যদি কোন নারী বিধবা হয়ে যান এবং বিধবা ভাতা পাওয়ার জন্য আবেদন ফরম ২০২৪ অনলাইনের মাধ্যমে পূরণ করতে জানতে দপ্তরের মাধ্যমে আপনাদের এই আবেদনের সুযোগ প্রদান করা হচ্ছে বলে সেখানে ভিজিট করে আবেদন করতে পারেন। বর্তমান সময়ে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার সমাজের এ সকল মহিলাদের জন্য আর্থিকভাবে সহায়তা প্রদান করার জন্য প্রত্যেক মাসে নির্দিষ্ট একটা পরিমাণ ভাতা হিসেবে প্রদান করছেন। তবে প্রতি মাসে টাকা প্রদান করা না হলেও প্রত্যেক তিন মাস পরপর এই টাকা মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে অর্থাৎ নগদ একাউন্ট এর মাধ্যমে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
যেহেতু মানুষের জীবন মরণের কোন ঠিক নেই সেহেতু হঠাৎ করে একটা মানুষ যদি মারা যায় তাহলে তার পরিবারের সেই স্ত্রী ও সন্তানেরা অনেক সমস্যায় পড়ে থাকেন। কোন কারণে যদি সেই পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম একটি হিসেবে সেই পুরুষ মানুষটি হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই সেই পরিবারের সমস্যা হওয়ার কারণে তাকে বিধবা ভাতা পাওয়ার জন্য আবেদন করতে হবে। তাই এরকম পরিস্থিতিতে কোন নারী যদি আর দ্বিতীয় বিবাহ না করে এবং সেই নারী যদি সন্তানদেরকে নিয়ে সেভাবেই বাঁচতে চাই তাহলে অবশ্যই তাকে আবেদন করার জন্য বলা হলো।
সমাজসেবা অধিদপ্তর এর মাধ্যমে সামাজিক নিরাপত্তা বিষয়গুলো নিশ্চিত করার জন্য সঠিকভাবে এই কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়ে থাকে। তাই আপনারা যখন সামাজিক নিরাপত্তার আওতাধীন এই বিষয়গুলোতে অংশগ্রহণ করবেন অথবা সেই সুযোগ-সুবিধা পেতে চাইবেন তখন নির্দিষ্ট একটা ক্যাটাগরিতে সুযোগ সুবিধা পাওয়ার জন্য আপনাকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রদর্শন করতে হবে। বিশেষ করে আপনি যখন বিধবা ভাতা পাওয়ার জন্য আবেদন করবেন তখন আপনার এনআইডি কার্ড আপনার নিজের তিন কপি ছবি এবং নমিনি হিসেবে সন্তানের তিন কপি ছবি প্রদান করা লাগবে।
তবে বয়স্ক ভাতার কার্ড সমূহ প্রচুর পরিমাণে এসে থাকলেও বিধবা বার্তার কার্ড সীমিত পরিমাণে এসে থাকে বলে এটা সকলকে প্রদান করার সুযোগ থাকে না। আর সেই জন্য স্থানীয় যে সকল জনপ্রতিনিধি রয়েছে তাদের সুপারিশের প্রয়োজন হয়। আর সেই দৃষ্টিকোণ থেকে আপনারা আবেদন করার পর অথবা আবেদন সম্পন্ন করার আগে যদি তাদের সঙ্গে কথাবার্তা বলে নিয়ে এটা সুপারিশ করে নিতে পারেন তাহলে দেখা যাবে যে বিধবা পাতা খুব দ্রুত পেয়ে যাচ্ছেন।
প্রকৃতপক্ষে প্রয়োজনটা যেহেতু আপনার সেহেতু আপনারাই সরাসরি সেখানে গিয়ে কথা বললে তারা অবশ্যই বিষয়টি বিবেচনা করবে। কারণ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার যেহেতু আমাদের এই ধরনের সুযোগ প্রদান করে আসছে সেহেতু সমাজ সেবা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা আপনাকে যদি এটা প্রদান করে তাহলে কারো ব্যক্তিগতভাবে নিজস্ব পকেট থেকে টাকা দেওয়া লাগছে না। সেই সাথে তারা মানুষের সেবা করতে পারছে বলে অনেক মানুষের পরিবারের আর্থিক সমস্যা গুলো লাঘব হচ্ছে। তবে বর্তমান সময়ে যেহেতু বিধবা ভাতা অথবা যেকোনো ধরনের ভাতা পাওয়ার জন্য অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করার প্রয়োজন পড়ছে সেহেতু অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।
এক্ষেত্রে আপনারা সমাজসেবা অধিদপ্তর অথবা মাই গভ বিডি এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ভিজিট করার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করে সেখানে আবেদন করার সুযোগ পাবেন। তবে একজন বিধবা হিসেবে আপনারা এ সকল আবেদন নিজেরা না করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে যদি অনলাইন সার্ভিসের দোকানে গিয়ে বিধবা ভাতা পাওয়ার জন্য আবেদন করার কথা জানিয়ে দেন তাহলে তারাই সঠিক তথ্য ইনপুট করার মাধ্যমে আবেদন করে সেটার ফরম ডাউনলোড করে আপনাদেরকে প্রদান করবে।
তাই আপনাদের জন্য বিধবা ভাতার আবেদন ফরম সংক্রান্ত কোনো বিষয়ের প্রয়োজন হলে এখানে এ বিষয়গুলো জানিয়ে দেওয়া হলো বলে অনলাইন সার্ভিসের সহায়তা গ্রহণ করুন। এক্ষেত্রে সুপারিশের প্রয়োজন হলে অবশ্যই সেই সুপারিশ নিয়ে আপনারা সমাজসেবা অধিদপ্তরে সেটা জমা দিলে খুব দ্রুত কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে। আর যদি বিধবা ভাতা পাওয়ার জন্য মনোনীত হয়ে থাকেন তাহলে প্রথমদিকে একেবারে ছয় হাজার টাকা এবং পরবর্তীতে প্রত্যেক তিন মাস পর পর এক হাজার পাঁচশ টাকা করে প্রদান করা হবে।
Leave a Reply