কি খেলে পেটের বাচ্চা নষ্ট হয়

কি খেলে পেটের বাচ্চা নষ্ট হয়

আজকের আর্টিকেলে আমরা শুধুমাত্র আপনাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি। আজকের আর্টিকেলটি আপনারা যদি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে খুব সহজেই সে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নিতে পারবেন। আজকের আলোচ্যমূল বিষয় হল কি খেলে পেটের বাচ্চা নষ্ট হয়ে যায় সে সম্পর্কে যাবতীয় সকল তথ্য সমূহ।

একটি মেয়ের জীবনে মা হওয়া অন্যরকম এক অনুভূতি। প্রত্যেকটি বিবাহিত মেয়েদেরই একটি স্বপ্ন থাকে সেটি হচ্ছে মা হওয়া। মা না হলে একটি মেয়ের জীবনের কোন অস্তিত্ব যেন থাকে না। শুধু তাই না মা না হওয়া যে কতটা কষ্টের শুধুমাত্র সেই মেয়েটি উপলব্ধি করতে পারবে যে মেয়েটি এখনো মা হতে পারেনি। তবে হে আমাদের দেশে এরকম অনেক মেয়েরা রয়েছে যারা অনেক রকমের চেষ্টা করছে শুধুমাত্র মা হওয়ার জন্য।

এর পাশাপাশি আবার কিছু মেয়েরা রয়েছে যারা বাচ্চা পেটে আসার পর কিভাবে সে বাচ্চাটাকে নষ্ট করতে হবে সে সম্পর্কে জানতে খুব আগ্রহী। আজকের আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করতে যাচ্ছি কি খেলে পেটের বাচ্চা নষ্ট হয় সে সম্পর্কে। এই আলোচনাটা দুই ধরনের নারীদের জন্যই বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। যারা মা হওয়ার জন্য দিনরাত আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে তাদের জন্যও এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ বাচ্চা পেটে আসার পর কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো খেলে বাচ্চা নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে তাই তাদের এ সম্পর্কে জেনে রাখা জরুরী।

কি খেলে পেটের বাচ্চা নষ্ট হয়

গর্ভাবস্থায় বিশেষ বিশেষ কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো খাওয়া একেবারেই নিষিদ্ধ। বর্তমানে গর্ভপাত এ বিষয়টি খুবই কষ্টদায়ক। আর দিন দিন যেন এ বিষয়টি বেড়েই চলেছে। তাই গর্ভাবস্থায় যেসব খাবার খেলে একজন গর্ভবতী মায়ের ক্ষতি হয় সে খাবারগুলো না খাওয়া উচিত। চলুন আমাদের আর্টিকেল এর মাধ্যমে আমরা আজকে সেই খাবারগুলো সম্পর্কে জেনে নেই।

কাঁচা পেঁপে

প্রেগনেন্সির প্রথম তিন মাস অবশ্যই কাঁচা পেঁপে সেদ্ধ রান্নায় পেঁপে বা পেঁপের চাটনি খাওয়া এড়িয়ে চলতে হবে। এছাড়াও পরের দিকেও পেঁপে খেলে গর্ভপাত না হলেও রক্তপাত হতে পারে। তাই পুরো গর্ভাবস্থা ধরে পেঁপে আমাদের এড়িয়ে চলায় ভালো। অর্থাৎ আমরা প্রেগনেন্সির সময় পেঁপে খাব না কখনোই।

অপান্তরিত দুধ:

স্বাস্থ্যসম্মত ভাবে না খেলে সব থেকে বেশি ব্যাকটেরিয়া দুধ থেকে ছড়ায়। সব সময়ই দুধ ভালো করে ফুটিয়ে খাওয়া উচিত। বিশেষ করে গর্ভাবস্থায় অপান্তরিত দুধ গর্ভপাত পর্যন্ত ডেকে আনতে পারে তাই অবশ্যই এ ব্যাপারে আমাদেরকে সতর্ক থাকতে হবে। দুধ খাওয়ার আগে ভালোভাবে দুধ ফুটিয়ে হালকা ঠান্ডা করে তারপর আমাদের খেতে হবে।

কাকড়া চিংড়ি:

গর্ভাবস্থায় কাকড়া বা চিংড়ি অথবা খোলস ওয়ালা সি ফ্রুট খাওয়া একেবারে ছেড়ে দিন। এই ধরনের খাবার থেকে এলার্জি হওয়ার ঝুঁকি সবথেকে বেশি থাকে। আর গর্ভাবস্থায় আমাদের বেশিরভাগ নারীদেরই এলার্জির সমস্যায় ভুগতে হয়। তাই আগে থেকে সতর্ক হওয়াটা খুবই জরুরী।

কাচা ডিম

ডিম আমাদের অনেক পছন্দের একটি খাবার। আর প্রেগনেন্সির সময় ডিম খাওয়া অত্যন্ত জরুরি। তবে হ্যাঁ ডিম খাওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই ডিমটি আমাদেরকে ভালোভাবে সেদ্ধ করে নিতে হবে তারপর খেতে হবে। অনেকে রয়েছেন যাদের কাঁচা ডিম অনেক পছন্দের। যদি আপনার এই অভ্যাস থাকে তাহলে প্রেগন্যান্ট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা ত্যাগ করুন। কারণ হাফ বয়েল বা ডিমের পথ খেলেও বিপদের সম্ভাবনা রয়েছে। তাই ডিম সেদ্ধ বা ভাজি করে খাওয়াই ভালো।

আনারস

গর্ভাবস্থায় সবচেয়ে ঝুঁকি ডেকে আনতে পারে আনারস। প্রথম তিন মাসে আনারস আনারসের চাটনি খেলে গর্ভপাত হওয়ার ঝুঁকি বহুগুণ বেড়ে যায়। গর্ভবতীদের মধ্যে আনারস খেয়ে ডায়রিয়া বা অ্যালার্জি হওয়ার উদাহরণও দেখা যায় প্রচুর। তাই পুরো প্রেগনেন্সি জুড়ে আনারস আমাদের এড়িয়ে চলতে হবে।

আশা করি আমাদের আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনারা জেনে নিতে পেরেছেন কি খেলে পেটের বাচ্চা নষ্ট হয় সে সম্পর্কে যাবতীয় সকল তথ্যগুলো।

About শাহরিয়ার হোসেন 4780 Articles
Shahriar1.com ওয়েবসাইটে আপনার দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় যা কিছু দরকার সবকিছুই পাবেন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*