দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন ধরনের সাধারণ জ্ঞানের প্রশ্নের উত্তর নিয়ে আমরা আপনাদের সামনে আলোচনা করছি বলে অনেক বিষয় সম্পর্কে অবগত হতে পারছেন। যারা চাকরি প্রার্থী অথবা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার্থী রয়েছেন তাদের জন্য অনেক বিষয় জেনে নেওয়াটা জরুরী। পৃথিবীর কোন প্রান্তে কি ঘটছে অথবা কি কি ধরনের আবিষ্কারের মধ্য দিয়ে আমাদের জীবন ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করতে চলেছে সেগুলো আমাদেরকে জানতে হবে।
বিভিন্ন পরীক্ষার ক্ষেত্রে সাম্প্রতিক বিষয়াবলী চলে আসে বলে আমাদেরকে এটা জেনে নিতে হবে এবং এটা জেনে নেওয়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের সোর্স আমরা ব্যবহার করতে পারি। তবে জরুরী ভিত্তিতে কোন প্রসঙ্গে যদি আপনাদের জানার প্রয়োজন হয় অথবা কোন একটা টপিক জেনে নেওয়ার পর সেটা নিয়ে বিস্তারিত জানতে আগ্রহী হয়ে থাকলে আমাদের ওয়েবসাইট আপনাদেরকে অবশ্যই সেই তথ্য প্রদান করবেন। তাই এখানে বিশ্বের প্রথম হাইড্রোজেন চালিত ট্রেন চলাচল শুরু হয় কোন দেশে সেটা নিয়ে আলোচনা করব।
বর্তমান সময়ে বিজ্ঞান তার বিস্ময়কর আবিষ্কারের মধ্য দিয়ে আমাদের পৃথিবীকে অনেকটাই এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। অর্থাৎ বিজ্ঞানীরা প্রতিনিয়ত তাদের এক্সপেরিমেন্ট চালানোর মধ্য দিয়ে এটা সম্পর্কে অবগত হতে পারছে এবং এক এক রকম বিজ্ঞানের এক এক রকম চাহিদা হওয়ার কারণে বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্রত্যেকটা বিষয়ে সহজবোধ্যতার আবিষ্কার করছে। তাই পূর্বে ট্রেনগুলোর সিস্টেম বাদ দিয়ে বর্তমান সময় যদি হাইড্রোজেন চালিত ট্রেন পরিচালনা করা যায় তাহলে সেটা অনেক দিক থেকে লাভবান হওয়া যাবে।
তাই সেই ধারাবাহিকতা থেকে বিজ্ঞানীরা বর্তমান সময়ে আমাদের জন্য যে সকল উপাদান আবিষ্কার করছে সেটা আমাদের বাস্তব জীবনে ব্যবহারের ক্ষেত্রে অনেক উপকার নিয়ে আসছে।তাই এখানকার এই পোস্ট ভিজিট করার মধ্য দিয়ে আপনারা যারা বিশ্বের হাইড্রোজেন ইঞ্জিন চালিত পরিবেশবান্ধব ট্রেন কোন দেশ আবিষ্কার করেছে বলে জানতে চান এবং সেই প্রসঙ্গে আমরা উত্তর হিসেবে এখানে বলতে চাই যে, এটা হল জার্মানি। অর্থাৎ জার্মানিতে বিশ্বের হাইড্রোজেন ইঞ্জিন চালিত পরিবেশবান্ধব ট্রেন ২০১৮ সালে চালু করা হয়। এই ট্রেন নির্মাণ করেছেন এ্যালস্টম প্রতিষ্ঠান।
তাছাড়া এই হাইড্রোজেন ট্রেনের নাম দেয়া হয়েছিল kordia elind traini. তাই ২০১৮ সালে এই ট্রেন সেবা দিতে শুরু করে এবং এই ট্রেন প্রথম ছাড়া হয় জার্মানির লোয়ার সে একজন রাজ্যের ব্রেমেরফুর্দে স্টেশন থেকে। বর্তমান সময় পর্যন্ত এই ট্রেনের ব্যাপক অগ্রগতি সাধিত হয়েছে এবং অনেক ইঞ্জিন এখানে সংযুক্ত করা হয়েছে।তাছাড়া ট্রেন বানানোর পেছনে যে খরচ হয়েছে সেই খরচের টাকা খুব দ্রুত উঠে যাবে এবং ২০৫০ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়ানোর জন্য এরকম ধরনের প্রকল্প হাতে নিয়েছেন বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।
পুরো দেশটি ডিজেল চালিত ইঞ্জিন ব্যবহার করার মাধ্যমে ট্রেন ব্যবস্থাকে পরিচালনা করে থাকলেও বর্তমান সময়ে হাইড্রোজেন চালিত ট্রেন পরিচালনা করা হবে বলে সেই পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। পৃথিবীর নতুন প্রযুক্তিগত পরিবহনের দিক থেকে এটা অনেকটাই এগিয়ে আছে বলে আমরা জানতে পারি। এছাড়া এটা অনেকটাই অর্থসাশ্রয় করার পাশাপাশি পরিবেশবান্ধব হবে বলে আমরা বুঝতে পেরেছি। আশা করি উপরের উল্লেখিত আলোচনার ভিত্তিতে আপনারা অনেক কিছুই জানতে পারলেন এবং আপনাদের প্রশ্নের উত্তর পেয়ে গিয়েছেন।
এরপরেও আপনাদের যদি বিশেষভাবে কোন কিছু জানার প্রয়োজন থেকে থাকে অথবা এই হাইড্রোজেন চালিত ট্রেন সম্পর্কে জানার প্রতি আগ্রহ থেকে থাকে তাহলে আমাদেরকে কমেন্ট সেকশনে প্রশ্ন করুন। আমরা আপনাদের প্রশ্নের উপর নির্ভর করে এবং আমাদের জানা তথ্যের উপরে নির্ভর করে অবশ্যই উত্তর প্রদান করব। তাই বিশ্ব যেহেতু এগিয়ে যাচ্ছে সেহেতু প্রত্যেকটি মানুষ বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে অথবা যোগাযোগ ব্যবস্থার ক্ষেত্রে অনেকটাই উন্নতি সাধিত হচ্ছে। এই বিশ্ব এগিয়ে যাওয়ার পেছনে বিজ্ঞানীদের জন্য যদি বিশেষ ব্যবস্থা অথবা সুবিধা প্রদান করা হয় তাহলে তারা আরো উন্নতি আমাদের জন্য করতে পারবে এবং আমাদের জীবন ব্যবস্থাকে সহজ করে তুলতে পারবে।
Leave a Reply