যখন খুদা লাগে তখন আমরা খাবার খাই। কিন্তু খুদা নিবারনের জন্য এই খাবার আমাদের শরীরের অসুস্থতার মূল কারণ সেটা আমরা একটু গভীরভাবে ভাবি না। আরো যদি সঠিকভাবে সঠিক খাবার খায় তাহলে সব সময় সুস্থ থাকব কিন্তু সেই খাবারই যদি সঠিকভাবে না খাওয়া হয় এবং সঠিক খাবার না খাওয়া হয় তাহলে সেটাই আমাদের শরীরের অসুস্থতার কারণ হবে। এই জিনিসটুকু যারা মেনে চলেন তারাই মূলত সুস্থভাবে চলতে পারে।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বর্তমানে যে সমস্যাটি প্রত্যেকটি মানুষের শরীরে লক্ষ্য করা যায় সেটা হচ্ছে গ্যাস। সাধারণত আমরা যে খাবারগুলো খাই সেই খাবারগুলোতে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যেই উপাদান গুলো আমাদের পাকস্থলীতে যাওয়ার পরে সেখানে বিভিন্ন ধরনের গ্যাসের সৃষ্টি করে। যেটার কারণে আমাদের পেটের জ্বালাপোড়া এবং পেটের বিভিন্ন জায়গাতে বিভিন্ন চিনচিন ব্যথা সৃষ্টি হয়। সৃষ্টি হয় বদহজমের এবং এছাড়াও আরো অন্যান্য অনেক সমস্যার সৃষ্টি হয় যেটা অনেকের ক্ষেত্রে বড় ধরনের অসুস্থতার কারণ হয়।
আজকের এই ছোট্ট আর্টিকেল থেকে আমরা জানার চেষ্টা করব পেটে গ্যাস হলে কি ওষুধ খেতে হবে সে সম্পর্কে। সাধারণত আমরা মূলত জানার চেষ্টা করব পেটের গ্যাসের ঘরোয়া যে ওষুধ রয়েছে সেগুলো এবং এর পাশাপাশি ফার্মেসিতে আপনি যে ওষুধগুলো পাবেন সে ঔষধ গুলো সম্পর্কে। চলুন একটি গুরুত্ব দিয়ে এ বিষয়গুলো জানা যাক।
পেটে গ্যাস হলে করণীয়
গ্যাস এমন একটি জিনিস যেটা এক বছরের বাচ্চার পেটেও পাওয়া যায় বর্তমানে। তার কারণ হলো আমরা বাঙালি হিসেবে আমাদের খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করতে পারি না এবং আমাদের বাংলাদেশে প্রচুর পরিমাণে ভেজাল খাবার পাওয়া যায়। আর আমরা বাড়ির বাইরের খাবারগুলো বেশি খায় বিশেষ করে ফাস্টফুড এর খাবার এবং প্যাকেট খাবার যেগুলোতে প্রচুর পরিমাণে গ্যাসের উপাদান রয়েছে। কিন্তু আমরা এতটাই বোকা যে নিজের খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন না করে প্রতিদিন শুধুমাত্র গ্যাসের ওষুধ খেয়েই গ্যাসকে চাপা রাখার চেষ্টা করছি।
সত্য যেমন কোনোদিন চাপা থাকে না ঠিক সত্যের মতন গ্যাসও কোনদিন আপনার শরীরে চাপা থাকে না। কোন না কোন এক সময় সেটা বেরিয়ে আসে এবং আপনার অসুস্থতার কারণ হয়। আপনি যত দামি ওষুধ খান না কেন এবং যতই নিয়ম মেনে ওষুধ খান না কেন গ্যাস আপনার শরীরে থাকবে যদি কিনা আপনি আপনার অভ্যাস পরিবর্তন করেন। আজকে আমরা আপনাদের জানানোর চেষ্টা করব কি অভ্যাস পরিবর্তনের মাধ্যমে আপনার শরীরের গ্যাস কমানো যায় তারপরে আমরা জানাবো কোন ওষুধ আপনি খেতে পারেন।
সবার প্রথমে আপনাকে বাইরের খাবার একেবারেই বন্ধ করতে হবে। তিন বেলা পরিবর্তে আপনাকে দুই বেলা খাবার খেতে হবে। এরপরে আপনাকে প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে। একটি সুস্থ মানুষের পক্ষে দিনে অন্তত দুই থেকে আড়াই লিটার পানি পান করা উচিত। খাবার তৈরিতে তেল একেবারে বর্জন করতে হবে। যদি আপনি তেল দেন তাহলে চেষ্টা করতে হবে কোল্ড প্রেস অলিভ অয়েল অথবা গোল্ড প্রেস কোকোনাট অয়েল ব্যবহার করতে সেটাও খুব অল্প পরিমাণে। তেল ও চর্বি জাতীয় খাবার এবং চর্বি জাতীয় মাছ ও মাংস খাওয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখতে হবে।
এর পাশাপাশি নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম করতে হবে। আপনি এই কয়েকটি অভ্যাস পরিবর্তন করুন দেখুন তিন মাসের মধ্যেই আপনার শরীর থেকে সকল গ্যাস চলে যাবে এবং আপনি অনেক সুস্থ শরীরের অধিকারী হবেন।
গ্যাসের জন্য কোন ওষুধ খেতে হবে
সাধারণত গ্যাসের ওষুধ অনেক ধরনের বাজারে রয়েছে তার মধ্যে সবথেকে বেশি ব্যবহৃত হয় Esomiplazol গ্রুপের ঔষধ। এছাড়াও Omeprazole ও Pantoplrazole অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি গ্যাসের ওষুধের গ্রুপ। সাধারণত নিয়মিত গ্যাসের ক্ষেত্রে প্রথম গ্রুপের ওষুধটি আপনি ব্যবহার করতে পারেন। যারা খাবার পরে ক্যাশ বেশি অনুভব করেন তাদের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় গ্রুপের ওষুধটি এবং গর্ভবতী মায়েদের ক্ষেত্রে তিন নাম্বার গ্রুপের ঔষধটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
Leave a Reply