ইসলামী জীবন দর্শনে রিসালাতে বিশ্বাস স্থাপন করা অপরিহার্য একটি বিষয়। অর্থাৎ তাওহীদে বিশ্বাসের সাথে সাথে প্রত্যেক মুমিন ও মুসলিমকেই অবশ্যই রিসালাতেও বিশ্বাস করতে হয়। কারণ হলো ইসলামের মূল বাণী কালিমা তাইয়্যবাতে এই বিষয়টি সুন্দরভাবে বিবৃত করা হয়েছে।
এই কালিমার প্রথম অংশ অর্থাৎ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু এর অর্থ হচ্ছে যে আল্লাহ ব্যতীত কোন মাবুদ নেই। এখানে ওই কালিমার প্রথম অংশ দ্বারা তাওহীদের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। আর এর সাথে সাথে দ্বিতীয় অংশ অর্থাৎ দ্বিতীয় অংশের অর্থ হল মাহমুদুর রাসূলুল্লাহ এর অর্থ হল মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু সাল্লাম আল্লাহর রাসূল। এই অংশটি দ্বারা রিসালাতের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
তাই আমরা বলতে পারি যে তাওহীদে বিশ্বাস স্থাপনের নেয় রিসালাতেও বিশ্বাস স্থাপন করতে হবে। এবং এই বিশ্বাস স্থাপন করতে হবে প্রতিটি মুমিন মুসলমানকে। কারণ এই বিশ্বাস স্থাপনের নির্দেশনাটি অবশ্যই আল্লাহ তাআলার প্রেরিত আল কুরআন এবং আল হাদিস থেকে আমরা পেয়েছি কোন মানুষের কথা নয় এটি অবশ্যই নবী রাসূলের কথা এবং আল্লাহর কথা। তাই প্রত্যেক মুমিন মুসলমানকে অবশ্যই রিসালাতে বিশ্বাস করতে হবে।
বস্তুত এ কথা বলা যায় যে রিসালাতে বিশ্বাস না করলে কেউ মুমিন হতে পারে না। মুমিন যদি হতে হবে তাহলে অবশ্যই ইসলামের সকল ঈমানের বিশ্বাস করতে হবে। আর এটিই হল ইসলাম ধর্মে থাকার একটি বড় পরিচয়। কারণ মানুষের জ্ঞান সীমাবদ্ধ এই অল্প জ্ঞান দ্বারা অন্তত অসীম আল্লাহতালার পূর্ণ পরিচয় লাভ করা সম্ভব নয়। আর এই কারণেই নবী-রাসূলগণ মানুষের নিকট আল্লাহতালার পরিচয় তুলে ধরেছেন।
তার পূর্ণাঙ্গ ক্ষমতা এবং গুণাবলীর বর্ণনা প্রদান করেছেন আমাদের প্রিয় নবী রাসূলগণ। তারা আমাদেরকে ইহকালীন এবং পরকালীন কল্যাণের জন্য অবশ্যই আল্লাহ তা’আলা প্রদত্ত জীবন বিধান এবং দিকনির্দেশনা নিয়ে এসেছেন। হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু সাল্লাম না আসলে নবী ও রাসূল সম্পর্কে আমরা হয়তো তেমন কিছুই জানতে পারতাম না।
তাই আমাদের জীবনে বা আমাদের ইসলাম ধর্মের জন্য মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু সাল্লাম আসাটা জরুরী ছিল এবং ইসলাম ধর্মের জন্য অবশ্যই সেটি একটি সুখের বিষয়। এমনকি আমরা জানি যে আল্লাহ তায়ালার সত্তা ও সিফাতের পরিচয় লাভ করতে পারতাম না আমাদের এই মহানবী হযরত মুহাম্মদ না আসলে। তাই আমরা বলতে পারি যে মূলত নবী-রাসূলগণের আনীত বাণী এবং বর্ণনার ফলেই মানুষের পক্ষে এইসব বিষয়ে জানা সম্ভব হয়েছে।
অর্থাৎ আল্লাহ তায়ালা যে অসামান্য তার কোন গুণের শেষ নেই তিনি ক্ষমাশীল তিনি দয়ালু এ ধরনের সকল বিষয় অর্থাৎ একমাত্র তিনিই আমাদের উপাস্য এ ছাড়া আর কোন উপাস্য নাই এ সকল বিষয়গুলি আমাদেরকে অবশ্যই আমাদের নবী রাসূলগণ বুঝিয়েছেন এবং আমরা সেই পথেই চালনা হব। এইসব দিক থেকে দেখলে বলা যেতে পারে মানব জীবনে অবশ্যই রিসালাতে বিশ্বাস করা ঈমানের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হিসেবেই নির্ধারিত হয়ে থাকে।
তাই আপনারা যারা আমাদের এই পোস্টে এসেছেন যে রিসালাত শব্দের অর্থ কি বা রেসালাত শব্দের অর্থ জানার জন্য। আপনারা অবশ্যই এই সম্পর্কে আজকে আমাদের এই পোস্ট থেকে জেনে নিতে পারবেন বা বুঝে নিতে পারবেন। তবে ইসলাম ধর্মের অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে জানতে হলে আপনাদেরকে অবশ্যই আমাদের এই ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে হবে।
কারন আমাদের ওয়েবসাইটটিতে ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে সকল কিছু অত্যন্ত সঠিকভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। তাই আপনারা আমাদের ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে সকল বিষয় যদি জানতে চান তাহলে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করে আমাদের পাশে থাকবেন। তাহলে আজকে আমরা যে জিনিসটি দেখতে এসেছি চলুন তাহলে দেখে নিই যে রিসালাত শব্দের অর্থ কি।
রিসালাত শব্দের আভিধানিক অর্থ হলো বার্তা চিঠি পৌঁছানো পয়গম সংবাদ বা অন্য কোন ভাল কাজের দায়িত্ব বহন করা। ইসলামী পরিভাষায় মহান আল্লাহতালার পবিত্র বাণী মানুষের নিকট পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্বকেই রিসালাত বলা হয়। আর যিনি এই দায়িত্ব পালন করেন তাকেই বলা হয় রাসুল।
Leave a Reply