ফিন্যান্স একটি ইংরেজি শব্দ। এর বাংলা অর্থ হচ্ছে অর্থায়ন। তাই বলা যায় ফিনান্স হচ্ছে অর্থ সংগ্রহ করা। বা অর্থ সংগ্রহ করাকেই ফিনান্স বলে থাকে। অর্থ সংগ্রহ করতে হলে সেটার পরিকল্পনা কর্মসংস্থান সংরক্ষণ ব্যবহার এবং নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে যাবতীয় তথ্যাবলী প্রয়োজন হয়ে পড়ে। ফিনান্সের উল্লেখযোগ্য কিছু সংজ্ঞা আমরা দেখতে পারি।
L. G Gitman বলেন Finance is the art and Science ao managing money”. অর্থাৎ বাংলায় বললে বলা যায় অর্থ ব্যবস্থাপনার কলা ও বিজ্ঞান হলো অর্থায়ন।
John J. Hampton বলেন The term finance can be defined as the management of flows of money through an organization, whether it be a corporation, school, bank or government agency.
অর্থাৎ তিনি বলেন কোন প্রতিষ্ঠানের নগদ অর্থ প্রবাহের ব্যবস্থাপনাকে অর্থায়ন হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা যায়। হোক সেটি কর্পোরেশন ব্যাংক স্কুল কলেজ বা সরকারি এজেন্সি। অর্থাৎ ইনাদের সংজ্ঞার আলোকে বলা যেতে পারে সব প্রতিষ্ঠানের বিপরীতে বা সব কর্মকাণ্ডের বিপরীতেই অর্থায়ন টি একটি বড় বিষয়। অর্থাৎ অর্থায়ন ছাড়া কোন কিছুই হতে পারে না চলতে পারে না।
সবকিছু প্রতিষ্ঠান ব্যাংক বীমা এনজিও এজেন্সি সকল কিছু পরিচালিত করতে হলে অবশ্যই অর্থনৈতিক দিকটা আমাদের ভেবে দেখতে হবে। অর্থনীতি বা অর্থায়নে সবকিছুর চালিকাশক্তি। এমন কোন প্রতিষ্ঠান নাই যেখানে অর্থের কোন লেনদেন নেই বা যোগাযোগ নেই। অর্থ অবশ্যই সকল কিছু পরিচালনা করতে হলেই ভীষণভাবে প্রয়োজন পড়বে। অর্থাৎ আরো ভালো করে বললে এ কথা বলা যায় যে সকল প্রতিষ্ঠান পরিচালনা পূর্বে আগে সেটির অর্থনৈতিক উৎস বা অর্থের উৎস আমাদের খুঁজতে হবে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হোক বা অন্য যেকোনো প্রতিষ্ঠান হোক অর্থের যোগান প্রতিটি ক্ষেত্রেই সঠিকভাবেই হতে হবে। এবং সেই অর্থগুলি সঠিকভাবে সংরক্ষণ বিনিয়োগ এবং সুষ্ঠু ব্যবহারের মাধ্যমেই একটি প্রতিষ্ঠান ঠিকভাবে চলতে পারবে গতি হারাবে না সেই প্রতিষ্ঠান। মোট কথা সংগৃহীত অর্থের সুষ্ঠু বিনিয়োগ ও ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে সবার আগে।
ফিন্যান্স বা অর্থায়নের কার্যাবলীর দিকে তাকালে আমরা দেখতে পাই যে আর্থিক পরিকল্পনা গ্রহণ মূলধন তহবিলের উৎস নির্বাচন তহবিল সংগ্রহ বিনিয়োগ প্রকল্প বিশ্লেষণ ও সঠিক প্রকল্প নির্বাচনে নগদ প্রবাহের পূর্বানুমান করতে হবে করতে হবে। আবার আমাদের মাথায় ঝুঁকির বিষয়টিও থাকতে হবে। যে কোন প্রতিষ্ঠান তৈরি করার আগে আমাদের অর্থায়নের বিষয়টি নিয়ে ভেবে তারপরে প্রতিষ্ঠান তৈরি করার কথা ভাবতে হবে। ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান হোক দাতব্য প্রতিষ্ঠান হোক সব প্রতিষ্ঠানেই যেহেতু অর্থের প্রয়োজন পরে তাই আমাদেরকে অবশ্যই ফিনান্স এর বিষয়ে অর্থাৎ নগদ অর্থের বিষয়টি সবসময় মাথায় রেখেই এগিয়ে যেতে হবে পরবর্তী ধাপে। আর অর্থের যোগান এর জন্য আমাদের প্রথমেই পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটি দাঁড় করানোর কথা ভাবতে হবে।
যেহেতু অর্থই চালিকাশক্তি বা প্রাণ ভোমরা রূপে সকল প্রতিষ্ঠানের মূলে রয়েছে। প্রাণহোম ডাকে টিকিয়ে রাখতে হলে বা টিকিয়ে রাখার কথাই আমাদের ভাবতে হবে সবার প্রথমে। অর্থনীতির বাপ ফিন্যান্সের এ সকল বিষয়গুলো জানার পরেই আমাদের খুঁজে বের করতে হবে ফিনান্সের জনক কে। আমরা এতক্ষণে দেখছিলাম ফিন্যান্স বা অর্থায়ন কি এর সংজ্ঞা কি হতে পারে। তাহলে চলুন এখন দেখা যাক ফিনান্স এর জনক কে। ফিনান্সের জনক: ইউজিন ফ্রান্সিস হামা ইউজিন ফ্রান্সিস ফামা ছিলেন মার্কিন বিখ্যাত অর্থনীতিবিদ। তাকেই আধুনিক ফিনান্সের জনক হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। এই ধরনের সকল তথ্য পেতে আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে পারেন।
দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োজনীয় অসংখ্য তথ্যগুলি আপনাদের কাজে লাগে তাই দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োজনীয় তথ্যগুলি পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি বারবার ভিজিট করতে পারবেন আপনারা। আমাদের ওয়েবসাইটের সকল তথ্য অত্যন্ত নির্ভুল সঠিক ও সহজ সরল ভাষায় প্রকাশ করা হয়ে থাকে। তাই আমাদের ওয়েবসাইটের তথ্যগুলি বুঝতে আপনাদের কোন ধরনের সমস্যা হবে না আশা করি।
Leave a Reply