জানলে হয় না।
জীবন আচরণ বা ধর্ম আচরণ সবগুলি এই হাদিস বা কোরআন কে অবলম্বন করে করতে হয়। তাই চলুন দেখি এখন হাদিস শব্দের অর্থ কি। হাদিস অর্থ কথা বা বাণী। ইসলামী পরিভাষায় হাদিস বলতে মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু সাল্লাম এর বাণী কর্ম এবং মৌন সম্মতি সূত্রে বোঝানো হয়।
এজন্য এর আগেই আমরা বলেছি যে হাদিস সাধারণত দুইটি অংশে বিভক্ত করা হয় একটি হচ্ছে সনদ আর অপরটি মতন। মতন হাদিস সম্পর্কে আমার আমরা আপনাদেরকে উপরেই বিস্তারিত ভাবে বলেছি। এবং সনদ হাদিস সম্পর্কে অপর কোন একটি পোস্টে অবশ্যই আপনাদেরকে বিস্তারিত ভাবে জানিয়ে দেবো।
Leave a Reply